বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88心 প্রবাসী—আষাঢ়, ১se৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহার কৃষক ও অন্ত শ্রমিকদের নিকট ঋণী । অতএব জমিদারীর প্রত্যেক গ্রামে পাঠশালা চালান প্রত্যেক জমিদারের কৰ্ত্তব্য। জমিদারেরা যদি এই প্রকারে নিজেদের কৰ্ত্তব্য পালন করেন, তাহা হইলে নিজেরাও উপকৃত ও লাভবান হইবেন। জমিদার ও রায়ৎদের বর্তমান সম্বন্ধ এবং জমীর বর্তমান বন্দোবস্ত চিরস্থায়ী হইবে না। পরিবর্তন হুইবেই। জমিদাররা যদি কৰ্ত্তব্যপরায়ণ ও হৃদয়বান হন, তাহা হইলে এই পরিবর্তন বিনা মনেমালিন্যে, বিনা বিবাদে, বিনা রক্তপাতে হইবে ; তাহা না হইলে পরিবর্তন অবাঞ্ছিতরূপে ঘটিবার সম্ভাবনা । অধিকাংশ শিক্ষিত লোকেরই এক এক বার্ষিক ১২২ve খরচ করিয়া এক একটি পাঠশালা চালাইযার সামর্থ্য নাই। র্তাহারা নূনকল্পে একটি ছাত্র বা ছাত্রীকে বার্ষিক ৩৬৫ ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষা দিবেন।---অবশু নিজেদের বাড়ীর ছেলেমেয়ে ছাড়া। এইরূপ মাসিক পাচ আন সদ্ব্যয় করিতে অনেকে সমর্থ হইবেন । যাহারা তাহাও পারিবেন না, তাহার স্বয়ং বাড়ীতে নিজ পরিবারবর্গের বাহিরের অন্ততঃ একজন লোককে প্রাথমিক শিক্ষার সমান কিছু লেখাপড়া শিখাইয়া দিবেন। নেপাল ও আফগানিস্থান আমরা হিন্দুমুসলমানের মনের ভাবের আলোচনা প্রসঙ্গে দেখাইয়াছি, যে, কোন কোন ভারতবর্ষীয় মুসলমান আফগানদের দ্বারা ভারত জয় ও দখল অবাঞ্ছনীর মনে করেন না, বরং প্রার্থনীয়ই মনে করেন। আফগানিস্থানের লোকসংখ্যা হুইটেকারের পঞ্জিকায় এক জায়গায় আছে পঞ্চাশ লক্ষ, আর এক জায়গায় আছে ছেচল্লিশ লক্ষ । চেম্বাসের এন্সাইক্লোপীডিয়ার মতে উহার লোকসংখ্যা চৌষট্টিলক্ষ, ভারতীয় সেন্সাস রিপোর্টের মতে ৬৩,৮৪,৫•• । সকলের চেয়ে বেশী আন্দাজট অর্থাৎ চৌষট্রি লক্ষই ধরিলাম। ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা মোটামুটি ৩২• • লক্ষ, অর্থাৎ আফগানিস্থানের পঞ্চাশ গুণ । অথচ এহেন ভারতবর্ষের ইংরেজ শাসনকৰ্ত্তারা আফগানিস্থানকেও ভয় করেন এবং আফগানদের নাম করিয়া আমাদিগকেও জুজুর ভয় দেখাইয়া থাকেন ; ইহার কারণ কি ? আফগানিস্থানের ৬৪ লক্ষ লোকদের মধ্যে স্ত্রীলোক, শিশু ও অতি বৃদ্ধ ব্যক্তি আছে। তাহার} যুদ্ধ করিবে না। উৰ্দ্ধসংখ্যা ৩০ লক্ষ আফগান যুদ্ধ করিবে ৯ ভারতবর্ষে যাহাদিগকে ইংরেজেরা অযোদ্ধা বলেন এবং যাহাদিগকে অযোদ্ধা বানাইবার বা অযোদ্ধা করিয়৷ রাখিবার জন্য র্তাহারা দায়ী,তাহাদিগকে বাদ দিলেও শিখ, জাট, রাজপুত, ডোগর, গাঢ়োয়ালী, মরাঠা, পুরুবিয়া,গুরখ} প্রভূতি আছে । ইহাদের মধ্য হইতেই ত ত্রিশলক্ষের অনেক গুণ বেশী যোদ্ধা পাওয়া যাইতে পারে। অস্ত্রশস্ত্রের ও সরঞ্জামের এযং যুদ্ধশিক্ষাদানের জন্ত টাকার প্রয়োজন ৮ তাহাও আফগানিস্থানের চেয়ে ভারতবর্ষের বেশী আছে ৯ তবে কেন এত আফগানের ভয় ? একটা কারণ, রুশিয়। আফগানিস্থানের সঙ্গে যোগ দিতে পারে। আর একট। কারণ, আফগানরা স্বাধীন যলিয়া যত উৎকৃষ্ট যুদ্ধশিক্ষা ও অস্ত্রশস্ত্র সরঞ্জাম তাহাদের হইতে পারে, ইংরেজ গবৰ্ম্মেণ্ট ভারতবর্ষের সৈন্যদিগকে তত উৎকৃষ্ট যুদ্ধশিক্ষা ও অস্ত্রশস্ত্র সরঞ্জাম দেয় না। আর একট। কারণ, স্বাধীন অফিগান স্বদেশের জন্ত যুদ্ধ করিতে যে তেজ দেখাইবে, বেতনের দাস সিপাহীরা তাহ না দেখাইতে পারে। আর একট} এই সন্দেহ ইংরেজদের আছে, যে, ইংরেজ রাজত্বে ভারতীয় মুসলমানেরাও সন্তুষ্ট নহে বলিয়া তাহার। জাফগানদের সহিত যোগ দিতে পারে । ভারতবর্ষের সব জাতির সমর্থ পুরুষদিগকে যুদ্ধ শিখিবার স্থযোগ দিলে, অস্তুতঃ যোদ্ধা বলিয়া স্বীকৃত জাতিদিগকে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট যুদ্ধশিক্ষা এবং অস্ত্রশস্ত্রের সরঞ্জাম দিলে এবহু দেশের লোক বাহাতে সন্তষ্ট হয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার তন্ত্রপ পরিবর্তন হইলে, ভারতবর্ষের কোনও প্রতিবেশীকে ভয় করিবার কারণ থাকে না। যুদ্ধবিষয়ে আফগানিস্থানের cकॉन क्रिब्रख्न cथल्लेड1 नाहे । अॉकबद्र यांन१itश्ब्र আমলে উহা ভারতের অধীন ছিল, রাজা মানসিংহ উহার শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। সেনাপতি হরী সিং নালুস্কার নেতৃত্বে শিখরাও উহা জয় করিয়াছিল। যে-সব ভারতবর্ষীয় মুসলমান আফগানদের দ্বার? ভারতবর্ধ-জয় কামনা করেন, তাহারা ভারতের রাজণ্ডে