পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b88 প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড -പഹാസ് - بر۔۔۔۔م۔م۔م۔م۔م۔ SAASAASAASAASAASAA AAAS SAASAASAASAASAASSAAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASAASAASAASAASAASAA AAAA SAAAAAS AAAAA AAAAMTAAA SAAAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS مردمی কবিতাকুহম। প্রথম ভাগ। ঐতিনকড়ি মুখোপাধ্যায় কত্ত্বক প্রণীত ও প্রকাশিত। কলিকাতা জি, পি, রায় এও কোম্পানির যন্ত্রে। সদ্ভাবকুসুম। শ্ৰী শ্ৰীনাথ চন্দ্র প্রণীত। কলিকাতা প্রাচীন ভারত • যন্ত্ৰ । প্রথম চরিতাষ্টক । শ্ৰীকালীময় ঘটক কত্ত্বক সঙ্কলিত। হুগলী বুধোদয় যন্ত্র। ঐতিহাসিক নবদ্যাস। অঙ্গখণ্ড । মাধবমোহিনী। শ্ৰীগজপতি রায় দ্বারা সঙ্কলিত। কলিকাতা স্বচারু যন্ত্র। শিশুপাঠ বাঙ্গালার ইতিহাস। বর্গীর হাঙ্গামা হইতে লর্ড ন ক্রিকের আগমন পর্যন্ত। ঐক্ষেত্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত। কলিকাতা ভারত যন্ত্র । সৌদামিনী উপাখ্যান । শ্রীউমেশচন্দ্র চক্রবর্তী প্রণীত ও প্রকাশিত । কলিকাতা, ঈশ্বরচন্দ্র বন্ধ কোং । এখানি কাব্য। গান্ধারী বিলাপ কাব্য। প্রভুবনমোহন ঘোষ প্রণীত। প্রমীলাবিলাদ । গুপ্ত পল্লী-নিবাসী শ্ৰীমহিমাচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রীত। শ্রীরামপুর আলফ্রেড প্রেস। এখানিও কাব্য। নলদময়ন্তী কাব্য। প্রকিশোরীলাল রায় ধিরচিত । কলিকাতা, স্কুলবুক প্রেস । (বঙ্গদর্শন, ১২৭৯ ) ময়মনসিংহ জেলার যুবকসম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণ ঐ রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় শ্ৰীস্থধেন্দুরঞ্জন হোম রায় অতুলিখিত ] আমার দুর্ভাগ্য, যে, আমি আমার দেশকে ভাল ক'রে দেখি নাই, বাংলাদেশটিকে পর্যন্ত ভাল ক'রে চিনতে পারি নাই, নিজের জেলাতেও অনেক দিন যাই নাই। এইজম্বাই গত বৎসরে যখন কৰ্ত্তব্যের আহ্বানে সমুদ্র পার হয়ে বিদেশে যেতে হ'ল, তখন সেটা আমার কাছে খুব স্বশ্বের বিষয় হয় নাই। দেশকে ভাল ক'রে না চিনেই আমি বিদেশে গিয়ে উপস্থিত হ’লাম। আমার উচিত ছিল, যৌবনে যখন আমার শক্তি বেশী ছিল, উৎসাহ ছিল,নানা বিষয় জানবার কৌতুহল ছিল, সেই সময়ে নিজের দেশকে ভালরূপে চেনা ও জানার চেষ্টা করা । যা হোক, এবিষয়ে আমার অনেক দেরী হয়ে গেছে বটে, কিন্তু ভাল কাজ না করার চেয়ে দেরীতে আরম্ভ করাও ভাল । সেইজষ্ঠ আজকাল আমাকে দয়া ক'রে কেহ কোন জায়গায় ডার্কুলে আমি সেখানে যেতে চেষ্টা করি। কেন না, এতে আমার নিজের খুব উপকার হয়, নুতন যাদের সঙ্গে পরিচয় হয়, তাদের উৎসাহ হতে আমি উৎসাহ পাই, নুতন