পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ግዓ• প্রবাসী—ভাদে, ১৩৪৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড দেশের লঙ্গ দূর হইত। অত্যাচারীদের মধ্যে প্রতি गक्षरश्त्र उiजिकtउल्ले श्मूि यानक मूछे इछ, शमिe অত্যাচারীর সংখ্যায় প্রতি সপ্তাহের তালিকাতেই মুসলমান তাহদের চেয়ে বেশী। অধিকাংশ স্থলে হিন্দু ও মুসলমান নারীর উপর অত্যাচার করে মুসলমান, কোথাও কোথাও হিন্দুমুসলমান বদমায়েসেরা একজোট হইয়া অত্যাচায় করে । হিন্দুপুরুষ দ্বারা হিন্দুনগরীর উপর অত্যাচারের সংখ্যা বড় কম নয়। হিন্দুপুরুষ দ্বারা মুসলমাননারীর উপর অত্যাচার একেবারে হয় না, এমন নয় ; তবে খুষ কম স্থলে হয় । খৃষ্টান অত্যাচারীর নামও মধ্যে মধ্যে দেখা যায় । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে কুমারী ইলিস নাম্নী একটি ইংরেজ বালিকা উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ হইতে অপহৃত হইয়। স্বাধীন বা অৰ্দ্ধস্বাধীন পাঠানদিগের দেশে নীত হয় । তাহার উদ্ধার সাধন করিবার জন্ত সাম্রাজ্যময় সাড়া পড়িয়া গিয়াছিল। তাহার উদ্ধার সাধন করিয়া তবে ইংরেজ ক্ষণস্ত হইয়াছিল ; কিন্তু এই যে কত বৎসর ধরিয়া বাংলা দেশে কত কুমারী, সধব', বিধবা নারী অপহৃত ধৰ্ষিত হইতেছে, কাহাকেও কাহাকেও খুজিয়াই পাওয়া যাইতেছে না, কাহারও কাহারও প্রাণবধ করা হুইয়াছে বলিয়া সন্দেহের যথেষ্ট কারণ জন্মিতেছে— এত বড় যে ভীবণ, লজ্জাকর ও শোচনীয় ব্যাপার, তাহাতে ভারতবর্ষের শাসনকৰ্ত্তাদের কাহারও টনক নড়িতেছে না । অপহৃত নারীদের উদ্ধারসাধনের জন্য, ফেরার বদমায়েসদিগকে ধরিয়া শান্তি দেওয়াইবার জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটদের উপর, পুলিশের উপর কোন তন্বী তাগাদ পড়িতেছে না । বদমায়েসের অনায়াসে গ্রাম গ্রামাস্তরে অপহৃত নারীদিগকে লুকাইয়া লুকাইয়া লইয়। যেড়াইতেছে, এমন-কি কখন কখন মোকদম বিচারাধীন থাক। কালেই উদ্ধৃতা নারীকে পুনৰ্ব্বার অপহরণ করিতেছে। গবন্মেণ্টের কৰ্ম্মচারীদের এই ঔদাসীন্য বা অক্ষমতার কারণ কি ? এখনও বোধ করি এক বৎসরও হয় নাই, পূৰ্ব্ব আফ্রিকায় কোন দুবৃত্ত নিগ্রে এক ইংরেজ মহিলার সন্ত্রম হানি করে । অবিলম্বে সেখানে আইন হইয়া গেল, যে, ভবিবাতে কোন কৃষ্ণকায় কোন শ্বেতকায়ার ঐক্লপ অপমান করিলে তাহার প্রাণদগু হইবে । ভারতবর্ষে শত শত নারীর সতীত্বনাশ সৰ্ব্বনাশ ও নানা লাঞ্ছনা, প্রাণবধ হইতেছে। কিন্তু আইনের কঠোরভা সাধন দূরে থাকৃ, বর্তমান অাইন অমুসারে তৎপরতার সহিত সমুচিত জগুবিধানের চেষ্টাও হইতেছে না। গবষ্মেন্টের এপ্রকার ঔদাসীন্ত বা অক্ষমতার কারণ কি ? ইষ্টতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমানদের শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্‌ভোকেশ্বান উপলক্ষে ভাইসচ্যান্সেলার মিস্টার ল্যাংলাঁ তাহার বক্তৃভায় বলিয়াছেন, যে, মুসলমান ছাত্রদের বাসের জন্ত মুসলিম হল নিৰ্ম্মাণ শীঘ্র আরম্ভ হইবে এবং তাহাতে ৭,৩০,২৮৫ টাকা ব্যয় হইবে । তাছাদের বাসগৃহ নিৰ্ম্মিত হইতেছে, ইহা সন্তোষের বিষয় । কিন্তু ব্যয়ের পরিমাণ দেখিয়৷ মনে হইতেছে, খুব জৰ্ণ কাল রকম বাড়ী হইবে। সাদাসিধা স্বাস্থ্যকর মজবুত বাড়ী তৈয়ার করিতে যত খরচ হয়, তাং করিয়া বাকী টাকায় মুসলমান ছাত্রদের জন্য বৃত্তি স্থাপিত করিলে অর্থের সন্থায় হইভ, এবং প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণে সব টাকা খরচ করা অপেক্ষা উদ্বার। মুসলমানদের মধ্যে , উচ্চশিক্ষার বিস্তার অধিক পরিমাণে সাধিত হইত। •মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে অধিকাংশই যে গরীব, তাহা ল্যাংলী সাহেবের বক্তৃতাতেই আছে । তিনি বলেন, অধ্যাপক যোগীপচন্দ্র সিংহ ছাত্রাবাসের ৪০১ ছাত্রের পারিবারিক আর্থিক অবস্থ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করেন। তাহাঁদের মধ্যে ২৮২ জন হিন্দু, ১১৭ জন মুসলমান । অধ্যাপক সিংহ পরিবারের এক এক জনের বঁচিম্বা থাকিবার খরচ মাসিক নয় টাকা ধরেন । ইহা বেশী ধরা হয় নাই । বঁচিয়া থাকিবার খরচ এত কম ধরিয়াও তিনি দেখেন, ষে, মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে শতকর। ৬২ জন এরূপ সব পরিবারের ছেলে যাহাদের আয় বঁচিস্থ থাকিবার উক্ত আয় অপেক্ষাও কম, শতকরা ৬ জনের বাড়ীর আয় বঁচিয়৷ থাকিবার মত, এবং শতকরা ৩১ জনের বাড়ীর আয় তার চেয়ে বেশী। তা ছাড়া, ইহাদের মধ্যে শতকরা ৭২ জনের বাড়ীর আয় জমী হইতে প্রাপ্ত। হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে শতকরা ৩৩ জনের বাড়ীর আয় বাচিয়া থাকিবার আয় অপেক্ষা কম, শতকরা ৭ জনের বাড়ীর আয় বাচিয়া থাকিবীর মত, এবং শতকরা ৬০ জনের বাড়ীর আয় তার চেয়ে বেশী। অতএব দেখা যাইতেছে, মুসলমান ছাত্রদের অধিকাংশ বড় গরীব। তাহাদের জন্ত প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ না করিয়া খুব স্বাস্থ্যকর সাদাসিধা মজবুত বাড়ী নিৰ্মাণ করিয়া বাকী টাকার আয় হইতে তাহাদিগকে বৃত্তি দিলে ভাল হয় । এখনও নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য অtয়ম্ভ হয় নাই। কর্তৃপক্ষ বদান্ত ধনী মুসলমানদিগকে গরীব ছাত্রদের জন্য বৃত্তি স্থাপন করিতে অকুরোধ করিয়াছেন। সরকার বাহাদুর স্বয়ং সেবিষয়ে দৃষ্টান্ত দেখাইলে অনুরোধের ফল বেশী ফলিবে মনে হয়। মুসলমানদের মধ্যে দরিদ্র লোক খুব বেশী, কিন্তু টাকা ষে কাহারও নাই, তাহা নহে। বিদেশী