বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ليون بود ويسري منrvہ**** AJJJM MAAA AAAASAAAAS SAAAAAA SAAAAAMAJAJAA SAAS পশ্চিম জাভার সমগ্র ভূখণ্ড, বালি, বকুলপুর (দক্ষিণ-পশ্চিম বোণিs ) সুমাত্রার ঐবিজয় রাজ্য এবং সিংহপুর (শিঙীপুর) মজ্যপহিত করতলগত না হয়, ততদিন রাজকোঁধের একটি সুবর্ণকণাও আমি স্পর্শ করিব না। সভার সকলে বিদ্রুপের কলহাস্তে র্তাহাকে অভিনন্দিত করিল। অপমানাহত গজমদ রাণী ত্রিভুবনোদ্ভুত্ব দেবীর নিকট অপমানের বিচার প্রার্থনা করিলেন–রাণীর বিচারে সকল বিদ্রুপমত্ত সভাসদ বহিষ্কার-দণ্ডে দণ্ডিত হইলেন। গজমদ নিৰ্ব্বিঘ্নে রাজাদেশ মস্তকে লইয়া বিজয়াভিযানে বাহির হইলেন। ১৩৪৩ খৃষ্টাব্দে বালিদ্বীপ মজাপহিত-বস্তৃত৷ স্বীকার করিল ; বালি'র বীর রাজা যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হইলেন এবং সঙ্গে-সঙ্গে জাভা, মাদুর ও সেলিবি দ্বীপের সমগ্র ভূখণ্ড মজ্যপহিত্যু সাম্রাজ্যের করতলগত হইল। ত্রিভুবনোজুস দেবীর রাজদণ্ড ত্যাগের পর হয়মবুরুক মজ্যপহিত সিংহাসনে আরোহণ করেন-ইহার রাজত্বকালেও গজমদই প্রধান মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং এই সময়েই পূৰ্ব্ব ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দ্বীপগুলিও একে একে মজ্যপতিত, সাম্রাজ্যের বহুত স্বীকার করে । সুমাত্রার রাজা আদিত্যবৰ্ম্মণের এই সময়কার একটি অদ্ভুত শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। শিলালিপিটির ভাষা অত্যন্ত ফুৰ্ব্বোধ্য, কিন্তু জাভা ও সুমাত্রার কি করিয়া তান্ত্রিক মহাযান ও বজ্রধান বৌদ্ধধৰ্ম্ম অতি ধীরে ধীরে প্রবেশ লাভ করিতেছিল, এই লিপি হইতে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। “১২৬৯ শকের জ্যৈষ্ঠ মাসে কুমার আদিত্যবৰ্ম্মণ শ্মশান-ভূমিতে শ্রেষ্ঠ অভিষেকোৎসবে দীক্ষা লাভ করিয়! ক্ষেত্ৰজ্ঞ হইলেন এবং ‘বিশেষ ধরণী’ নাম গ্রহণ করিয়া পরম মুক্তি লাভ করিলেন। জনহীন রাজ্যের রাজসিংহাসনে ( অসংখ্য নরমুণ্ডের উপর ) বসিয়া, বিকট হাস্তে সকল দিক কম্পিত করিয়া তিনি নররক্ত পান করিতেন এবং তাহার মহাপ্রসাদ ( নরমেধ-যজ্ঞ ) উদ্ধে ধূমায়িত হইয়া চতুর্দিক উৎকট দুর্গন্ধে ভরিয়া তুলিত ; কিন্তু যাহারা দীক্ষিত ও লব্ধমন্ত্র তাহাদের কাছে এই দুৰ্গন্ধ অগণিত পুষ্পের নন্দন-সুরভি বলিয়া মনে হইত।” ইহার ঠিক অর্থ যুঝিবার উপায় নাই, কিন্তু তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের আভাস ইহার মধ্যে অত্যন্ত সুপরিস্ফুট। মৃত্যুর পর আদিত্যবৰ্ম্মণ, প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAA AAAA SAMMSAAAAAA AAASA SAASAASAASAASJJSASAAAAAS