পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ጫbo প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সন্ধ্যার দিকে রাস্তাতেই খুব জাক ক’রে ইপোনি উঠে গেল। একটা গাড়ি ঠিক করতে রাস্তার মধ্যে আসূতেই বেইসের মত একটা মোটর অতি আচমকা একেবারে ছড়মুড়িয়ে এসে পড়ল কাধের উপর। তার পর ঘবড়াতে ঘষড়াতে শ্যামপদবাবুর কাছে খবর গেল। অনুপমা একবার যেতেও চাইল কেঁদে। বাপ বুঝিয়ে বললেন—এখন গিয়ে কি আর এগোবে বল ? গঙ্গায় না হোকৃ কলতলাতেই শাখা ভাঙলে চলবে। পানটা আর চিবোস্নি, মা । মা’র কাছে তার পৌছল না। ঠিকানা বদল করেছেন। আরো একবার রাজা । সষাইর কাধের ওপর । ওর জন্যই ত আজকের স্বৰ্য্য অস্ত যাচ্ছে । ওর জন্থই ত-লুীর চোখে এক বিন্দু আশ্র متتفتتات يتتحتية যক্ষ-কবি ঐ কালিদাস নাগ কবি কবি, ব’লে গেল স্বৰ্গবাণী কবি যক্ষবরেরে উদ্দেশি’ : তুমি নাকি একে গেছ চিরন্তন বিরহের ছবি বিরহের এ বিরাট কাব্য-স্থষ্টি মাঝে মেঘদূত-পটে ? জীবন্ত বিরহ কোথা কবি ? এ ধরার চিরন্তন বিরহের গান চিররাত্রি দিনমান বাজিয়া বাজিয়া নাকি উঠে তব মেঘমন্ত্র শ্লোকে ? झु८% भूभ दिव्रशैच्न झण নিবিড় বেদনাঘাতে হইয়া বিহবল পেয়েছে সাম্বন নাকি তোমার ও অমর সঙ্গীতে ? এই প্রশ্ন কখন চকিতে জাগিয়া উঠিল এক বিরহীর বুকে কৰ্ম্মহীন স্বপ্ন ভরা এক আষাঢ়ের অশ্রাস্ত বর্ষণে ; বহুবার অধ্যয়নে স্নান ছিন্ন মেঘদূতখানি বুকের উপরে নিল টানি, হৃদি-রক্ত-নৰ্ত্তনের স্তব্ধ মন্দ তালে মন্দাক্রাস্ত ছন্দ গাঁথি পরিচিত শ্লোক নির্জনে পড়িয়া গেল । পাঠ পরিহরি’ সহসা ক্রকুট করি’ অতৃপ্তি-বেদনা-মাখা স্বরে স্ব ব্লগের অধিবাসী একে গেছ স্বৰ্গভোগ ছবি ; বর্ষব্যাপী মর্ত্যের প্রবাসে শিখ নাই বুঝ নাই মর্ত্যের বিরহ । স্বজিয়াছ মায়া-অলকার কল্পলোক যেথা অহরহ অভ্রংস্কৰ্য মণিদীপ্ত প্রাসাদের মাঝে স্নিগ্ধ মৃগম্ভীর স্বরে গুমরি গুমরি’ গীত বাজে, স্বমোহন ইন্দ্রধস্থ স্বপনের মত! স্বরে বর্ণে হযমায় করে একাকার চারিধার ভরে গেছে নিত্যবসন্তের মহোৎসবে,— নিত্যপুষ্পপাদপের কাছে উন্মত্ত ভ্রমর পায় নিত্যনিমন্ত্রণ, পদ্মগন্ধ পুষ্করিণী—মরালের মালা গাখ বুকে ;– নিভ্য উঠে কেকারব ভবন-শিখীর নিত্য তার কলাপ-বিকাশ, নিত্যজ্যোৎস্ন। ভরেছে আকাশ ! চুরি করি চপলার চারু চপলতা তড়িৎ চাহনিখানি দিগ্বিদিকে হানি”