পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৮ AAAAAA AAAA AAAJSAJMAAA AAAASAAAAMASAMMAMAAA AAAASAAAA গঙ্গাজলঘাটার কৰ্ম্মীর প্রতি অবিচার বাঁকুড়ার “যুগলীপ” কাগজে নিম্নলিখিত সংবাদটি বাহির হইয়াছে। বাকুড়ার জিলা ম্যাজিষ্টেট, ত্যাগী কৰ্ম্ম অহিংস অসহযোগী প্রযুক্ত গোবিন্দপ্রসাদ সিংহের নামে দাঙ্গা-হাঙ্গামার অজুহাতে যে ১৪৪ ধারা জারি করিয়াছেন, তাহার প্রতিবাদ ভ্ৰষ্ঠ কাপিষ্ট গ্রামে প্রযুক্ত কৃষ্ণলাল সিংহের সভাপতিত্বে একটি সাধারণ সভার অধিবেশন হইয়াছিল। সভায় নিম্নলিখিত প্রস্তাবটি সৰ্ব্ব-সৰ্ম্মতিক্রমে গৃহীত হুইয়াছে – “সরকার-পক্ষ পুতচরিত্র গোবিনা-বাবুর নামে গঙ্গাজলঘাটার বিদ্যালয়-গৃহে প্রবেশ নিষেধ করিয়৷ দাঙ্গা-হাঙ্গমার অজুহাতে যে ১৪৪ ধারা জারি করিয়াছেন, এই সভা তাহার তীব্র প্রতিবাদ করিতেছে । উক্ত বিদ্যালয়-গৃহটি বৰ্ত্তমানে জাতীয় বিদ্যালয় কমিটির অধীনে আছে । গোবিনা-বাবু জাতীয় বিদ্যালয় কমিটির সম্পাদক ; উক্ত বিদ্যালয় গৃহে তাহার কখনও অনধিকারপ্রবেশ হয় না। কর্তৃপক্ষ অজ্ঞতাবশতঃ তাহার নামে যে প্রবেশনিষেধাত্মক নোটিশ দিয়াছেন, এই সভা তাহার নিন্দ করিতেছে।” আমরা গোবিন্দ-বাবুকে জানি। যে অমর-কানন আশ্রমে তাহার দেশহিতৈবণ ও স্বার্থত্যাগের প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়, তাহ আমরা দেখিয়াছি। গোবিন্দ-বাৰু শ্রদ্ধেয় লোক। তাহার উপর ১৪৪ ধারা প্রয়োগ শোচনীয় ভ্রম। তাহ অপেক্ষা বেশী কিছু বলিতে চাই না। ম্যাজিষ্ট্রেট স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়। নোটিশ প্রত্যাহার করিলে ভাল হয়। অতঃপর কি আমাদিগকে শুনিতে হইবে, যে, অমুকের উপর, নিজের বাসগৃহে প্রবেশে দাঙ্গাহাঙ্গামার সম্ভাবনা আছে বলিয়া, ১৪৪ ধারা প্রযুক্ত হইয়াছে ? হাকিমি অন্যায়াচরণ হস্তিকর হইলে তাহাতে গবন্মেণ্টের সুখ্যাতি হয় না । S AASAASAASAASAASAASAASAA বেঙ্গল স্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক ও বঙ্গলক্ষী কটন মিল বেঙ্গল দ্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক ফেল হওয়ায় বাঙালী জাতির দুনাম হইয়াছে—যদিও উহা ফেল হইয়াছে কয়েকজন প্রতারকের দোষে। যাহাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হইবে, তাহাদের শাস্তি হইবে। সে-বিষয়ে এখন কিছু বলিবার নাই । - অবাঙালীরা যাহাই মনে করুন, একটি ব্যাঙ্ক ফেল হওয়ায় তাহা হইতে আমরা নিজে যেন স্বজাতির সকল লোকের উপর বিশ্বাস না হারাই। ইংরেজদের এবং অন্ত 'శ প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAAS AAAAA SAAAAAMMJMAMAMMASAMAMMSMJMAAJAJeS AAAAAA সব ধনী জাতিদের অনেক ব্যাঙ্ক ফেল হইয়াছে ; ভদ্রবেশধারী চোরদের দোষেও অনেক ব্যাঙ্ক ফেল হইয়াছে। কিন্তু তা বলিয়া তাহারা স্বজাতীয় সব লোকের উপর বিশ্বাস হারায় নাই। তাহারা যেমন কৰ্ম্মে অসমর্থ বা অনভিজ্ঞ কিংবা প্রবঞ্চকদিগের সম্বন্ধে খুব বেশী সাবধান হইয়াছে, আমাদিগকেও তাহাই হইতে হইবে। কিন্তু সব রকম কাজ দক্ষতা, সাবধানত, ও সাধুতার সহিত করিয়া যাইতে হইবে ; হাত পা গুটাইয়া বসিয়া থাকিলে চলিবে না। কেষল বিদেশী জাতিদের দৃষ্টান্ত হইতে আমরা একথা বলিতেছি না । কলিকাতায় ও বাংলাদেশের মফঃস্বলের নানা স্থানে বাঙালীদের অনেক ব্যাঙ্কের কাজ চলিতেছে। সবগুলি যে খুব ছোট, তাহাও নহে। সেগুলির কাজ নৈপুণ্যের সহিত চলাতে বুঝা যাইতেছে, ষে, সব বাঙালী এবিষয়ে অকেজো, অনভিজ্ঞ বা প্রবঞ্চক নহে। ইহাতে আমাদের উৎসাহবুদ্ধি হওয়া উচিত। বঙ্গলক্ষ্মী কটনমিলস্ ফেল হইতে হইতে যে রহিয়া গেল, ইহা সুখের বিষয়। নতুবা বিস্তর ধনীদরিদ্রের টাকা যাইত এবং বাঙালীর কলঙ্ক আরও বাড়িত। বেঙ্গল দ্যাশন্তাল ব্যাঙ্কে কিরূপ লাভ কোন সময়ে হইয়াছিল, তাহ জানি না। কিন্তু বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল যে খুব লাভের জিনিষ ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। ইহার জিনিষের কাটুতি বরাবরই খুব ছিল। অনেক সময় চাহিদার অনুরূপ মাল কল জোগাইতে পারিত না। ফলে অংশীদারদিগকে মুনফ দিয়াও বেঙ্গল ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কে ২৯ লক্ষ টাকা জমা ছিল, এবং বিক্রেতার নিকটও ৭৮ লাখ টাকা পাওনা ছিল ।. তা ছাড়া, অনেক লাখ টাকা চুরিরও অভিযোগ আছে। সততার ও দক্ষতার সহিত পরিচালিত হইলে কলের শ্ৰীবৃদ্ধির সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে। মন্ত্রী অপসারণ, দ্বৈরাজ্যবিনাশ নহে যাহাদের ভোটে চক্রবর্তী-গজনবীর মস্তিত্ব গেল, তাহার সকলে দ্বৈরাজ্য বিনাশের জন্য ভোট দেয় নাই। কেহ কেহঁ সেইজন্ত দিয়াছে বটে ; কিন্তু অন্য কেহ কেহ, যেমন রহিনী দল, গজনবীর প্রতি ব্যক্তিগত অনাস্থ বা আক্রোশ বশতঃ