পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] কত বাঙালী ধৰ্ম্মোপদেষ্ট স্বদেশের মায়া কাটাইয়া ও স্বদেশের হিতসাধনার্থ দেশে থাকিবার প্রবল কারণ সত্ত্বে৪ ঙিবং মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি দেশে গিয়াছিলেন। সংস্কৃতসাহিত্যপরিষদের পক্ষ হইতে অধ্যাপক স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কবির সংস্কৃত প্রশস্তি পাঠ করেন । শ্ৰীযুক্ত গিরিজাপ্রসন্ন লাহিড়ীও স্বরচিত সংস্কৃত কবিতা পাঠ করেন। পনর শত বৎসর পূৰ্ব্বে কুমারজীব চীনে গিয়া চীনভাযায় যে-সব কবিতা রচনা করেন, অধ্যাপক প্রবোধচন্দ্র বাগচী তাহার একটি, চীন অক্ষরে লিখিয়া ইংরেজী অনুবাদ সহ কবিকে উপহার দেন। অতঃ অধ্যাপক যন্ত্রনাথ সরকার, ইংরেজীতে কেন বলিবেন বাংলায় তাহার কারণ দেখাইয়া, ইংরেজী বক্তৃতা পাঠ করেন। তাহাতে তিনি কবিকে পুৰ্ব্বতন ঋষিদের স্থানাভিষিক্ত অধুনাজীবিত একমাত্র ব্যক্তি বলিয়া অভিহিত করেন। এই বক্তৃতা ইংরেজী বহু দৈনিকে বাহির হইয়াছে । ইহার পর প্রবাসী-সম্পাদক কিছু বলিবার পর কবি অভিনন্দনের উত্তর দেন। এই উত্তর বর্তমান সংখ্যায় অন্যর প্রকাশিত তল্লিখিত প্রবন্ধে দৃষ্ট হইবে । কবির বক্তৃতার পর ঐযুক্ত বিপিনচন্দ্র পাল প্রচলিত রীতি অনুসারে ধন্যবাদ প্রদান উপলক্ষ্যে কয়েকটি সুচিন্তিত কথা বলেন । সৰ্ব্বশেযে কবি বুহত্তর ভারত পরিষদের যুবা কৰ্ম্মাদিগকে সমেহ আশীৰ্ব্বাদ করেন। রবীন্দ্রনাথের যবদ্বীপ যাত্রা ২৭শে আষাঢ় ১২ই জুলাই রবীন্দ্রনাথ হাওড়া ষ্টেশন হইতে রওনা হইয়াছেন। ট্রেন ছাড়িবার আগে ও ছাড়িবামায় সিনেমার জন্য ছবি লওয়া হইয়াছে। ২৯ শে আষাঢ় তিনি মাম্রাজ হইতে একটি ফ্রেঞ্চ জাহাজে সিঙ্গাপুর যাইবেন । সেখানে পৌছিতে ছয় দিন লাগিবে। তাহার সঙ্গে অধ্যাপক স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী কলাভবনের সহকারী অধ্যক্ষ চিত্রশিল্পী স্বরেন্দ্রনাথ কর এবং চিত্রবিদ্যাশিক্ষার্থী শ্ৰীমান্‌ ধীরেঙ্গচন্দ্র দেববর্ধা যাইতেছেন । হল্যাও দেশের সঙ্গীতজ্ঞ শাস্তিনিকেতনপ্রবাসী ডাঃ বাকে এবং উহার পত্নী আগেই রওনা হইয়াছিলেন। তাছারা ফ্লুেনে মামিয়া তথাকার বিখ্যাত বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতশাসনসংস্কারবিষয়ক রাজকীয় কমিশন ৬২১ প্যাগোড়া ( বৌদ্ধ মন্দির ) প্রভৃতি দেখিয়া বিশেষ আনন্দ লাভ করেন। ফিরিবার মুখে সংগীতের আনন্দ রেজুনবাদী বন্ধুদিগকে দিবার অঙ্গীকার করিয়া গিয়াছেন । ভারতশাসনসংস্কারবিষয়ক রাজকীয় কমিশন নানা কাগজে এইরূপ iঞ্জল্পনা চলিতেছে, যে, ১৯২৯ সালে ভারতশাসনসংস্কার আইন পরিবর্তনের বিষয় বিবেচন৷ করিবার নিমিত্ত যে কমিশন বসিবার কথা, তাহা তৎপূৰ্ব্বে শীঘ্রই বসিবে। বিলাতের রক্ষণশীল গবন্মেন্টের পর শ্রমিক দলের লোকেরা শাসনক্ষমতা পাইতে পারে । পাছে তাহারা ভারতবর্ষকে বেশী কিছু আত্মশাসন-ক্ষমতা দিবার উদ্দেশ্বে কমিশনে খুব দ্যায়বান ও সদাশয় সভ্য নিযুক্ত করে, এই ভয়ে তাড়াতাড়ি রক্ষণশীলের ১৯২৯ এর আগেই কমিশন বসাইবে মনে হইতেছে। উহার সভাপতি ও সভ্যবৃন্দ কাহাদের হওয়া উচিত, সে ংিষয়ে নানা কাগজে নানা রকম মত প্রকাশিত হইতেছে। বিলাতী কতকগুলা কাগজ এই ধুত্ব তুলে যে, উহার সভ্য কেবল এইরূপ ইংরেজদের হওয়া উচিত, যাহার কখনও ভারতে কাজ করে নাই কিম্বা ভারতবর্ষের সহিত যাহাদের কোন সম্পর্ক নাই, এবং ভারতীয় কাহাকেও ইহার সভ্য করা উচিত নয় । ভারতবর্ষের মুন সাক্ষাং বা পরোক্ষভাবে যে না-থাইয়াছে, এমন ইংরেজ খুজিয়া বাহির করা সোজা নয় ; আর ভারতের নিমকের এমনই গুণ, যে, যে-সব ইংরেজ তাহা খায় তাহদের অনেকেই ভারতবর্ষের ( বদ- ) গুণ গায় । রাজকীয় কমিশনের ঘোষিত উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের শাসনপ্রণালী ও শাসনকার্ধ্যের উৎকর্ষবিধান । কি হইলে যে ভারতবর্ষের শাসনকাৰ্য্য খুব ভাল হইতে পারে, তাহা ভারতীয়রা যেমন জানে ও বলিতে পারিবে, তেমন আর কেহু নহে । আমাদের দেশের কাজ সকলের भप्रtशग्न छत्रु निर्विांश्ऊि झeब्रांप्न चांभांरक्षब्र शङछै। चांर्ष আছে, এবং আগ্রহ থাকিবার কথা, ইংরেজদের ততট। থাকিবার কথা নহে ; বিশেষতঃ যখন তাহাজের স্বার্থের সহিত আমাদের মঙ্গলের বিরোধ বুছিয়াছে। সেইজন্স আমাদের বিবেচনায় কমিশনের, সব না হউক, প্রায় সব