পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭e দেখিয়া লইয়া উদয় বলিল, “বহন না বৌঠান, আপনি দাড়িয়ে রইলেন কেন ?” মহেশবাবুকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “ওঁকে ডাক্তার-টাক্তার দেখান হয়েছে ত ? প্রথমবার অনেক রকম বিপদের আশঙ্ক থাকে, আগে থেকে সাবধান হওয়া ভাল।” মহেশবাবু ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “কই, তেমন ভাল ডাক্তার ত দেখানো হয়নি ? পাড়াতেই একজন লেভী ডাক্তার আছেন, অনেককাল কাজ ক'রে তার বেশ অভিজ্ঞর্তা আছে, তিনিই একদিন এসে8দেখে গেছেন। র্তাকেই ডাকুব মনে করেছিলাম। তা তুমি যদি "اسستق آة)ة উদয় মহা ব্যস্ত হইবার ভান করিয়া বলিল, “না, না, ও সব লেডী ভাক্তার-ফাক্তারের কৰ্ম্ম নয়। ওরা জানেই বা কি ? ভাল দেখে স্প্যোলিষ্ট আনতে হবে ; ট্রেন্ড, নস আনতে হবে। এখন থেকে সব ঠিক করা দরকার। আমার জানা বেশ ভাল লোক আছে, আপনি অতুমতি দেন ত আমি আজই গিয়ে সব ঠিক করতে পারি।” মহেশবাবু যেন কুতার্থ হইয়া গেলেন, বলিলেন, “বেশ ত বাবা, তা হ’লে ত আমি বেঁচে যাই । গিরি নেই, কি ক’রে যে কি হ’বে ভগবানই জানেন । তবু ভাল ডাক্তার, নস থাকৃলে অনেকট। ভরসা। তোমার জানা যদি ভাল বিচক্ষণ লোক থাকেন, তুমি তাদেরই ঠিক কর।” উদয়ের আত্মীয়তা এবং পিতার ভদ্রতার আতিশয্যে ভানুমতীর সর্বাঙ্গ জলিয়া গেল । এ হতভাগাকে কোথায় ঝাট মারিয়া বিদায় করা হইবে, না তাহাকে লইয়া যত ঘরের কথা ! বুড়া হইলে মামুযের মাথার ঠিক থাকে না যে বলে, তাহ নিতান্ত মিথ্যা নয়। নিজের নিযুক্ত ডাক্তার ও নস যে উদয় কি মতলবে আনিতে চাহিতেছে, তাহাই বা কে জানে ? কোনো শুভ ইচ্ছ। কি তাহার মনে থাকা, কখনও সম্ভব ? যদিও উদয়ের সামনে বেশী কথা বলিবার তাহার একেবারেই ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু দায়ে পড়িয়া সে বলিয়াই ফেলিল, “সে কি বাবা, মিসেস মিভিরকে কথা দিয়ে রাখা হয়েছে ; এখন অন্ত ডাক্তার কি ক’রে ঠিক করবেন । তাকে না জানিয়ে কিছুই করা: চলে না ।” প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড উদয় মুখ গম্ভীর করিল। মহেশবাবু টাকে হাত বুলাইতে-বুপাইতে বলিতে লাগিলেন, “ও তাইভ, তাইত. আমার মনে ছিল না। এখন ত আর কাউকে বল}. চলে না ।” - পাছে তাহার আসন্ন মাতৃত্বের আলোচনা আরো বেশী উদয়ের সাম্নে হয়, এই ভয়ে ডাকুমতী তাড়াতাড়ি উঠিয়া বাহির হইয় গেল। যাইবার সময় ইচ্ছা করিয়াই উদয়কে কোনো বিদায় সম্ভাষণ করিল না । বাবা তাহার সহিত যত খুসি আত্মীয়তা করুন, কিন্তু ভানুমতীকে সে ভুলাইতে পারিবে, একথা ধেন স্বপ্নে ও মনে না করে । বাহিরে আসিয়াই সে ভবানীর খোজ করিল, কিন্তু, কোথাও তাহাকে দেখিতে পাইল না । শোভাবতীর সঙ্গে ঝগড়া করিতে গিয়া দেথিগ, সে পাশের বাড়ীর এক বেীএর সঙ্গে দিব্য জমাইয়া গল্প জুডিয়া দিয়াছে । অগত্যা সে আবার ছাদেই ফিরিয়৷ গেল ; উত্তেজনায় তাহার তখনও পা কঁাপিতেছিল, ছাদেরই এক কোণে সে বসিয়া পড়িল । অনেকক্ষণ একলাই বসিয়া রহিল । শোভাবত তাহার খোজে আসিয়া বলিল, “ওম, একলাটি অন্ধকারে কি করছিস্ ব’সে ?” ভানুমতী বলিল, “করব আর কি ? তোমরা ধ। ঘট। ক’রে অতিথিসৎকার আরম্ভ করেছ, আমার ত দেখে দুই চোখ একেবারে জুড়িয়ে গেছে।” শোভাবতী তাহার কথার ঝাঝে হাসিয়া বলিল, “তা যাই বলিস, কুটুম ত ? একটু আদর আপ্যায়ন না করলে তোর শ্বশুরই বা ভাববেন কি ? তিনিই পাঠিয়েছেন যথন ?” ভানুমতী বলিল, “কঙ্কনো তিনি পাঠননি । ও মুখপোড়া মিছে কথা বলছে। তিনি আর ওকে চেনেন না ?” ভবানী সিড়ি হইতে ডাকিয়া বলিল, “ওগে, শোভ), তোমার মেয়ে কেঁদে কেটে অনখ করছে, বাছা । সে জার কারে হাতে থাবে না, ঘরময় ভাত ছিটচ্ছে ।” “श्रा:, कि लकौ cभtघ्नई ट्tषtरू चाभाद्र !” यजिब्राँ শোভাবতী নামিয়া গেল । ভবানী আসিম্বা ভাকুমতীয় কাছে বলিল ।