বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سرس4b) প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রথমতঃ ৪-৪৫ মিনিট গল্প করিলেন ; তাহার পর বলিলেন,"একবার আপনার নাড়ীট। দেখিতে পারি কি ?” তাহার পর আবার গল্প। ২-২৫ মিনিট পরে বলিলেন, “আপনার পিঠট একবার খুলিবেন কি ?” তিনি ৩৫ বৎসর পূৰ্ব্বে গ্রাম্য ডাক্তার ছিলেন, এখন ভিয়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ফ্যাকাটির সভাপতি ও ভিয়েনার প্রধান চিকিৎসক। তিনি বলিলেন, “আমি চিকিৎসাব্যবসায়ে কৃতী হইয়াছি বটে,কিন্তু কবি হইলে,যাহ। কিছু সত্য, শিব ও সুন্দর তাহার দর্শন পাইলে আনন্দিত হইতাম।” তাহার পর বলিলেন, যে, তাহার একটি ছেলে আর্টিষ্ট হইয়াছে, ভাস্করের কাজ করে ; তাহাতে তাহার নিজের অভিলাষ কতকটা পূর্ণ হইয়াছে। তাহার পুত্র যে তাহার একটি মুৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছে, তাহা বলিয়া হাসিতে হাসিতে বলিলেন, "Even my wife says it is good,” “...Na fos atata às avala, মুর্ভিটা ভাল হইয়াছে।” একদিন তাহার সহিত কথাপ্রসঙ্গে কবিতার বহি বিক্রী কিম্ব কবিদের ঐক্লপ কোন অর্থাগমের কথা উঠায় (আমার ঠিক মনে নাই), রবীন্দ্রনাথ ইংরেজীতে বলিলেন, "কবিদের একটা কৃতিত্বের জন্ত ফুট পুরস্কার পাইবার কোন দাবী নাই ।” তাহার ব্যবহৃত শব্দগুলি আমার ঠিক মনে নাই। কিন্তু যখন গুনিয়াছিলাম, তথন এই বুঝিয়াছিলাম, যে, কবিদের যে অস্তরের চোখ খুলিয়া যায়, ইহাই তাহাজের পরম সৌভাগ্য ও আনন্দের বিষয় ; স্বতরাং যশ বা অর্থাগম ষথেষ্ট না হইলে অসন্তুষ্ট হওয়া উচিত নয়। সাধারণ কথাবার্তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের এইরূপ অতি গভীর অর্থযুক্ত কথা বলিবার ক্ষমতায় ডাক্তার ওয়েঙ্কেব্যাকু চমৎকৃত হন। তিনি একদিন কবিকে এমন একটা ঔষধ দিয়াছিলেন যাহাতে তাহার আরোগ্যলাভের সুবিধা হইলেণ্ড দুবর্লতা খুব বাড়িবার সম্ভাবনা ছিল। পর দিন তিনি আসিয়া দেখিলেন, রবীন্দ্রনাথের রোগের উপশম অনেকটা হইয়াছে, কিন্তু তিনি দুৰ্ব্বল ছন নাই। ইহাতে ডাক্তার বিম্মিত হইয়া এই মত প্রকাশ করেন, যে, র্তাহার দেহের বুনিয়াদ খুব মজবুত । ইহাতে আমরা খুব আশান্বিত ও আহ্নাদ্বিত হইয়াছিলাম। আগের চিঠিতে বলিয়াছি, আমার রাত্রে বড় ঘাম হইত। এইজন্য ডাক্তার ওয়েঙ্কেব্যাকের পরামর্শ লওয়া স্থির ছিল। র্তাহাকে বলতে বলিলেন, "আমার রোগীদর্শন-কক্ষে যাইবেন না । সেখানে রোগীদের এক লম্ব ফর্দ আছে ; তার নীচে আপনার নাম টুকিয়া লইলে আপনার পালা আসিবার পূর্বেই হয়ত আপনাকে চলিয়া যাইতে হইবে ; আর যদি উপরের দিকে কোথাও আপনার নামটা ঢুকাইয়া দি,তাহ হইলে অন্ত রোগীরা অসন্তুষ্ট হইবে ও রাগ করিবে । সুতরাং আমি আপনাকে হোটেলেক্ট দেখিয়া যাইব ।” একদিন তাহাই করিলেন । দেহের আভ্যন্তরিক কোন যন্ত্রে কোন খুত পাইলেন না । অন্য নানা রকম প্রশ্ন করিতে লাগিলেন। যথা—*আপনার মানসিক জাল যন্ত্রণার কারণ কিছু আছে কি ?” *আপনার বাড়ীর জন্য মন কেমন করে কি ?” যাহা হউক, তিনি একটা ঔষধ দিলেন, এবং বলিলেন, যে, শীত পড়িবার পূর্বেই শীঘ্ৰ ভারতবর্ষে ফিরিয়া যাওয়া ভাল ; যদি তাহা না পারি, তাহা হইলে ইতালীর বা ফ্রান্সের দক্ষিণে কোন স্বাস্থ্যকর স্থানে থাকিতে বলিলেন । সেখানে আমার কোন পরিচিত লোক নাই, জেনীভাতে আছেন, বলায় জেনীভাতেই থাকিতে বলিলেন । আমি তাহাই করিয়াছিলাম। ডাক্তার ওয়েস্কেব্যাকের ফী বেশী নয় । কানের একটা দোষ থাকায় আমি ভিয়েনার বড় গল-কান-নাক চিকিৎসক অধ্যাপক নয় ম্যানের চিকিৎসাকক্ষে যাই। দু-দিনের চিকিৎসাতেই একটু উপকার হইয়াছিল। এই ডাক্তারটি বেশ একটু মজার লোক। প্রত্যেক দিনের চিকিৎসার পর তিনি আমার মুখে একট। जवधूश् भूद्रिव रिङन । ७ं षषिाब्र भूं नञ्च - শ্ৰীমান প্রশাস্তচঞ্জ মহলানবিশ আমাকে তাহার ििद९नांगरब जहेब बाहेरउन, उँीशंब भू५e णखसून् দিতেন । শুনিয়া আমোদ বোধ করিয়াছিলাম, যে রবীন্দ্রনাথও তাহার চিকিৎসাধীন হওয়ায়, তাহার মুখেও লজঞ্চুসের প্রবেশলাভ ঘটিয়াছিল। ডাক্তার নয় ম্যাও ফী বেশী লন নাই । ভিয়েনা সহরেই গল-নাক-কানের চিকিৎসার জন্ত