পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

し〜>や SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS রাজাদের প্রভূত্বাধীনে আসিয় পড়িয়াছিল। উদয়ন ও মহেন্দ্রদত্তার পুত্র ছিলেন মহাপুরুষ ঐলঙ্গ। ১৫ বৎসর বয়সেই ঐলঙ্গ শক্ৰহস্ত হইতে আপনাকে বাচাইবার জন্য বন-গিরি-অরণ্যে আত্মগোপন করিয়া সেইখানে অরণ্যবাসী সাধু সন্ন্যাসীদের সঙ্গে বাস করিতে থাকেন। একবার তিনি প্রতিজ্ঞ করেন, যদি তিনি হৃতসিংহাসন আবার ফিরিয়া পান তাহ হইলে বনবাসী সাধুসন্তদের জন্ত একটি বিহার নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া দিবেন। পরবর্তী কালে এ প্রতিজ্ঞ৷ তিনি রক্ষা করিয়াছিলেন। শিলালিপিতে তাহার উল্লেখ আছে। ৯৫৭ শক, ১০৩৫ খৃষ্টাব্দে তিনি সকল শত্রুর বিনাশ সাধন করিয়া সিংহাসন অধিকার করেন এবং সমগ্র যবদ্বীপের রাজপদে বৃত হন। তাহার রাজত্বকালেই “কবি”-ভাষায় লিখিত ‘অৰ্জুন-বিবাহ, বিরাট পৰ্ব্ব প্রভৃতি কাব্য ও মহাভারতের একটি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। খুব সম্ভব রামায়ণও এই সময় অনূদিত হইয়াছিল। ১০৪২ খৃষ্টাব্দে ঐলঙ্গ তাঙ্গর দুই পুত্রকে রাজ্য ভাগ করিয়া দিয়। আবার বনবাসী হন ; ভরদ নামক এক সিদ্ধ সন্ন্যাসী দুই পুত্রের রাজ্যের সীমা নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন বলিয়া জাভায় জনশ্রুতি আছে। ইহার একটি রাজ্যের নাম জঙ্গল—আর-একটি কেদিরি অথবা ডাহি’। ‘জঙ্গল’ রাজ্য সম্বন্ধে আমাদের কিছু জানা নাই ; কিন্তু জাভার প্রাচীন “কবি”-সাহিত্যের সমৃদ্ধির যুগ আনয়ন করিয়াছিলেন কেদিরি’র কবিরা । জাভার জাতীয় ভাব ও কল্পনাকে সার্থক করিয়াছিল এই কেদিরি রাজ্য—আজও জাভার অধিবাসীর সে-কথা ভুলিতে পারে নাই। ১১০৪ খৃষ্টাব্দে রাজসভায় রাজকবি ছিলেন ত্রিগুণ । ‘সুবনসন্তক' ও ‘কৃষ্ণজন’ নামক দুইখানি কাব্য ইনি রচনা করিয়াছিলেন । ১১২০ খৃষ্টাব্দে রাজা ছিলেন কাম্বেশ্বর—তাহার অদ্ভুত কীৰ্ত্তিকাহিনী-বিজড়িত স্মৃতি আজিও জাভার কথায় গাথায় বাচিয়া আছে। ‘জঙ্গলের রাজকুমারী চন্দ্রকিরণকে তিনি বিবাহ করিয়াছিলেন—দুইজনে একসঙ্গে স্বর্ণ সিংহাসনে বসিয়া রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিতেন। তাহার রাজকবি মৃগু ধৰ্ম্মরাজ “স্মরদহন” ( মদনভস্ম ) নামক এক কাব্য রচনা করিয়াছিলেন । ১১৩৫ খৃষ্টাব্দ হইতে ১১৫৫ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কেদিরির

  • ,

প্রবাসী-—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড রাজা ছিলেন জয়বয়। তাহারই রাজত্বকালে কবি পেকুলুহ, “ভারতযুদ্ধ ও হরিবংশ” নামক দুষ্টপানি কাব্য প্রকাশ করেন। “ভারতযুদ্ধে” জয়বর খুব বীরযোদ্ধা বলিয়া বর্ণিত হইয়াছেন এবং সুমাত্র-বিজয়ী বলিয়া তাহার উল্লেখ আছে । জয়বয় ছিলেন বৈষ্ণব ; জাভার লোকেরা আজিও বিশ্বাস করে জয়বয় পুনর্জন্ম লাভ করিয়া কেদিরি’র স্বর্ণরাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিবেন। কেদিরি’র রাজারা জাভার বাহিরেও সন্মান এবং প্রতিপত্তি অর্জন করিয়াছিলেন । ১১২৯ খৃষ্টাব্দে কামেশ্বর চীন-সম্রাটের নিকট হইতে রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। আরবী পুথিপত্র হইতে জানা যায় যে, জাভার অধিবাসীরা এই সময় আফ্রিকার উপকূল পৰ্য্যন্ত বাণিজ্য-সম্বন্ধের বিস্তার সাধন করিয়াছিল। এমন-কি কোনে কোনো পণ্ডিত মনে করেন, খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে জাভা ও সুমাত্রার হিন্দু অধিবাসীরাই মাদাগাস্কারে উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছিলেন । ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম পাদে কেদিরি রাজ্য কেন অরোক নামক জনৈক দৃদ্ধর্ষ বীরের কর-কবলিত হয়। এই সময় হইতে আরম্ভ করিয়, জাভার ইতিহাস “কবি”-ভাষায় লিখিত গ্রন্থ জুড়িয়া বহু বিচিত্র তথ্যে পরিপূর্ণ হইয়া আছে। “পর রতন” নামক গ্রন্থে ১৪৭৮ খৃষ্টাব্দ অর্থাৎ হিন্দুরাজ বংশের শেষ পর্য্যন্ত জাভার সমগ্র ইতিহাসটি লিপিবদ্ধ আছে ; নগর কৃতাগম গ্রন্থেও জাভার ইতিহাসের অনেক তথ্য আছে, কিন্তু তাহ ১৩৬৫ খৃষ্টাব্দ হয়মবুরুকের রাজত্ব-কাল পর্যন্ত । কেন অরোক ছিলেন সিঙ্গসারি ও মজ্যপহিত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাত পূৰ্ব্বপুরুষ। ব্ৰহ্মার পুত্র, বিষ্ণুর অবতার ও শিবের পরমাত্মীয় বলিয় “পররতনে” তাহার উল্লেখ আছে । পৃথিবীতে এমন দুষ্কৰ্ম্ম নাই যাহার অনুষ্ঠান তিনি করেন নাই, কিন্তু যেহেতু এতগুলি দেবতার সঙ্গে তাহার সম্বন্ধ, সেই হেতু কোনো পাপই তাহাকে স্পর্শ করিত না। ভারতবর্ষ হইতে আগত কোনে ব্রাহ্মণের সহায়তায় তিনি ‘সিঙ্গসরি'র সামন্ত রাজ-সভায় পরিষদরূপে প্রবেশ লাভ করেন ; সিঙ্গসারি’র রাজা তখন কেদিরি’র সামস্ত রাজ । রাজসভার পরিষদরূপে ক্রমে তিনি রাজরাণীর অত্যন্ত প্রিয়