পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ ভাগ, ১ম ও লিলেন-মাসিম, আমার বাড়ীতে ত লোকজন কেউ এই অভাবিত সম্ভাবনায় রাজধালার মায়ের মন আনৰে নেই, ও ত পড়ে । এ বাড়ী আপনারই, আপনি সব ঘর- মৃত্য কুরিতে লাগিল। তিনি গদগদ ভাবে বলিলে সংসার দেখে শুনে নেন ; খাবার-দাবার বা মথন দরকার জপের আসনে বসে প্ৰাতঃবাক্যে আশীৰ্ব্বাদ করছি বাবা, হবে নিজে হাতে নিতে কিন্তু-বোধ করবেন না । তুমি আমায় যেমন নিৰ্ভাবনা করে সুখী করলে এমজি রাজবালার মা আধ-ঘোমটার ভিতর হইতে মৃদু স্বরে নিৰ্ভাবনা হয়ে তুমিও সুখী হবে ; আমার মাথায় যত দিলেন তা বাৰা বলতে হবে কেন—এ ত আর আমার তত বছর তোমাব পেরমাই হবে । ব্লাষ আমার বড় লক্ষ্মী পাতামো সম্পৰ্ক নয় ? মেয়ে, তুমি দুদিনেই তা বুঝতে পারবে আপনাকে আর বাড়ী ফিরে যেতে দেবো না তারপর তিনি আমতা-আমতা করিতে-করিতে বলিলেম মাসিমা, এই বাড়ীর গিন্নি হয়ে থাকতে হবে । —আমার আর বাড়ী যাবার দরকার কি বাবা ? বিয়েটা তা হলে দয়ার একটা ভালোমন্দ কিছু হয়ে গেলেই তা হবে ? একটি স্বপাত্তরের সঙ্গে রাজু হু-হাত এক হয়ে গেলে ও ত — সেজন্মে অপেক্ষা করে কি হবে মাসিমা ? ও যথা পয়ের ঘর করতে চলে বাবে, আমি বাড়ীতে আর. কার মৱবেই তখন বিয়েটা মুলতবি রাখ কেন ? এই অমাণ জন্তে, যাৰ ? স্বাক্ষকেও আমি পরের ঘৱে যেতে দেবো না মাসেই বিয়েটা হয়ে যাক সিমা রাও এই বাড়ীতেই পাকবে তার ব্যবস্থা আমি তা বা ভালো বোঝে। তাই কোরো বাবা, দয়া দে ঠিক করেছি মনে কষ্ট না পায় । -- বলিতে বলিতে দয়াদেবী মাসিম —সেই সুন্দর ছেলেটির সঙ্গে বুদ্ধি অঞ্চলে চক্ষু মাৰ্জন করিলেন । পাশের কুঠুরীতে বীরেন উৎকৰ্ণ হইয়া উঠিল । গুণময় ওকে এখন বিয়ের কথা কিছু বলে কাজ নেই : রাজবালায় মায়ের কথায় বাধা দিয়া বলিয়া উঠিলেন- ন এর মধ্যে ময়ে যায় ভালোই, নয়ত বিয়ের দিন বললেই না, সেটা একটা লক্ষ্মীছাড়া ছেলে, সে কি বাজুর যুগি ? হবে । কথাটা এখন গোপন রাখবেন । য়াকে আমিই বিয়োকরব ঠিক করেছি। বেশ, তাই হবে বাবা । রাজবালার মা মনে করিলেন জামাই বুলি শালীর সঙ্গে রাজবালার মা এ বাড়ীতে আজ এই নুতন আলিয়াছেন করিতেছেন। তিনি হাসি৷ বলিলেন—াজরাণী বীরেনকে পাশের ঘরে ঘাইতে তিনি দেখিয়াছিলেন টে বা ভাগ্যি কি রাজুর হবে ? তোমার মতন সোয়ামীর কিন্তু তিনি জানিতেন না দে সে সেখানেই বন্দী হই গলা মালা