পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& e প্রবাসী—বৈশাখ, ১৬৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড উদ্বেগু সিদ্ধ হুইবে না । আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট বা রাষ্ট্রপতি নিৰ্ব্বাচনও ঘনাইয়া আসিতেছে। এখন যদি প্রেসিডেন্ট কুলিজ ইংরেজদের সঙ্গে যোগ দেন, তাহা হইলে তাহা তাহার প্রতিযোগী দল দ্বারা তাহার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হুইবে । তাহাতে র্তাহার পক্ষে কিছু ভোট কমিয়া ধাইতে পারে। সম্মিলিত নির্বাচন ব্যবস্থাপক সভfয় দেশের প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ প্রণালী এক্ট, যে, যে-কোন ধর্মের ও জাতির লোকের নির্বাচন-প্রার্থী হইতে পারেন, এবং যাহাঁদের পক্ষে বেশী ভোট হইবে, র্তাহার। নিৰ্ব্বাচিত হইবেন । তাহা অপেক্ষ নিকৃষ্ট অথচ কিছু ভাল বন্দোবস্ত এক্ট, যে, সাধারণ নির্বাচন ছাড়া কোন কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের নির্দিষ্ট কয়েক জন করিয়া প্রতিনিধি পাইবার অধিকার থাকিবে, কিন্তু সকল সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা তাহারা নির্বাচিত হইবেন । নিকৃষ্টতম বন্দোবস্ত, সাধারণ নিৰ্বাচন ছাড কেবল সম্প্রদায়বিশেষ দ্বারা তাহাদের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন । এই নিক্লষ্টতম বন্দোবস্তুই ভারতবর্ষে প্রচলিত আছে । সাম্প্রদায়িক নিৰ্ব্বাচন প্রধানতঃ মুসলমানদের ইচ্ছানুসারে প্রবর্তিত হইয়াছে। সম্প্রক্তি ভtহাদের কয়েক জন নেতা বলিতেছেন, যে, তাহার কয়েকটি সর্তে দ্বিতীয় প্রকার নিৰ্ব্বাচনে রাজী হষ্টতে পারেন ; কিন্তু তাহীদের প্রস্তাব মুসলমান সম্প্রদায় দ্বারা অনুমোদিত হইলে পর তবে ভাহা কার্ষ্যে পরিণত হইতে পারে । কোন কোন সৰ্ব এইরূপ — সিন্ধুদেশকে বোম্বাই প্রেসিডেন্সী হইতে পৃথক্ করিয়া একটা আলাদা নূতন প্রাদেশিক গবন্মেণ্টের অধীন করিতে হইবে । সিন্ধুদেশের অনেক হিন্দু ও মুসলমান এই প্রস্তাবের বিরোধী। আমরা বাহিরের লোক ; আমাদের জিজ্ঞাস্য, একটা স্বতন্ত্র প্রাদেশিক গবন্মেণ্টের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিতে সিন্ধুদেশ পরিবে কি ? উত্তর-পশ্চিম সীমাস্ত প্রদেশে ব্যবস্থাপক সভা ও স্বৈরাজ্য আদি ভারত-শাসনসংস্কার আইন অনুযায়ী সমুদয় বন্দোবস্ত চালাইবার সত্ত্বও করা হইয়াছে। আমরা বাঞ্ছিরের লোক জিজ্ঞাসা করি তেfছ, এইসব ৰন্দোবস্তের খরচ উক্ত প্রদেশ দিতে পারিবে কি ? ঐ স্থই প্রদেশে মুসলমানদের সংখ্যা খুব বেশী। কোহাট ও লড়কানায় মুসলমানের যেরূপ স্বশাসন-প্রিয়তা ও সভ্যজীবনযাপনেচ্ছার পরিচয় দিয়াছেন, তাহাতে । প্রস্তাবিত নূতন বন্দোবস্তে হিন্দুদের খুব আগ্রহ হইবার কথা নয়। আর-একটি সর্জ, পঞ্চাবে ও বঙ্গে লোকসংখ্যার অনুপাত অনুসারে মুসলমান ও অমুসলমান প্রতিনিধির সংখ্যা নির্ণীত হইবে ; এবং বর্তমান অন্ত যে-সব প্রদেশে ব্যবস্থাপক সভা আছে, তাহাতে সংখ্যায় নুন সম্প্রদায়-- দিগকে তাহাদের সংখ্যার অনুপাত অপেক্ষ কিছু বেশী প্রতিনিধি দেওয়া হইবে । এই সর্জ অনুসারে কাজ হইলে ফল এই হইবে, যে, পঞ্চাবে ও বঙ্গে মুসলমানদের সংখ্যা বেশী বলিয়া তাহদের প্রতিনি ধর সংখ্যা বেশী হইবে, এবং অন্যান্ত প্রদেশে মুসলমানের সংথ্যায় কম বলিয়া সংথ্যার অনুপাত অপেক্ষ বেশী প্রতিনিধি পাইবে । সংখ্যায় নৃন সম্প্রদায়রা প্রত্যেক প্রদেশেই সংখ্যার অন্থপাত অপেক্ষা বেশী প্রতিনিধি পাইবে, এই নিয়ম হইলে পঞ্জাব ও বাংলfর হিন্দুরাও তাহার স্থবিধা পাহত, কিন্তু পঞ্জাব ও বাংলার সম্বন্ধে স্বতন্ত্র প্রস্তাব করা হইয়াছে। অদ্য যে-সব প্রদেশে এখন ব্যবস্থাপক সভা আছে, তাহীতে মুসলমানরাই সংখ্যায় কম, স্বতরাং তাহারা সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতিনিধি পাইবে । এরূপ একপেশে বন্দোবস্তের আমরা বিরোধী । হয় সৰ্ব্বত্রই কেবল মাত্র সাম্প্রদায়িক সংখ্যা অনুসারে প্রতিনিধির সংখ্যা নির্দিষ্ট হউক, কিম্বী সৰ্ব্বত্রই সংখ্যায় নৃনদিগকে কিছু বেশী প্রতিনিধি দেওয়া হউক। কেবল মাত্র মুসলমানদের সুবিধার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া কোথাও একরকম - ওঁ, কোথাও অন্ত রকম সৰ্ত্তের প্রস্তাব করিলে তাহা গ্রহণীয় হইবে না। শিশু ও বালকবালিকারা নিৰ্ব্বাচনে কোথাও ভোট দিবার অধিকারী নহে। বঙ্গে তাহাদিগকে বাদ দিলে প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের সংখ্যা অন্ত সব সম্প্রদায়ের প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের সংথ্যা অপেক্ষ বেশী হয় না। সুতরাং এই প্রদেশে মুসলমানদের বেশী প্রতিনিধি পাইবার দাবী স্থায্য নহে। ইহা সেন্সাস রিপোর্ট হইতে সংখ্যা উদ্ধৃত কfরয়। মডার্ন রিভিউয়ে দেখান হইয়াছে । ৰঙ্গে নারীনিগ্ৰহ ঘরে বাইরে এই প্রদেশে নারীনিগ্রহ বহুবৎসর ধরিয়ী চলিতেছে। বাংলা খবরের কাগজ খুলিলেই ইহার অন্ততঃ দুই একটা সংবাদ প্রত্যহ চোথে পড়ে । কোন কোন সংবাদ অতি ভীষণ । গবন্মেণ্টের ও জনসাধারপেক্ট পক্ষ হইতে ইহার আশু প্রভিকার হওয়া একান্ত আবস্তক ১