পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] রবীন্দ্রনাথ Q や ○ ভারতীয় গহন— উপরে ঝুমকা। স্বর্ণ,মুক্ত, মিন এবং কোণবিহীনভাবে কর্তিত মণি দ্বারা নিৰ্ম্মিত। কোণবিহীন মণি সমাবেশে বর্ণের স্নিগ্ধ ভাব দ্রষ্টব্য । ১৮শ শতাব্দীর দিল্লীর গহন । অন্য সকল গহন, মহারাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক মহারাণী আলেকজান্দ্রাকে বিবাহধৌতুকরূপে প্রদত্ত ভারতীয় অলঙ্কার। বর্ণসমাবেশের লালিতা, পরিকল্পনার স্পষ্ট প্রকাশ ও কঠোর জ্যোতিস্ফুরণবিহীনতা দ্রষ্টব্য। তাবিজ, মোহনমালা ও হার অঞ্জণ্ট। রাজ্ঞীর প্রসাধন, রাজ্ঞীর অঙ্গের গহনশিরে মুকুট (তাম্র ও স্বর্ণ নির্শ্বিত ) বর্তুলাকার মণিংযোজিত। গলদেশে বৃহৎ মুক্তামালা (মণিযুক্ত ) বাজুবন্দ, মেখলা, বলয় ( দৃঢ়সংবদ্ধ ও গ্রথিত)। পায়ে কারুকার্য্যবিহীন “মল” । চামরধারিণীর মণিবন্ধে বৃহৎ গহন (আধুনিক উড়িষ্যার গহন )। অজণ্টায় নাসিকার গহনার চিত্র নাই । ত্রয়োদশ খৃঃ পৰ্য্যন্ত অন্ত কোন এদেশীয় মূৰ্ত্তি বা চিত্রে ও তাহার নিদর্শন পাই নাই। সুতরাং নাসিকার গহনা অহিন্দু বলিয়া মনে হয় । - রবীন্দ্রনাথ * বাণী যার অতিক্রমি’ মুম্বরের সহস্ৰ তোরণ শাস্ত-শিব-কুপোত্তমে ধ্রুবলোকে করিল আরতি, মস্ত্রে যার উদারিত মধুচ্ছন্দ। বিশ্বের ভারতী ভারত-ভারতী-মুখে, তারে আজ করি গে। বরণ,— অতীত-কীৰ্ত্তির কুলে ভারতের বাণী-আহরণ, তারি যোগ্য পুরোধার পদে। মোরা ক্ষুদ্র স্বল্পমতি, উৎসাহ-অধীর,-সত্য-সুন্দরের হে যজ্ঞ-সারথি । হোমভস্ম-পূত হস্ত রাখ শিরে শঙ্কা-নিবারণ । হেরিয়াছ তুমি, কবি, হেথা মহামানব-সাগরে বিরাট মিলনমেলা –ভারতের সে তীর্থ-প্রমাণ দেখি মোর দেশে দেশে লেখা আছে অক্ষয় অক্ষরে ! সসাগরা ধরিত্রীরে নিজ গৃহ-প্রাঙ্গণ সমান একদ। হেরিল যারা, তাহাদেরি শ্রেষ্ঠ বংশধরে পূজে অাজ এই ‘মহা-ভারতে'র নব প্রতিষ্ঠান। শ্ৰী মোহিতলাল মজুমদার

  • রবীন্দ্রনাথের ধবদ্বীপ গমন উপলক্ষে বৃহত্তর ভারত পরিষদের পক্ষ হইতে রচিত ।

তিমির-গহন পূৰ্ব্ব গগন করি মন্থন জ্যোতিৰ্ম্ময় দৃপ্ত দাস্ত দীপ্ত কান্ত ঘোর দুরন্ত কে নির্ভয় রশ্মি-শায়কে দীপ্তি-পাবকে বিনাশি’ দৈত্য অন্ধকার পুত নিৰ্ম্মল হেম-উজ্জল জাগিল মহান নিধিকার } দশ দিক যার স্নেহসূস্তার লভি’ বন্দন করিছে গান, ক্ষুদ্র ক্লিয় অধম খিন্ন জ্যোতির পরশে লুপ্ত-প্রাণ, স্বপ্ত গোপন সজাগ চেতন, অন্তায় শিরে হানিছে কর, অজীবে জীবন, কলুষ-নাশন কে রে এ ভীষণ শক্তিধর } জগৎ-জীবন জগৎ-পোষণ রবি রবি এরে জ্যোতিৰ্ম্ময়, করি’ মন্থন পূৰ্ব্ব গগন সৰ্ব্ব জগৎ করিল জয়। 称 菁 称 মধু-বঙ্কিম দৃঢ়-ভঙ্গিম উষ পুষ দুই অগ্রদূত বঙ্গ-গগন-তিমির-হরণ দুই দিগ জয়ী কী অদ্ভুত রবি-পস্থার ভাতি-সঞ্চার করিয়া ঘোষিল সুপ্রভাত, ফুল্ল-নয়ন দৃপ্ত-গমন রবি করে পিছে নয়নপাত, হাসে দশ দকু, হাকে কুহু পিক, হাসিল ভুবন তৃণ ও ফুল, বঙ্গ-ভারতী কিরণ-আরতি লভিয়৷ তুলিল মুখ রাতুল, তাহার গোপন যতেক বেদন করিল হরণ রবির কর, তারতী-বক্ষ বঙ্গ-কক্ষ স্ট্রাধারবিহীন স্বভাস্বর, মানব-চিত্ত-নিহিত-বিত্ত জগৎ-নয়নে সমুজ্জল, ত্ৰাসিত ক্লিষ্ট স্বপনাবিষ্ট হইল প্রবল যা দুৰ্ব্বল, কাৰ্য্য-কমল মেলি শত দল হৰ্ষমত্ত ফুল্পমুখ, নিরাশা-তিক্ত কান্তিরিক্ত মানব আজিকে পূর্ণস্বর্থ ! জগৎ-জীবন জগৎ-পোষণ উদিয়াছে রবি জ্যোতিৰ্ম্ময়, করি মন্থন পূৰ্ব্ব গগন সৰ্ব্ব জগৎ করিল জয় । শ্রী প্যারীমোহন সেনগুপ্ত