পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] るべ や ............A^.^s.۶.ی · جتہہِ مہ .مx. নহে। তখন তাহার মানুর গতিটা কোন দিকে বিবার জষ্ঠ দুই একটি প্রশ্ন করিতেই লজ্জায় মরিয়া গিরি একেবারে ঘরের অন্ধকার বেড়ায় গিয়া মুখ লুকাইল মানদ ক্রমাগত ঘরের মধ্য হইতে ঠেলিতে লাগিল, কিন্তু কোনোক্রমেই কন্যাকে বাহিরে পাঠাইতে পারিল না। অগত্য কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর দারোগ৷ সাহেব উঠিলেন এবং মধ্যে মধ্যে সন্ধান লাইবেন—মৃদ্ধ হাসিয়া এই প্রতিশ্রুতিটা দিয়া গেলেন। দারোগ চলিয় গেলে বাহির হইতে নছর চৌকীদার আঙ্গিনায় প্রবেশ করিয়া কহিল, “বেঁচে গেলে জেলে-বেী, হাকিম তোমার সহায় হয়েছেন।” বুড়ী নিশ্চিন্ত হইয়া দুই কর কপালে ঠেকাইয় দেবতার উদ্দেশ্বে প্রণাম করিল, কিন্তু গিরি সেদিন আর শয্য ছাড়িয় উঠিল না । గ్రీ ইহার পর দিনকয়েক নাম স্থানে তদন্তে যাইবার পথে দারোগ সাহেব প্রতিশ্রুতি মত বুড়ী ও তাহার কন্থার সন্ধান লক্টতে আসিলেন। কিন্তু সন্ধানের মুখ্য বস্তুটি ঘোড়ার পায়ের শব্দ পাইলেই ঘরের পিছনের ভাঙ্গা বেড়ার ফঁাক দিয়া ঘে কোথায় অস্তুৰ্হিত হইয়া ঘাটত তাঙ্গ মানদণও আবিষ্কার করিয়া উঠিতে পারিত না । কন্যার এই অকৃতজ্ঞতায় বুড়ী লজ্জিত হঠত ও কস্তার পক্ষ হইতে হাকিমের কাছে ক্ষম। চাহিয় তাহার জষ্ঠ্য প্রতিবারই ভগবানের আশীৰ্ব্বাদ ভিক্ষা করিত। বলা বাহুল্য, এই একঘেয়ে নীরদ ক্ষমাভিক্ষ দরোগ সাহেবের বেশী দিন ভালো লাগিল না এবং বাশ চিটার হাটের পথে উহার গতিবিধি ক্রমে ক্রমে বিরল হইয়, আসিল । ইহাতে অবশু গিরিবালার অবস্থার কোনো ইতর-বিশেষ হইল না ; জীবন-ধারা যেমন বহিতেছিল তেমনই বহিয়৷ যাইতে থাকিল । সমস্ত দিন নানা কাজের মধ্যে আপনার অবস্থার কথাটি বিশেষ মনে থাকিত না, কিন্তু স্বর্য্যাস্তের সঙ্গে-সঙ্গেই জগতের দুর্ভাবনা আসিয়া জুটিত এবং পৃথিবীটাকে মনে হইত একটি জীবন্ত প্রেতপুরী । সহসী একদিন গিরিবালার সমস্ত তুৰ্ভাবনার সমাপ্তি হইল। সেদিন শ্রাবণের বর্ষণ প্রভাক্ত হইতে আরম্ভ হইয়াছিল। বর্ষার রাত্রি। প্রথম প্রহরেই পল্লীর যুকে নিশীথের গিরিবালার জীবন-পঞ্জী

  • S)

x ... *******、*、*、***x AAAAAA AAAA AAAA AAAAMAMBBAAMMMM ,..... -- ہم یہ مہر عم ۔ عہ ، নিস্তন্ধত ঘনাইয়া আসিয়াছিল। সেই নিস্তব্ধতা ভেদ করিয়া গিরিবালার মাতার কুটার-প্রাঙ্গণ হইতে সহস৷ এক আৰ্ত্ত চীৎকারধ্বনি উঠিল । শ্রাবণের বর্ষণ-রব ছাপাইয় সে আৰ্ত্তনাদ সুখ-সুপ্ত ভদ্র পল্লীকে পর্য্যস্ত ধ্বনিত করিয়া তুলিল এবং পল্লীর নিদ্রার জড়ত টুটিবার পূৰ্ব্বেই ভরা নদীর তরঙ্গ-কল্লোলে ডুবিয়া গেল। গ্রামে যে একেবারে চাঞ্চল্য উপস্থিত হইল না তাহা নহে। ও পারের ঝাউ-বনের অন্ধকারের অন্তরালে যখন গিরিবাঙ্গাকে বহিয়াপল্পী অদৃপ্ত হইয়া গিয়াছে তখন পথের_ মোড়ে নছর চৌকীদারের ভীম গৰ্জ্জন শোনা গেল। এদিকে গণেশ মাঝির মুখে সংবাদ পাইয়৷ হার ঘোষাল আসিয়া রায়-বাবুকে ডাকিয় তুলিয়া কহিলেন, “যাভেবেছিলাম, রায় বাবু, তাই হ’ল, নিতাই মাঝির মেয়েকে নিয়ে গেল।” রায়- . বাবু চক্ষু মুছিয়া রাম নাম জপিতে জপিতে বাহিরে আসিলেন। ক্রমে ক্রমে রায়বাড়ীর বৈঠকখানায় গ্রামের ভদ্রসস্তানদের একটি ছোট সভা বসিয়া গেল। মাখন ভৌমিকের বয়স অল্প। শখের থিয়েটারে ক্রমাগত লক্ষ্মণের ভূমিক অভিনয় করিতে করিতে বিপন্ন স্ত্রীলোকের প্রতি তাহার এক-রকম মমত্ব-বোধ জন্মিয়াছিল, সভাস্থ একজন থানায় সংবাদ দিবার প্রস্তা করিতেই সে কহিল, “থানায় খবর দেওয়া কিছু নয়। আমি যাচ্ছি আপনার আমুন!” হার ঘোষাল ধমকু দিয়া কহিলেন, “ওই কাজটি কোরে ন, বাবাজী ! থিয়েটার করতে গিয়ে চিস্তে চাড়ালের পা’ ধ'রে দাদা’ ‘দাদা’ ব’লে চেচাও, সেটা বরং সওয়া যায়, কিন্তু ছোট লোকের হাতে মার খেয়ে আর আমাদের মুখ হাসিও না।” ছোট লোকের হাতে মার খাওয়ার আশঙ্কায় অকস্মাৎ মাখন ভৌমিকের উৎসাহ দপ, করিয়৷ নিভিয়া গেল এবং অতঃপর থানায় সংবাদ দেওয়াই যে, সৰ্ব্বাপেক্ষা সুযুক্তি সে-বিষয়ে কাহারও মতদ্বৈধ রহিল না। গিরিবালার চরিত্র সম্বন্ধে সত্য মিথ্যা সৰ্ব্বপ্রকার আলোচনা হইয়। যখন ক্রমে ক্রমে থামিয়া গেল তখন একদিন হঠাৎ সংবাদ আসিল যে, গিরিবালাকে বারখালির আমীর শেখের বাড়ীতে পাওয়া গিয়াছে। গ্রাম আবার চঞ্চল হইয়া উঠিল এবং যদিও হাট-বার তথাপি বঁাশচিটা ইউনিয়ানের প্রেসিডেণ্ট চামড়ার দালাল ফজল মিঞার