পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&88 জেনীভ জাতিসংঘের সন্মিলন-গৃহ অনেকের মুখ দেখিলে মনে হয়, যেন, মানুষগুলা চটিয়া রাগিয়াই আছে, ম্বেন কাহাকেও আক্রমণ করিতে বা বগুতাস্বীকার করাইতে যাইতেছে। ইউরোপে ঠিক এই ধরণের চেহারা বেশী চোখে পড়ে নই। তাহার কারণ সহজেই বুঝা যায়। এদেশে ইউরোপীয়রা বিশেষত:, ইংরেজরা, অকুভব করে, যে, তাহাদের অস্বাভাবিক প্রাধান্ত ও প্রভূত্ব রক্ষার একটা প্রধান উপায় বাহ্য ও মানসিক মারমূৰ্ত্তি পরিহার না করা । কিন্তু তাহদের নিজের দেশে—স্বাধীন দেশে, ভtহাদের এরূপ ব্যবহার অনাবশ্যক, এবং তথায় চোখরাঙানি সহ্য করিবার লোকও খুব কম। নানাজাতির খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মসংস্কারকদের মুক্তিগুলি গম্ভীরভাবোন্ধীপক । বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে একটি উচ্চ ও দীর্ঘ প্রস্তর-প্রাচীরের গাত্রে এই মুক্তিগুলি উৎকীর্ণ। প্রাচীরটির একটি অংশের ছবি দেওয়া হইল। ক্যালভিন, জন নক্স , হুস প্রভৃতির এই মূৰ্ত্তিগুলির নীচে বাইবেল হইতে উদ্ধৃত বচন খোদিত আছে। প্রাচীরটির পাদদেশে একটি কৃত্রিম জলস্রোত প্রবাহিত । তাহার জল স্বচ্ছ ও নিৰ্ম্মল। তাহাতে শ্বেতপদ্মের মত ফুল ফুটিয়া রহিয়াছে। দেখিয়া আমার কবিঋষিদের বর্ণিত প্রেমভক্তিকমলশোভিত অনন্ত জীবনস্রোতের কথা মনে পড়িয়াছিল । জেনীভার অন্য একটি স্মারক প্রস্তরমূৰ্ত্তি স্বাধীনতাপ্রিয় স্থইস্দের ইতিহাসের একটি ঘটনার কথা লোককে ভুগিতে দেয় না। ১৫১৯ ঈশাবে ফিলবেয়ার বাবৃতেলিয়ে নামক এক বীর পুরুষের ফাসী হয়। যেখানে তাহার ফাসী হয়, এখন সেখানে একটি অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । সেই কারণে বোধ হয় ফ{সীর ঠিক জায়গাটিতে তাহার মূৰ্ত্তি রাখিবার জন্য ভাং বাড়ীটির প্রাচীরসংলগ্ন করিয়া রাখা হইয়াছে। ফিলবেয়ার বা বৃতেলিয়ে নিজের ধৰ্ম্মবুদ্ধিসম্মত মত প্রকাশের অধিকার ত্যাগ না করায় র্তাহার ফাসী হয়। যে তারিখে তাহার ফাসী হইয়াছিল, প্রতি বৎসর সেই তারিখে জেনীভার নাগরিকের মূৰ্ত্তিটিকে পুষ্পমাল্যবিভূযত করিয়া এবং বক্ত তদি করিয়৷ তাহার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। লীগ অব নেগুৰুসের সেক্রেটারিয়্যাটের (দপ্তরখানার } জন্য ডমী কেন হইয়াছে, বাড়ী এখনও নিৰ্ম্মিত হয় নাই। এথন যে-সব বাড়ীতে লীগের আফিসাদি আছে, তাই