পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ጫwይ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ २१* छांश्रृं, sञ थं७ কৃষ্ণ জুতা খুলিয়া পারে জল ঢালিতে ঢালিতে বলিল, “বাবা, কি পরিমাণ বালিই জমেছে জুডোর মধ্যে । একখানা বাড়ী প্লাষ্টার করা হয়ে যায়। এদেশে হয় ‘টপবুট পরা উচিত, নয় খালি পায়েই ইটো উচিত।” সে পামুছিয়া লাবণ্যের পাশের পিড়িতে আসিয়া বসিয়া পড়িল । * লাবণ্য বলিল, “তোর আসনে কি পিড়িতে বসা দেখলে, সত্যি আমার পেট ফেটে হাসি আসে। যেন শুবি কি বস্বি, ঠিক করতে পাবৃছিস না । না মামী " গৃহিণী হাসিয়া বলিলেন, “আভোগ নেই কিনা মা ! ওর মালীর ঘরে চিরকালই টেবেলেই খেয়েছে। আমাদের যদি এখন কেউ কাটা চামচে খেতে বলে তাহলে আমরা খোঁচাখুচি ক’রে রক্তপাত ক’রে বসি । তবু ত কৃষ্ণা খুব মানিয়ে চলতে জানে। মেমেদের স্কুলে বোর্ডিংএ মানুষ কোনোরকম ফিরিঙ্গী-মানার ধার ধারে না । আমাদের সঙ্গে সমানে ডাল ভাত খাচ্ছে, খালি পায়ে বেড়াচ্ছে। কেবল কোথাও নোংরামী দেখলে বড় খুৎ খুং করে।” - মেয়েরা খাওয়া সরিয়া উঠিয়া পড়িল । কৃষ্ণ ষে ঘরে শোয় সকলে সেই ঘরে আসিয়া বসিল । ঘরখানি ছোট, গৃহসজ্জাও কিছুমাত্র নাই, কিন্তু কোথাও ধূলার কণাটি নাই । দুটি ছোট ভক্তপোষ ঘরের দুইধারে, বিছানাগুলি ঝকৃ ঋক্ করিতেছে। মাঝে একটি ছোট টেবল, তাহার উপর কাগজেমোড়া মন্তবড় এক পুলিন। কৃষ্ণ। ঘরে ঢুকিয়াই বলিল, “এটা ত দেখে যাইনি ? কখন এল ?” গৃহিণী বলিলেন, “তুমি বেরিয়ে যাবার পরেই এসেছে । আমি অমনি রেখে দিয়েছি, খুলে জার দেখিনি, ভিতরে কি আছে।” কৃষ্ণ দড়াদড়ি কাটিয়া পার্শেল খুলিয়া ফেলিল । বাহির হইল এক মস্ত বড় ছবি । কৃষ্ণ বলিল, "ওমা মাসীমার ছবি, যেটা কলকাতার ব্রোমাইড এল্লার্জমেণ্ট করতে দিয়ে এসেছিলাম। বাধিয়ে পাঠাল না কেন ছাই ! আমি ত তাই করতে ষলে এসেছিলাম। আবার গিয়ে আমাকে বাধাতে দিতে হবে ।” লীল বেলার ম৷ বলিলেন, “তা ছবিট। বেশ ভালই হয়েছে। নিতান্ত শেষ বয়সের নয় দেখছি, বছর চল্লিশ বয়সের হবে। এদানীং বড় রোগা হ’য়ে গিয়েছিলেন, চুলটুল৪ সব উঠে গিয়েছিল। এ ছবিটাতে বেশ মোটসোটা, সাজ-পোষাকও বেশ আছে দেখছি।” লাবণ্য বলিল, ‘হ্যারে কৃষ্ণ, তোর মাসীমা ত দেখছি বেশ সাবেক কালের গহন গাটি পবৃতেন, কাপড়খানাও গরদ ব’লে মনে হচ্ছে। তা তোকে এত মেম যানিয়ে গেলেন কেন ?” কৃষ্ণ বলিল, “নিজে হয়ত কোনো কারণে মেম হ'য়ে উঠতে পারেননি, অথচ ইচ্ছাট ছিল । আমাকে দিয়ে সে সাধট মিটাবার চেষ্টা করেছিলেন অীর কি ? চৌদ্ধ পনেরো বছর অধধি ত শাড়ীর মুখ দেখিনি । তালগাছের মত লম্ব। আর শিড়িঙ্গে রোগ ছিলুম, হাটু বের ক’রে বেড়াতে ভয়ানক লজ্জা করত, অথচ মাঙ্গীমা কিছুতেই শাড়ী কিনে দিতেন না। বোর্ডিংএ জন্ত মেয়েদের খোসামোদ ক’রে তাদের শাড়ী চেয়ে নিয়ে পর্তুম। আমার নাম রেখেছিলেন ‘ক্রিষ্টিন, আমি গায়ের জোরে তাকে কৃষ্ণ ক’রে নিয়েছি।” লাবণ্য বলিল, “কোথাকার গোড় হিন্দুঘরের মেয়ে, তোর এ সব ধাতে সইবে কেন ? বীফ টফ, খাস?” কৃষ্ণা বলিল, “দুর হ, এমনি মাছ মাংসই আমার ভাল লাগে না তা বাঁফ খাব ৷ মসিীমার কাছে শুনেছি আমার মা বাবা নাকি ভারি সাত্ত্বিক বৈষ্ণব ছিলেন, সেই রক্তের গুণ থেকে গেছে আর কি ?" গৃহিণী হাসিয়া বলিলেন, “সবটা থাকেনি। তোমার স্বভাবে মা বৈষ্ণবের মাথা হেঁট ক’রে থাকার ভাব একেবারে নেই। নিতান্ত তোমার মাসীর কথা অবিশ্বাস করা যায় না তাই ; তা না হ’লে তোমার চেহারা ধরণ-ধারণ, পছন্দ কিছুই গরীব বৈষ্ণবের ঘরের মত নয়। কোনো রাজা-রাজাড়ার বাড়ীর মেয়ে হ’লেই তোমাকে ঠিক মানাত।” কৃষ্ণ বলিল, “হা, রাজার মেয়ে আমি যা, তাত্ত