পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سولاو\% আছেন । কার সাধ্য নিজে ঠিক থাকূলে সতীলক্ষ্মার কোনো অনিষ্ট করে ? এই নখে ক’রে তার গল ছিড়ে ফেলতুম না ?” শোভাবতী বলিল, “এখন ভালয় ভালয় ছেলেটি হ’য়ে যায় তবেই বঁifচ। খাণ্ড চীকে অনেক ব’লে ক’য়ে ত রেখেছি, দেখি সে-সময় আসতে দেয় কি না। মা নেই আমাদের, বড় বোন না দেখলে আর কে দেখবে ? অবপ্তি ভবানী ত রয়েইছে ; সে মায়ের চেয়ে কম কিছু করবে না। তবু আমি এলে, তোর মনট একটু ভাল থাকৃত। প্রথমবার মানুষ ভয়েই আধমরা হয়ে থাকে।” ভবানী বলিল, “কিছু ভেবোন বাছ ; যতক্ষণ আমি বুড়ী বেঁচে আছে, ততক্ষণ ভাঙ্গুর যত্নের কোনো ক্রট হবে না। বাবু বলছিলেন খ্ৰীষ্টানী নস আনবেন । আমি মুখের উপরই ব’লে দিলাম, ‘কেন আমি কি কোন নসের চেয়ে কাজ কম জানি ? এই যে তোমরা এতগুলি ভাই বোন হ’লে জুপুরে ; ক’ট। খ্ৰীঃানী এসেছিল তোমার মায়ের জন্তে ?” ভাসুম শ্ৰী বলিল, “সে কথা ঠিক ভাই, মেজদি । ভবানী যতটা প্রাণের টানে করবে, এমন কোনো মাষ্ট্ৰনেকরা নস করবে না। তার উপর সব নসের ভাই, কাজ ভাল না, বড় যন্ত্রণাও দেয় এক একট। সে দিন ভাদুড়ীদের সেজ বেী বললে এক নসের কাহিনী—” এমন:সময় দুর্গ। চীৎকার করিতে করিতে আসিয়া জোটাতে শোভাবত তাহকে সাস্তুন দিতে গেল । ভবানীরও নীচে কাজ ছিল, সে নামিয়া গেল । ছাদের উপর ঘনায়মান অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়া হিল একাকিনী ভীমুমতী । দিনের বেলট। তাহার একরকম করিয়া কাটিয়৷ যাইত। শোভাবতা ও ভবানীর অবিশ্রাম চেষ্টায় সে একল বসিয়া ভাবিবার বড় একটা অবসর পাইত না । নিতান্ত কাৰ্য্যগতিকে শোভাবতীকে সরিয়া . যাইতে হইলেও সে দুর্গাকে বোনের ঘাড়ে ফেলিয়া যাইত । মেaেfট এমনই লক্ষ্মীর সাক্ষাৎ অবতার ষে তাহকে সামূগাইতে গিয়া তাহাব মাসীর প্রায় নিজেরই নাম জুলিয়া যাইবার অবস্থা হইত, তা সে জন্য কথা প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড চিন্তা করিবে কি ? পাড়ার মেয়েরাও মাঝে মাঝে বেড়াইভে আসিত । কাজেই দিনের বেলাট সঙ্গিনীর অভাব ভানুমতীর প্রায়ই হইত না । কিন্তু সন্ধার সঙ্গে সঙ্গে তাহার বুকের ভিতরটাও যেন আঁধারে ভরিয়া উঠিত। তাহার বিগত জীংনের স্বধের স্মৃতি সার বাধিয়া তাহার চোখের সাম্নে ছায়া-চিত্রের মত নাচিতে আরম্ভ করিত। কাদিতেও তাহার ইচ্ছা হইত না। শোক যেন তাহার গল। টিপিয়া ধরিত। ইচ্ছা হইত কোনো রকমে এই আশাহীন দুৰ্ব্বহ জীবনকে শেষ করিয়া দেয়। বঁrচিয়া থাকিয় তাহার অfর লাভ কি ? সে যভট পাইয়া হারাইঃ, এমন জগতে কয়ট মেয়ের অদৃষ্টে জোটে পাইবার যোগ্যতা তাহার কিছুই ছিল না । মধ্যবিত্ত গৃহস্থ ঘরের চার মেয়ের এক মেয়ে সে ; পিতা টাকাকড়ি কিছু অপর্যাপ্ত পরিমাণে তাহার পিছনে ঢালিয়া দিতে পারেন নাই। তবুত সে রাজরাণী হইয়৷ শ্বশুরপৃহে পা দিয়াfছল । তাহার সেী ভাগ্য দেখিয়। হিংসায় বুক ফাটে নাই এমন মানুষ সেদিন কয়ট ছিল ? এই কথা মনে আসিতেই সৰ্ব্বপ্রথম তাহার মনে আসিত উলয়ের মুখ। এই লোকটি যেন তাহার অদৃষ্টাকাশে ধূমকেতুর মতই উদিত হইয়াছিল। তাছাকে দিয়া প্রমদারঞ্জনের বংশের কাহার ও কোনো ভাল কোনে। দিন হয় নাই, এবং হইবেও যে না সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল না। জ্ঞানদার প্রতি তীব্র ঈর্ষ। তাহার প্রতি কথায় কাজে এমন তবে ফুটয়া উঠিত যে, নিতান্ত জড় বুদ্ধির ৪ তাহা চোখে লাগিত । ভাতুমতীর বিবাহের সময় অবশ্ন ঘরের ছেলের দাবীতে সে অবাধে উৎসবে যোগ দিতে আসিয়াছিল ; কিন্তু ইহার মনে যে কোনো কল্যাণ-ইচ্ছা নাই তাই নববধূর নূতন চোখেও ধরা পড়িয়াছিল। তাহার পর ত সে স্বামীর কাছে সব কথা শুনিলই। স্বামীর প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার সঙ্গে সঙ্গে তাহার নিত্য অনিষ্টকামী এই দেবরটির প্রতি ভানুমতীর একট। তীব্র বিদ্বেষ জন্মিয় গেল । ● উদয় একটু মুস্কিলেই পড়িয়াছিল। আগে জ্যাঠা মহাশয়ের বাড়ীতে তাহার বিশেষ গতিবিধি ছিল না, তাহাকে কেহ যে ভাল চোখে দেখে না সেট। তাছার