জ্ঞান লাভ করি ; নিজের ঘরের কোণে টেবিলের পাশে বসে সেই উৎসাহ, সেই জ্ঞান পাওয়া যায় না । এইজন্য আপনার যে আমাকে আহবান ক’রে এনেছেন, আপনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধ, প্রীতি ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করছি। আমার এই একটা বিশ্বাস আছে, নে, চেষ্টা করলেই আমরা নীচে হতে উপরে উঠতে পাব, আমাদের জীবিতকালের মধ্যেই অনেক কাজ করে যেতে পাব। ময়মনসিংহ জেলার অনেক গৌরবের কথা, মহিমার কথা অদ অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি মহাশয়, এখানে বলেছেন। সে-সব আমার আর বল্বার প্রয়োজন নাই, আমার তেমন নাও নাই। তবে মোটের উপর এইটুকু জানি, যে, বাংলা দেশের মধ্যে ময়মনসিং সবচেয়ে বড় জেলা, এ জেলায়, এ সত্বরে অনেক বড় বড় লোক জন্মগ্রহণ করেছেন যাদের খ্যাতি বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আমি ময়মনসিংহের আর-একটা দিক দেখাব, তা মিনাছলে নয়। এখানে এসে যে প্রাণ দেখলাম, যে উৎসাহ দেখলাম, সেই জন্যই আমি আপনাদিগকে বলছি আপনাদের আদশকে বড় ক’রে দেখতে হবে। ভগবান যেখানে বেশী দিয়েছেন, সেখান থেকেই বেশ আশা করা যায়। একথা ভাবলে আপনাদের চলবে না, যে, এশিয়া পৃথিবীর একটা অংশ, ভারতবর্ষ এশিয়ার একটা অংশ, বাংলা দেশ ভারতের একটি অংশ, সেই বাংলাদেশের একটি জেলা ময়মনসিংহ। এত ছোট ক’রে দেখলে চলবে না। বড় আদর্শ স্থাপন করতে হবে আপনাদের সামনে । এখানে যে উৎসাহ, যে প্রাগবত্তা দেখলাম, তাতে আপনাদের কাছে বেশী দাবী করি। সেইজন্যই কয়েকটা নীরস কথা আমি বলব। ময়মনসিংহ জেলার লোকসংখ্যা ৪৮ লক্ষের উপর, কিন্তু শিক্ষার বিস্তার এখানে কিরূপ ? স্বর্থের বিষয়, এই ছোট সহরটিতে অনেকগুলি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আছে—fতনটি বালিকাবিদ্যালম্ব আছে, কলিকাতা ছাড়া বাংলার আর কোন সহরে বোধ হয় এতগুলি বালিকাবিদ্যালয় নাই । সেন্সাস রিপোর্ট থেকে দেখতে পাই, লেখাপড়া-জান লোকের শতকরা সংখ্যা হিসাবে ময়মনসিংহের স্থান বাংলাদেশের সব জেলার নীচে, এক শুধু মালদহের উপরে। এখানে শতকরা মোটে ৬ জন লোক লিখতে পড়তে জানে। বঙ্গে লিখনপঠনক্ষম লোকের সংখ্যা কলিকাতা ছাড় হাওড়া জেলায় সবচেয়ে বেশী, তাও কিন্তু মাত্র শতকরা ১৬ জনের উপর। ময়মনসিংহ জেলায় লিখনপঠনক্ষম লোকের অনুপাত এ ত কম হবার একটা কারণ এই, যে, এ জেলার অধিকাংশ অধিবাসী মুসলমান এবং মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার খুব কম। কাজেই গড়পড়তায় এ রকম অবস্থা দাড়িয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের চেষ্টা হিন্দুদিগকেও কতে হবে। প্রাচীন যে প্রশ্ন