দেওয়া সাত জন্ম শিবপূজা করলে তবে টে থাকিয়া সকল কথা শুনিতেছে, তিনি মনে করিয়াছিলেম গুণময় ধূসী হইয়া বলিলেন—আপনার বেনেঞ্চির যে যে বীরেন ঐ ঘরের মধ্য দিয়া বাহির হইয়া চলিয়া গিয়াছে। কম অবস্থা তাতে সে ত আর বেশীদিন খাচবে না গুণময়ও আশঙ্কা করেন নাই যে কেহ পাশ-কুঠুরীতে সীমায় একটি বিয়ে না করলে ত চলবে না । লুকাইয়া থাকিয়া ঠাহীদের বড় মন্ত্ৰ শুনিতেছে । তা করবে বৈকি বাবা, তোমার আর বসে কি রাজবালা দেখিতেছিল দরজার ঈগৎ ফাঁকে এক একা হয়েছে ? তোমরা ত সেদিনকার দুধের ছেলে, ও বয়সে ত কটা চোথ চকচক কারিয়া উঠিতেছিল লোকের প্রথম বিয়ে হয়—তোমার ওপর মা-লক্ষ্মীর কৃপা পীড়িতা দ্বীৱ প্ৰতি এই মতাসীন নিষ্ঠুরতা রাজবালা তুমি একটা ছেড়ে দশটা বিয়ে করতে পার ভয়কে দ্বিগুণ বাড়াইয়া দিল ; সে ত মাছের মুথেই গল্প গুণময় চরম খুী হইয়া গেলেন। তিনি বলিলেন— নিয়াছিল যে গুণময় যখন দয়াদেবীকে বিবাহ কৰি তাইতেই ত মাসিম আপনাদের আনিয়েছি। এইসব ছিলেন, তখন তাহার প্রথম বিবাহিতা স্ত্ৰী আত্মহতা ৰাক্ষর জিনিসপত্তার সব রাজব-মায়া ত দুদিন পরে করিয়া মরিয়া যায়ে পড়িয়া ছিলেন । আবার এই খ্ৰীষণ, পয়ের বাড়ী চলে যাবে। মৃত্যুর দ্বারে উপনীত তখন তিনি তৃতীয় বিবাহের । , রাজবালার অন্তর ভয় ও গায় পরিপূৰ্ণ হইয়া এখনি বলিয়া দিবে। িকন্তু তখনি তাহায় মনে হইল স্বামী ল। সে প্ৰতিজ্ঞা করিল,—এই ভয়ানক লোককে সে এই নিষ্ঠুরতার সংবাদ হত তাহা মনে সাংঘাতি তেই বিবাহ করিবে না বাজিবে ; রাজবালার উপর তাহায় মন বিরুপ ই । গুণময় কণ্ঠস্বরে আদর ঢালিয়া বলিলেন— জু, এস ; যাইবে । তাহার আশ্ৰয়বাৰী মাতা দয়াদেবীকে কা গানে কত পাখী, খরগোশ, হরিণ, ফুল আছে দেখৰে দিবার ও অপমান করিবার বড়বন্ত্ৰ হইতেছে বলিয়া এবং প্ৰবল পরাক্ৰান্ত গুণময় এখানেও তাঁহায় রাপে রাজবালা ভয়ে বিবৰ্ণ হইয়া মায়ের আঁচল চাপিয় সুথের আশাটুকুও প্ৰাস করিতে উদ্যত হইয়াছে দেখিয় মা এক ঝটিকায় আঁচল ছাড়াইয়া লইয়া চাপা তিরস্কার ধীরেনের বুক যেন ভাঙিয়া যাইবার মতন হইল । তাহার স্থিা বলিলেন - যা ন তুই কি এখনো কচি পুৰী মনে হইতে লাগিল সে গুণময়কে তখন খুন কমিয়ে পারে"ধীরেন মায়ার খেলিবার ঘরে গিয়া যেজেয় পন্ধি আছিল রাজ ! আজি বাদে কাল যে সোয়ামী হবে সে কাদিতে লাগিল খায় করে ডাকছে, যা মায়া এতক্ষণ রাগ করিয়া মায়ের