পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভাগ্যচক্র 心总* তার মতন অনেকটা দেখতে, তাই একটু অবাক লাগছিল। চল বাড়ী যাই, একেবারে আঁধার হয়ে এল।” মেয়ে দুটি দ্রুতগতিতে গিরীশের দৃষ্ট্রিপথের বাহির হইয়। গেল । গিরীশের এতক্ষণে যেন চৈতন্য ফিরিয়া আসিল, অন্ত কেহ তাহাকে দেখিবার আগে সে তাড়াতাড়ি পলায়ন করিল। কোথা দিয়া কোথায় সে যে চলিল, তাহ লক্ষ্যও করিল না। অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করিয়া অবশেষে সে যখন বাড়ী ফিরিল, দেখিল অতুল তখনও আসে নাই। চাকর আসিয়া ঘরে আলো দিয়া গেল। গিরীশ ফিরিয়াছে দেখিয়া সে আবার অন্তঃপুরে চলিল, তাহায় জন্য কিছু জলখাবার আনিতে। গিরীশ মনে মনে অতুলকে গাল দিতে দিতে সবে জলযোগ আরম্ভ করিয়াছে, এমন সময় অতুল ফিরিয়া আসিল । তাহার সঙ্গে আর একটি যুবক । গিরীশের সঙ্গে নবাগত যুবকের পরিচয় করাষ্টয়া দিতে দিতে অতুল বলিল, “এই আমার বন্ধু স্থবোধ হে, যার কথা তোমায় সেদিন বলছিলাম।” স্ববোধ বসিয়া বলিল, “আশা করি আমার নামে বেশী কিছু আপানার কাছে ও বলেনি ?” গিরীশ হাসিয়া বলিল, “বরং আপনার প্রশংসাই করছিল। আপনি নাকি ওকে খুবই সাহায্য করেছেন।” ছেলেটি হাত নাড়িয়া বলিল, “আরে কিছু না, মশায়, কিছু না, কয়েকটা খবর এনে দিয়েছিলাম মাত্র।” অতুল হাসিয়া বলিল, “গিরীশের সামনে কিছু লুকোবার নেই হে, তাকে সব কথাই আমি বলেছি ” স্থবোধ বলিল "তা আর বলবিন ? ভয়ে তোর দেখছি হাত পা পেটের ভিতর ঢুকে যাবার জোগাড় হয়েছে ।” অতুল চটিয়া বলিল, “আমার মত দশা হ’লে, তুমি কেমন ভয় না পেয়ে থাকৃতে, দেখতাম । কথা নেই दांडी cनहे, ह*ां९ ७क ब्रकांकांजौ चांt७ 5ज्जयांग्न छे°क्लभ, এতে মানুষের মাথার ঠিক থাকে ?” স্থবোধ আর এ বিষয়ে কিছু না বলিয়া, তাড়াতাড়ি অল্প কথা পাড়িয়া বসিল । তাহার ধরণ ধারণ গিরীশের কাছে একটু অদ্ভুত ঠেকিল, কিন্তু মনের ভাব মনেই চাপিয়া রাখিয়া সেও গল্পে মাতিয়া উঠিল । স্ববোধ খানিক পরে চলিয়া গেল। পল্লীগ্রামের পথ শীঘ্রই জনবিরল হইয়া আসিল । জানাল দিয়া বাহিরের পুঞ্জীভূত অন্ধকারের দিকে তাকাইয়া গিরীশ ভাবিতে লাগিল, জায়গাটি দেখিতে বেশ বটে, কিন্তু থাকিবার পক্ষে খুব যে ভাগ তাহ বলা যায় না। সন্ধ্যায় পর পেট ভরিয়া খাওয়া এবং নাক ভাকাইয়া ঘুমানে ছাড়া আর যে কি করা যায়, তাহা ত ভাবিয়া পাওয়াই শক্ত। অতুল জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাবছিস্ ই ক’রে ?” গিরীশ সে কথার উত্তর না দিয়া বলিল, “আচ্ছ, তোর বন্ধুর বিয়ে হয়েছে রে ?” : অতুল বলিল, “ন, কিন্তু হঠাৎ তার বিয়ে নিয়ে তোর এত মাথ। ব্যথা কেন ?” গিরীশ বলিল, “বিশেষ কোনো কারণ নেই, এমনি । সে কথা যাক । তুই একদিন আমার ক’নে দেখার ব্যবস্থা করে দিতে পারিস্ ? আমি কলকাতায় ফিরে গিয়ে যে ছেলেটির শ্রীদ্ধের জোগাড় করব, তাকে একটু firsthand information foto 5s. " --- অতুল বলিল, “সে আর শক্ত কি ? তার ত মেয়ে দেখাবার জন্যে দেড় পা বাড়িয়ে আছে । আমির মুখের কথা খদালেই হয়।” এমন সময় খাবার ডাক আসিল । রান্নাঘরের সাম্নের দাওয়ায় দুখানি পুরানো শতরঞ্চির আসন পাতা । সামনে একটি হারিকেন লণ্ঠন, ভাঙা চিমনীর ভিতর দিয়া ক্ষীণ আলো এবং প্রচুর ধূম উদগীরণ করিতেছে। এভাবে খাওয়ার অভ্যাস গিরীশের অনেক দিনই চলিয়া গিয়াছিল। হোষ্টেলের প্রকাণ্ড ঘর, ইলেকুটিকু বাতি, খাবার টেবল প্রভৃতি স্মরণ করিয়া সে একট। দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিল । ভাবিল, মাছের র্কাটা বাছিতে পারিলেই হয়, এবং অল্পব্যঞ্জনের সহিত গুটি দশ বারো পোকামাকড় পেটে না যায় ত ঢের । কিন্তু অন্নব্যঞ্জনের সাক্ষাৎ যখন মিলিল, তখন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলিবার তাহার অবসর ছিল না। কলিকাতার হোষ্টেল আর যে দিক দিয়াই শ্লেষ্ট হোক, তাছাদের

  • * *