পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] জীবনদোলা ཤྲི་e:ཨཱི། ༡.’ আনলাম ; এখন যদি তুমি দেখা না কর, তাহলে সঞ্জয়বাবুই বা কি মনে করবেন আর মালিমাই বা আমাকে কি বলবেন ? এটা করা অত্যন্ত বিত্র হবে। লক্ষ্মীটি, একবার উঠে দেখা কর ; দু মিনিটেই হ’য়ে যাবে ” চঞ্চল আর 'না' বলিতে সাহস করিল না ; আপত্তি করা মানেই গৌরীর মনে কিছু একটা সম্মেহ জাগাইয়া তোলা। সে উঠিয়া হাত দিয়া এলোচুলগুলি চোখমুখ হইতে সরাইয়া আঁচলটা ঝাড়িয়া ঝুড়িয়া ঠিক হইয়া বসিল । গৌরী সঞ্জয়কে লক্ষ্য করিয়া গলার স্বরট একটু উচু করিয়া বলিল, “ভিতরে আমুন (” • ঘাড়টা অনেকখানি হেঁট করিয়া সঞ্চয় আসিয়া ঘরের ভিতর ঢুকিল। তখনও ভিতরটা তেমনই অন্ধকার। কেহ কাহারও মুখ দেখিতে পায় না ; শুধু ছায়ার মত তিনটি মূৰ্ত্তি। সঞ্জয় অন্ধকারের মাঝখানেই খাটের দিকে মুখ করিয়া বলিল, “কেমন আছেন আপনি ? কি হয়েছে ?” তাহার গলার স্বরটা যে অস্বাভাবিক রকম ধরা ও অস্পষ্ট এবং প্রতি কথার শেষে কাপিয়া যাইতেছে তাহা বুঝিতে গৌরীর বিন্দুমাত্রও অসুবিধা হইল না। এই বলিষ্ঠ দীর্ঘায়ত শক্তিমান অক্লান্তকৰ্ম্মী যুবকের বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠস্বরে যে বেদনার স্বরটি বাজিয়া উঠিল, তাহ যেন গৌরীর বুকের ভিতর গিয়া প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। পুরুবের চোখের জল যে কি জিনিষ তাহ। সে বুঝিত। কিন্তু আজ এই পুরুষটির না-দেখা অশ্রুর আমেজই যে তাহাকে এমন করিয়া টলাইবে তাহা সে ভাবে নাই। নিজের দুৰ্ব্বলতা ত তাহার জানা ছিল না । গৌরী ঘরের আলোট। আড়াল হইতে বাহির করিয়া সঞ্জয়ের মুখের দিকে ন। তাকাইয়াই বাহিরে চলিয়। আগিল। ঘরে থাকিতে তাহার কেমন যেন লাগিড়েছিল । যাহার সহিত তাহার পরিচয় ঘনিষ্ঠ নয় তাহার হৃদয়াবেগের পরিচয় পাইতে তাহারই সঙ্কোচ হুইতেছিল । তাহার উপর আবার একধাও মনে হইল বে ঘরের ভিতর সে দাড়াইয়া খাকিলে ত ধরাবাধা কথা ছাড়া সঞ্জয়ের কিছুই বলা হইবে না। অন্ধকারের অস্পষ্ট ছায়ামূৰ্ত্তির উপর অকস্মাৎ এতখানি আলো আসিয়া পড়িয়া চঞ্চলার মুখের সমস্ত ক্লাস্তি, বেদন, অবসাদ ও সংগ্রামের চিহ্নগুলি যেন দশগুণ বাড়িয়া উঠিল। চঞ্চলার সে মুখ চোখে পড়িতেই সঞ্জয় বাহিরের ভদ্রতা ভুলিয় গেল। একেবারে কাছে আসিয়া তাহার হাত ধরিয়া বলিল, "চঞ্চল,"একদিনে এ কী হ’য়ে গেছ ?” চঞ্চলা মনে করিয়াছিল খুব প্রলয়-গম্ভীর মুখ করিয়া একেবারে অপরিচিত চিকিৎসকের মত দুই কথায় সঞ্জয়কে বিদায় করিয়া দিবে। কিন্তু ইহার পর তাহার গাম্ভীৰ্য্য টিকিল না । সে চোখের জলে সঞ্জয়ের হাতখানা ভাসাইয়া দিল । কাল সারারাত ও আজ সারাদিন ধরিয়া পিতামাতার আদুরে দুলাল, নিষ্ঠুর সমাজের হাতের ক্রীড়নক ষে সঞ্জয়কে সে মনে মনে আপনার পরম শক্রপে খাড়া করিয়া আপনার সমস্ত আক্রোশ তাহার উপর ঢালিয়াছিল আজ অকস্মাৎ এক মূহূৰ্বেই দেখিল এ ত সে সঞ্জয় নয় । পিত। যাহাকে আপনার কলঙ্ক ভাৰিয়া স্বচ্ছন্দে ত্যাগ করিয়া সকল দায়িত্বের হাত হইতে মুক্ত হইয়াছেন সেই অজ্ঞাত অপরিচিত পিতৃমাতৃত্যক্ত ভগিনীর বেদনায় যে একদিনে এতখানি বিচলিত হইতে পারে, যে এমন করিয়া আদিয়া সকল ভুলিয়া তাহার হাত ধরিতে পারে, পিতৃপাপের আগুন যাহাকে একরাত্রে এমন করিয়া দগ্ধ করিতে পারে সেই সঞ্জয়কে চঞ্চলার জানা ছিল না। কাল যে হাস্তবিকসিত মুখের আলোয় তাহার সুপ্ত ভ্রাতৃস্নেহ জাগিয়া উঠিয়াছিল, চঞ্চল দেখিল আজ সে মুখের দিকে আর চাওয়া যায় না। এই মানুষকে এমন করিয়া আচমকা অতবড় কঠিন বেদনা দেওয়ার জন্ত চঞ্চলার মনে একটা অমুশোচনা জাগিয়া উঠিল । তাহার বেদন ত তাহারই রহিল, মাঝখান হইতে এই নিষ্পাপ মনটাতে এতবড় ঘা সে না দিলেও ত পারিত। খানিক পরে মুখ তুলিয়া চঞ্চল বলিল, “কাল আপনাকে আমন ক’রে বিদায় ক’রে দিলাম ; আপনি আমাকে তার জন্তে ক্ষমা করবেন। সত্যি, সেটা আমার ভারী অন্তায় হ’য়েছিল। আমার এতদিনে দুঃখের ও লজ্জার ইতিহাসটা একদিনে অমন ক’রে আপনার উপর এনে ফেলাটা ধে ক্ষতখানি নিষ্ঠুরের কাজ ত আজ জামি বুঝতে পেরেছি। কাল জামার মাথার ঠিক ছিল ना, डाई चांमि अधन कांथ कवृ८ङ cश८ब्रश्लूिम । ऊाब घरछ আমাকে কি আপনি ক্ষমা করতে পাবেন ?” * '