AAASASASJAMSMAAA AAAASAAAAJSAS SSAS SSAS বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বরের সঙ্গে এক হইয়া গিয়াছিলেন বলিয়া লোকের বিশ্বাস । জাভায় তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের প্রসারের প্রমাণ অন্যত্রও আছে। সিঙ্গসারির শেষ রাজা কৃতনগরের রাজসভায় বাস করিতেন কবি প্রপঞ্চ । “কবি”-ভাষায় লিখিত র্তাহার নগরকৃতাগম’ গ্রন্থেও রাজা কৃতনগরের তান্ত্রিক ধৰ্ম্মাচরণের সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। কৃতনগর শিব বুদ্ধেরই প্রতীক বলিয়া জাভায় পূজিত ও সম্মানিত হইতেন ; তিনি শ্মশানভূমিতে দীক্ষা লাভ করিয়া জিন 'অক্ষোভ্যার মানব-প্রত্নীকৃ বলিয়া খাতি লাভ করিয়াছিলেন। কৃতনগর তান্ত্রিক চক্রের পুজ। করিতেন এবং আরো ভীষণ জটিল তান্ত্রিক অনুষ্ঠানেও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন—নগরকৃতাগম গ্রন্থে তাহার উল্লেখ আছে। ঠিক এই সময়েরই মন্ত্রধান মহাযান ধৰ্ম্মের আর-একটি গ্রন্থেও (সঙ হ্যাং কমহখানিক ) তান্ত্রিকখন্মের চিহ্ন বেশ স্বপরিস্ফুট। এই গ্রন্থেরই এক স্থানে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও শিবকে ধ্যানীবুদ্ধ বৈরোচনের অংশসস্তুত বলিয়। উল্লেখ করা হইয়াছে। ইহা হইতেই বুঝা যাইবে, জাভা ও মুমাত্রায় দিনের পর দিন বৌদ্ধ ও হিন্দুধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে নানান কুৎসিত আচার ও বিকৃত বিদুষ্ট অনুষ্ঠানের মরু-বালিরাশির মধ্যে কি করিয়া বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছিল এবং ভারতবর্ষের এই সদ্ধৰ্ম্মের বিলোপ কি করিয়া ধীরে ধীরে ইসলাম ধৰ্ম্মের প্রসারের পথ প্রশস্ত করিয়া দিতেছিল। ১৩৫০ খৃষ্টাব্দে হয়ম্বুরুকের বয়ঃপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে রাণী জয়বিষ্ণুবন্ধনী রাজদণ্ড পরিত্যাগ করেন । এই হয়ম্বুরুকের রাজত্বকালেই মজ্যপহিত রাজ্যের চরম বিস্তৃতি ও প্রতিপত্তি লাভ ঘটিয়াছিল। নগরকৃতাগম ও পরবতোন গ্রন্থে তাহার রাজ্যজয়ের বিস্তৃত বিবরণ আছে। জাভা হইতে আরম্ভ করিয়া নিউগিনি পৰ্য্যস্ত তাহার রাজ্য বিস্তৃতিলাভ করিয়ছিল । তাহ ছাড়া বোণিয়ো,দক্ষিণ ও পশ্চিম সেলিবিস্কুটন, বুদ্ধ, মেরাম, বান্দ, বঙ্গ গই, মলুক্কাদ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি সমস্তই মজ্যপহিত, রাজার বহুত স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিল। মালয় দ্বীপপুঞ্জের কেদাহ, কেলাঙ, সিঙাপুর, পাহাঙও কেগান্তন এবং সুমাত্রার ঐবিজয় রাজ্যও হয়ম্বুরুকের করতলগত হইয়াছিল। গজমদের সগৰ্ব্ব প্রতিজ্ঞ হয়মবুরুকের রাজত্বে পরিপূর্ণ সার্থকতা লাভ করিল। এই . A.