পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-☾ o বলিল, “আচ্ছা, গেলেই না হয় ধরিলাম। বাড়ী ঘর ত সব ঘটা ক’রে উঠিয়ে দিয়ে এলে । এখন ফিরে গিয়ে উঠবে কোথায় শুনি ? মেসে না দুর্গাবাড়ীতে ?” প্রভা সব কথারই উত্তর ভাবিয়া ঠিক করিয়া রাখিয়াছিল, সে বলিল, “কেন, গিয়ে মধু-বাবুদের বাড়ী উঠ ব, তার পর বাড়ী খুজে নেব।” হীরেন বলিল, “বাড়ী পাওয়া অমনি সোজা কিনা ? বাড়ীওয়ালারা সব তোমার পথ চেয়ে বসে আছে। হঠাৎ এমন মত পরিবর্তন হ’ল কেন শুনি ?” উত্তরে শুনিল, যে, মত পরিবর্তন হইয়াছে গৃহিণীর খুসি । এবং কারণ যদি সে না বুঝিতে পারে তবে তাঙ্গর বুঝিয়া কাজ নাই। বাহিরে মুখ ছাড়ি করিয়া, এবং মনে অত্যস্ত খুসি হইয়। হীরেন ঘুমাইয়া পড়িল । বিকালে উঠিয়া, চা খাইয়া বলিল, “তাহ’লে একবার কেবিনের চেষ্টায় বেরলে। যাক ?” প্রভা বলিল, “হা, আগের থেকে চেঞ্জ করা ভাল, তা না হ’লে আবার এক কেবিনে জায়গা পাব না ।” হীরেন বলিল, “নাই বা পেলে ? ছ’মাস দূরে থাকৃলার ব্যবস্থা ছিল, তার জায়গায় তিনটা দিন কি আর থাকতে পারবে না ?” প্রভা মুখ ঘুরাইয়া বলিল, “আহ, সেই ভয়েত আমি একেবারে ম’রে গেলাম। খুকীটা হাড় জালিয়ে খায়, একলা সাম্লাতে পারি না, তাইনা। তা না হ’লে তিন দিন ছেড়ে, তেত্রিশ দিন তুমি থাকনা গিয়ে যেখানে খুলি।” হীরেন বলিল, “স্ত্রী জাতি । এই পাচ মিনিট আগে ছেড়ে থাকৃবার আতঙ্কে হাপিয়ে উঠেছিলে, আর এখনি উণ্টে বক্তৃত করুছ । তোমাদের বিশ্বাস করতে যে শাস্ত্রে মানা করেছে, তা ঠিকই করেছে।” উত্তরে গুছাইয়া কিছু বলিবার না পাইয়া, প্রভা এমন মুখ করিয়া চলিয়া গেল যেন হীরেন এমনি একটা বাজে কথা বলিয়াছে, যাহার উত্তর দিবারও প্রয়োজন নাই। বর্ষাকালে যাত্রীর ভীড় থাকে না, কাজেই এক কেবিনে জায়গা পাওয়া সহজেই ঘটিয়া গেল। দিন তিন চার প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AASAASAASAA AAAMAAA AMA AMMAAASAAAAASA SAASAASSAAAAAAMAS SJAAA AAAA AAAASAAAA AAAA AAAA JAS AMASAAeMMeAAASAASAASAA AA ASASASASS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড JAMJJSJSJA AJJSASJSMSMSMSMAAA AAAASASASS ঢেউয়ের দোল খাইয়া শ্রান্ত ক্লাস্ত ও অবসন্ন ভাবে, চতুর্থ দিনে তাহারা রেজুনে আসিয়া পৌছিল। মধু-বাবুকে আগেই পত্র লিথিয়া হীরেন তাঁহাদের শুভাগমনের জন্য প্রস্তুত থাকিতে বলিয়াছিল । দেখা গেল, তিনি জাহাজ-ঘাটেই অপেক্ষা করিতেছেন । পোটল-পুটলি লইয়া প্রভা আসিয়া মধুবাবুর বাড়ী উঠিল বটে, কিন্তু ছুদিন যাইতে-না-যাইতেই তাহার প্রাণ অস্থির হইয়া উঠিল। মধু-বাবু মধ্যবিত্ত গৃহস্থ, অনেকগুলি ছেলেমেয়ে লইয়া রেঙ্গুন সহরে বাস করেন, সম্বল মাত্র ছ-শ' টাকার চাকরী। কাজেই প্রচুর বাড়ীভাড়া দিবার ক্ষমতা তাহার ছিল না। পঞ্চাশ টাকা ভাড়া দিয়া যে কাঠের খাচাটিতে তিনি আশ্রয়লাভ করিয়াছেন, তাহাতে আলো এবং বাতাসের কোনো স্থান নাই। ভাড়া দেয় না বলিয়াই যেন তাহাদের প্রবেশ নিষেধ হইয়া গিয়াছে । একপাল লোকের মধ্যে শিশু কন্স সহ প্রভার অবস্থা বড়ষ্ট শোচনীয় হইয়া উঠিল । এমন ভাবে থাকা তাহার কোনোকালে অভ্যাস নাই। ছেলেমেয়েগুলির চীৎকার আর হুড়াছড়িতে তাহার মাথা ঘুরিতে লাগিল। নিজের মেয়েটিও সঙ্গে সঙ্গে তান ধরিয়া, তাহার দুর্গতির যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাহ পূর্ণ করিয়া দিল । এত লোকের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর নিভৃত সাক্ষাতের কোনো উপায় ছিল না। থাইবার সময় ভিতরে আসিয়া হীরেন স্ত্রীর অবস্থা দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ওকি, তোমার অসুখ করেছে নাকি ?” প্রভা বলিল, “না, কিন্তু দোহাই তোমার যেমন হোক, বাড়ী একটা শীগগির ঠিক কর । এখানে আর দু'দিন থাকলে আমি নিশ্চয় ক্ষেপে যাব।” হীরেন বলিল, “তথনই বলেছিলাম এমন অব্যবস্থার AA AMMMMAMAMMMMM MMMMMAAA AAAASAASAASAAAS মধ্যে এসে না। তা, কারো কথা শুল্বার মেয়ে ত তুমি নও । বাড়ী এখন হুটু করতেই কোথায় পাই p" কিন্তু প্রভার মুখ দেখিয় তাহার কষ্ট হইতেছিল। আহারান্তে স্ত্রীকে না , বলিয়াই সে বাড়ীর সন্ধানে বাহির হইয়া পড়িল । বিকালবেলা আসিয়া মধু-বাবুর বড় মেয়েকে দিয়া প্রভাকে