পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१b” প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ইহা গেল ইচ্ছাকৃত নিষ্ঠুর অত্যাচারের কথা । কিন্তু সামাজিক সম্মানধৃদ্ধির জন্য এবং লোকাচার দেশাচারের अष्ट्रनग्न५ कब्रियाग्न छन्नु थाइ कन्न। इग्न, उश्। कम নিষ্ঠুরতা নহে। কলিকাতা সহরে ও অন্য অনেক সহরে পুরুষ অপেক্ষ নারীর মৃত্যুর হার অনেক বেশী । এই কারণে কলিকাতার স্বাস্থ্যকৰ্ম্মচারী ইহাকে মাতৃহস্ত নগর বলিয়াছেন। এরূপ ভীষণ মৃত্যুর হারের কারণ যথেষ্ট আলো ও বাতাসহীন গৃহে দিন রাত বাস, বাল্যমাতৃত্ব, অপকৃষ্ট স্থতিকাগার, সস্তান হইবার পর যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য না পাওয়া, রোগের সময় উপযুক্ত চিকিৎসা ও শুশ্ৰুষ না হওয়া ইত্যাদি। তম্ভিয়, জ্ঞান হইতে বঞ্চিত করিয়া অমান্বষ করিয়া রাখা আর এক নিষ্ঠুরতা। Pএইরূপ নানাপ্রকারে বঙ্গনারী নগণ্য-বিবেচিত ও অবহেলিত হওয়ায় নিজেদের শক্তিসামর্থ্য সম্বন্ধে আস্থাহীন হইয়াছেন। মৃতরাং তাহার। যদি স্বয়ং নারীনির্যাতনের প্রতিকার চেষ্টা করিতে না পারেন, তাহ। ততটা তাহাদের দোষ নহে, যতট। সমাজের । বাঙালী পুরুষের কেন নারীরক্ষা সম্বন্ধে উদাসীন বা অসমর্থ, তাহারও অনেক কারণ আছে । অধিকাংশ বাঙালী গ্রামে বাস করে, সহর বাংলা দেশে খুব কম । অধিকাংশ বাঙালী কৃষিজীবী ও নিরক্ষর । যাহাদের নারীদের উপর অত্যাচার হয়, তাহারা অধিকাংশস্থলে “নিম্ন"শ্রেণীর গ্রাম্য লোক, কৃষিজীবী ও নিরক্ষর—যদিও সব স্থলে নহে । ইহার নান কারণে দুৰ্ব্বল, নিস্তেজ ও নিবাঁধ্য হইয়াছে। সামাজিক চাপে তাহার পিষ্ট । “নিম্ন” শ্রেণীর লোকের “উচ্চ” শ্রেণীর সামাজিক শাসনে ও লোকাচার-দেশাচারে পিষ্ট : তাহাদের মাথাটা নত এবং শিরঙ্গাড়াটা বঁকা হইয়াই আছে ; তাহাদের নিকট অত্যাচার দমনের তেজের প্রত্যাশ করেন কেন ? “উচ্চ” শ্রেণীর গ্রাম্য লোকেরাও সমাজ, লোকচার, দেশাচারের তয়ে আড়ষ্ট । গ্রাম্য লোকদের উপর দ্বিতীয় চাপ জমীদারদের ও তাঁহাদের নায়েব গোমস্ত নগন্ধী প্রভৃতির। তৃতীয় চাপ, পুলিসের চৌকিদার, কনষ্টেবল, জমাদার প্রভৃতির। এবং সৰ্ব্বোপরি বিদেশী শাসন-যন্ত্রের চাপ ত সকলের উপর আছেই। এই প্রকারে নিষ্পেষিত লোকদের কাছে বীরত্ব ও তেজস্বিতার আশা কর যুক্তিসঙ্গত নহে। আর একটা কারণেরও এখানে উল্লেখ করা দরকার। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব শতাব্দীতে বাঙালীর সৈনিক হইয়া যুদ্ধ করিত কিনা, তাহার আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক ; বর্তমানে গ্রাম্য কৃষিজীবী নিরক্ষক বাঙালী সিপাহী হয় না, ইহারই উল্লেখ এখানে প্রাসঙ্গিক । যুদ্ধে অনভ্যস্ত হওয়ায় অস্ত্রাঘাত ও রক্তপাতের ভয় বাঙালীর বেশী। মুসলমান বাঙালীর অস্ত্রভয় ও রক্তপাতের ভয় অপেক্ষাকৃত কম এই জন্য, যে, তাহারা অধিকতর মাংসাশী এবং জবাই করিতে ও শিকার করিতে অভ্যস্ত। আমি স্বয়ং নিরামিষাশী ও শিকারে অনভ্যস্ত হইলেও, ধেরূপ অভ্যাসের ফল যাহা তাহ লিখিতে বাধ্য। হিন্দু বাঙালী ও মুসলমান বাঙালীতে আর একটা প্রভেদ এই, যে, মুসলমানের জাহাজে লস্কর হইয়া বিদেশে যায়, হিন্দুরা লস্কর হয় না । আহাতেও উদ্যম ও সাহসের তারতম্য ट्ध्र । নগরবাসী “উচ্চ” শ্রেণীর বাঙালীর গ্রামবাসিনী নারীদের উপর অত্যাচারে কতটা ব্যথিত বা উদাসীন ঠিক্‌ জানি না । তাহারা যে কতকটা উদাসীন, তাহাতে সন্দেহ নাই। তাহার একটা কারণ, মমত্ব-বোধের অভাব। বস্থবৎসর পূৰ্ব্বে যখন রবীন্দ্রনাথ একবার পঞ্জাব গিয়াছিলেন, তখন সীমাস্তের পাঠানের একটি পঞ্জাবী হিন্দু বালিকাকে অপহরণ করিয়া লইয়া যায়। এবিষয়ে পঞ্জাবী ভদ্রলোকদের ঔদাসীন্য দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ সে বিষয়ে তাহদের সহিত কথা কহিতে আরম্ভ করায় এক জন বলিলেন, “সে বেনের মেয়ে” (বানিয়াকি লড়কী)–যেন তাহ হইলে "উচ্চ” শ্রেণীর হিন্দুদের তাহার সম্বন্ধে কোন কৰ্ত্তব্য নাই ! এইরূপ একটা ভাব বাঙালী “ভদ্র’ লোকদের মনের কোণে লুকাইয়া আছে কি না, জানি না। অর্থাৎ আমরা ব্রাহ্মণ কায়স্থ বৈদ্য ; তারা মাহিষ্য, যোগী, বেহার, বৈরাগী, ইত্যাদি ; তাহাদের মেয়েদের উপর অত্যাচার হইলে আমাদের কি ? নারীনির্ধ্যাতনের সংবাদ প্রতিনিয়ত পাইয়া বাঙালী সম্পাদকেরা, ষে সব অঞ্চলে এইরূপ ঘটনা ঘটে, তথাকার অধিবাসীদের উদ্দেশে অনেক ধিক্কার ও উত্তেজনাৰাক্য