পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনিকেতন শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলম্বের বাণী অরণ্যের সব জায়গাতেই প্রবাহিত হচ্ছে দক্ষিণ সমীরণে ; হয়ত কোনো গাছ নিজাব, এই জাহানের সে জবাব দিলে না—সে তার পত্রপুষ্প বিকশিত করলে না, সে মূচ্ছিত হ’য়েই রইল। ষে গাছের জন্তরে রসের ধারা আছে বপস্তুের রস-উৎসবের নিমন্ত্রণে সে পত্র পুষ্প বিকশিত হয়ে উঠে। বিশ্ব প্রাণের আহানে যখন বিশেষ প্রাণের মধ্যে তরঙ্গ ওঠে তখনই ত উৎসব । আমাদের দেশেও নিয়ত ডাক পড়ছে, দৈববাণী আকাশে বাতালে নিয়তই নিঃশ্বসিত। যেখানে সে-বাণী সাড়া পায়, প্রাণ জেগে ওঠে, সেখানেই আমাদের উংসবক্ষেয় রচিত হয় ; স্বষ্টি-কার্ধের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিত্ত আপনাকে উপলব্ধি করতে থাকে। আমাদের শান্তিনিকেতনের প্রান্তরে একদিন এই জাহানধবনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে । সেই আহবানকে যে পরিমাণে স্বীকার করা হয়েছে সেই পরিমাণে আমাদের সকলকে উপলক্ষ্য ক’রে একটি স্বষ্টির সূচনা হ’ল । কোথায় ধে তার শেষ তা কেউ বলতে পারে না । স্বর্ধারিণসম্পাতে পৰ্ব্বতশিখরে নিশ্চল কঠিন তুষার যেদিন গ'লে যায়, সেদিনকার স্রোতে ধারা যে কোন কোন দেশকে ফল-শাগী ক'রে সাগরে গিয়ে পৌছবে সেদিন তা কেউ নিশ্চিত জানে না । কিন্তু গতি ধেই সঞ্চারিত হয় অমনি সে তার আপন বেগে আপনার ভাগ্যকে বহন ক'রে চলে। কত বিচিত্র শাখায় যে তার পরিণতি হ’বে সে তার অগোচর, এইটুকুতেই তার সার্থকতা যে, তার রুদ্ধশক্তি মুক্তি পেয়েছে। সেই মুক্তির একটি রূপ আমাদের এই প্ৰান্তরে একদা দেখা দিয়েছিল । এখানে একদিন আমরা কোনো একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের পত্তন করেছিলাম, তাই নিয়ে গাত্মাভিমানের ছোট কথাটি আজকের কথা নয়। আম<वब चानच झन्छ् ५३ cब, १३१itन १ब्रभ ३छ्द्र मात्र আমাদের ইচ্ছার মিলন হ’বার চেষ্টা জেগেছে ; সেই মিলনসাধনের তপোভূমি প্রস্তুত । আজু তপস্যার দীক্ষাগ্রহণের স্মরণের দিন। আজ মনকে মন্ত্র বর, আপনার মধ্যে যে-দীনতা রয়েছে তার বস্তুন ছিন্ন কর-আনন্মে এবং গৌরবে। আজকে বিচার ক’রে দেখ তে হবে যে কাজের ভার নিয়েছি তার প্রকৃতি কি। আমাদের উদ্ব ওটু নিয়ে আমরা দাত৷ বৃত্তি করতে চাইনি। দেশের মধ্যে যে প্রাণ-শক্তি মূচ্ছিত হ’য়ে পড়েছে তাকে সতেজ করবার সঙ্কল্প আমাদের। এই প্রাণের দৈন্তই আমাদের সকলের চেয়ে বড় অপমান—বাইরের অপমান তারই অতুষঙ্গিক । পশ্চিম মহাদেশে আমরা দেখেছি যে, সেখানে মাইয বিশেষ বিশেষ কেন্দ্রে আপন শক্তিকে সংহত করে । প্রধানত সেখানকার সহরগুলিই তার প্রাণের আধার। কিন্তু আমাদের প্রাচ্য দেশে, বিশেষ ক’রে ভারতবর্ষে ৪ চীনে প্রাণ পরিষ্যাপ্ত হয়েছিল গ্রামে গ্রামে সকল দেশে। সামাজিক দায়িত্ব বোধের স্ব ভশ্চেষ্ট স্বায়ুজাল সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত ছিল। কিন্তু আমাদের কোন ভাগ্য দোষে সমাজের সেই ব্যাপক ব্যবস্থার সূত্র ছিন্ন হ'য়ে গেল। রাজশক্তি আমাদের সেই সমাজশক্তির স্বাধীন স্মৃত্তিকে চারদিক থেকে নিরস্ত ক'রে দিলে। তার প্রাণের প্রবাহ আপনার যে খাদে সহজে সঞ্চরণ করত, ব্যবসা বাণিজ্য ও শাসনকাৰ্য্যর হুবিধা করবার জন্তে তারই মাঝে মাঝে বাধ তুলে দিয়ে তাকে বিচ্ছিন্ন ক'রে দিলে । এই বঁধগুলিই হচ্ছে সংর। এ আমাদের দেশের প্রাণপ্রকৃতির মূলে ঘা দিয়েছে। সহরের সমারোহ আপন কৃত্রিম আলোর তীব্ৰভায় দেখতেই দিচ্ছে না, তার বাহিরে ঘন দুঃখের ছায়া কিরূপ অন্তহীন । অল্প নেই, গুল নেই, স্বাস্থ্য নেই, শিক্ষা নেই, আনন্ম নেই ; আলোর পর আলো একে একে নিবল। যদি দেখতুম ঘা হারিয়েছি,