কাছে গিয়া বসি তিনি মেয়েকে জোর করিয়া ঠেলিয়া দিলেন। রাজবালা ছিল। রাজবালা ও তাহার মা সেই ধরে গিরা জল থাইতে মাৱে আঁচল দুই হাতে চাপিয়া ধরিয়া কাদিয়া ফেলিল । তাহার মা তাহার উপর বিরক্ত ও গুণময়ের নিকট বসিল দেখিয়া মায়া ধীরেনের সন্ধানে বাহির হইয়া আসিল । প্ৰতিভ হইয়া বলিলেন—অাজকে ওর লঙ্কা করছে বাবা মায়া আসিয়া দেখিল ধীরেন তখনও কঁদিতেছে । যা কাল ওকে নিয়ে যেয়ো মনে করিল সে যে মারিয়া গিয়াছিল। এ কাজা তাঁহাই মায়া ঠোঁট ফুলাইয়া দাড়াইয়া আপন মনে বলিষ্ঠা গুণময় হতাশ হইয়া ক্ষু মনে ঘর হইতে বাহির হইয়া উঠিলনিলে করে আবার কান্না গলেন। দয়াদেবীর ঘরের সামনে দিয়া তাহার চটিজুতা —দোষ হচ্ছে । জাবার চটাস-পটাস করিয়া ভাকিয়া চলিয়া গেল মায়া তাহাতেও বীরেনের কোনো সাড়া না পাইয়া নরম হইয়া নিজের ক্ৰটি স্বীকার করিতে কাঞ্চ গুণময় চলিয়া যাইতেই রাজবালা মায়ের কোলে মুখ হইয়া বলিল—মাসীকে খেলতে ডাকলে বলেই ভ ষা কাইয়৷ কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল—ম, আমি ওকে বিয়ে ব্লাগ ইল তে পারব না, ওর সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ো না তথাপি ধীরেন তাহার দিকে মুখ তুলিয়া চাহিল না ৷ তাহার মা বিরক্ত হইয়া বলিলেন—চুপ চুপ, অমন কথা কহিল না দেখিয়া মায়ার অত্যন্ত ক্লেশ বোধ হইতে লক্ষুণে কথা মুখে আনিসনে, হাতের লক্ষ্মী হেলায় পায়ে লাগিল । সে অারো নরম হইয়া বলিল-জাৰি স্বা ভাগ্যি বলে মান যে তুই জামাইএর নজরে কথনো মারব না । বীরেন কান্না থামাইয়া মায়াকে সান্থনা করিতে ইচ্ছ ধীয়েত তখনও বন্দী-শালা হইতে বাহির হইতে পারিতে করিতেছিল, কিন্তু সে কিছুতেই কাল্লা রোধ করিতে ছিল না। রাজবালার মা না নড়িলে সে পলাইবে কেমন পারিতেছিল না। তখন মারা কাঁদ-বাদ হইয়া বলিল-আমায় যাট হয়েছে খাদিকক্ষণ পয়ে তাহাকে মুক্তি দিয়া মােহিনী আসিয়া দুষ্ট পায়ে পড়ি । ডাকিল—দিদিমা, মাসিমাকে নিয়ে এস, জলখাবার দেওয়া বীরেন মুখ মুছিয়া উঠিয়া বসিয়া মায়ার যেই হাত ধলি অমনি মায়া ফ্ৰাধিয়া ফেলিয়া বীৱেনকে দুই হাতে জড়াই ( ১২ ) বিয়া তাহার গায়ে মুখ লুকাইল। বীরেন কায়ারা স্বন্ধে ঠাকুরঘরের পাশ-কুঠুরী হইতে চুটিয়া বাহির হইয়াই বলিল—আমি তোমাৱ মাৱ খেয়ে কাদিনি মায়া । তুৰি রেন্থের মনে হইল সমস্ত যন্থের কথা দয়াদেবীকে গিয়া