পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ভোট দিয়াছে ৷ ‘ তাহদের মনোমত অন্ত মন্ত্রীদের দ্বার নৈরাজ্য শাসনপ্রণালী চলায় তাহাদের আপত্তি নাই, বরং মত আছে। সুতরাং দ্বৈরাজ্য ধ্বংস করিলাম বলিয়া উল্লাসের কোন কারণ দেখা যাইতেছে না । কেহ যদি দ্বৈরাজ্যকে স্বায়ত্তশাসন বলিয় দেশের লোককে বুঝাইতে ঢায়, কিম্বা বুঝাইতে চায়, যে, দ্বৈরাজ্যস্বত্রে স্বরাজ পাওয়া যাইবে, বা উহা স্বরাজের পথে আধরাস্তার পান্থশালা, এবং যদি তাহার সে-চেষ্টা সফল হয়, তাহা হইলে দ্বৈরাজ্য জিনিষটা একজনের স্বৈর-রাজ্য অপেক্ষাও খারাপ। কেননা, স্বেচ্ছাচার জিনিষটাকে লোকে চেনে, ঘৃণা করে, ভয় করে ও তাঁহার সম্বন্ধে সাবধান থাকে । কিন্তু যাহা গণতন্ত্র নহে, তাহাকে গণতন্ত্র বলিয়। চালাইবার চেষ্ট্র সফল হইলে মানুষ, অসাবধান হইয় পড়ে, এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় আলস্ত করিতে পারে। - কিন্তু ভারতে প্রচলিত দ্বৈরাজ্য যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা উপায় নহে, ইহা মনে রাখিতে পারিলে তোহা সহজও বটে) দ্বৈরাজ্য নিরবচ্ছিন্ন আমলাতন্ত্র বা স্বৈর-রাজ্য অপেক্ষ কিছু ভাল । ইহার দ্বারা কিছু দেশহিত হইতে পারে, কিছু অনিষ্ট নিবারিত হইতে পারে। সেইজন্য আমরা মনে করি, কেহ যদি দ্বৈরাজ্য সত্যসত্যই বিনষ্ট করিতে পারেন, এবং অধিকন্তু প্রকৃত স্বরাজ্য স্থাপন করিতে পারেন, অন্ততঃপক্ষে স্বরাজ্যের পথ পরিষ্কার করিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি প্রশংসহঁ। কিন্তু বাংলাদেশে শুধু যেমন মন্ত্রীর অপসারণ হইতেছে, দ্বৈরাজ্যের পরিবর্তে আমলাতন্ত্রের ক্ষমতাবৃদ্ধি ও স্বৈরতা বাড়িতেছে, তাহা ভাল নয়। কৰ্ম্মঠ, কৰ্ত্তব্যপরায়ণ, তেজস্বী মন্ত্রীদের দ্বৈরাজ্য তার চেয়ে ভাল। চক্রবর্তী ও গজনবী সেরূপ মন্ত্রী ছিলেন বলিয়া আমাদের ধারণা জন্মে নাই। বাংলা দেশে এখনও যে হিন্দুমুসলমানে বিরোধ চলিতেছে, তাহার জন্ত গজনবী অনেকটা দায়ী। তিনি মন্ত্রী হইবার আগে মসজিদের সামনে হিন্দুদের গীতবাদ্য সহকারে গমন বন্ধ করিবার জন্য তুমুল আন্দুেলন করিয়া. ছিলেন—যদিও কোরানে কোথাও মসজিদেয় সম্মুখে এরূপ গীতবাদ্য নিষিদ্ধ হয় নাই এবং যদিও হিন্দুদের এই একজনের বিবিধ প্রসঙ্গ—প্রাচ্যের বিরুদ্ধে নিন্দা-অভিযান AAMJJMMAA AMS SSMSJAJJJJ SASAASAAASJJAAAA ৯২৯ AA AJJAMJAASAA AAASAASAAAS ്.**ാത്ത് অধিকার স্ত্রভিকেন্সিলের রায়ে পৰ্য্যস্ত স্বীকৃত হইয়াছে। মুসলমান বলিয়াই কাহারও মন্ত্রী হওয়ায় আপত্তি হইতে পারে না ; কিন্তু ঘোরতর সাম্প্রদায়িকতার জন্ত নামজাদ কোন হিন্দু, মুসলমান বা অন্ত ধৰ্ম্মাবলম্বীকে মন্ত্রী করা উচিত নহে । চক্ৰবৰ্ত্তীর বেঙ্গলন্যাশন্তাল ব্যাঙ্ক ও বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিলসের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, এবং তাহার জামাতার নামে নানা অভিযোগ তিনি মন্ত্রী থাকিতে থাকিতেই প্রকাশিত হইয়াছিল। এইজন্য নিজের বিরুদ্ধে ভোটের অপেক্ষ না করিয়াই তিনি পদত্যাগ করিলে ভাল করিতেন। তাহার বিরুদ্ধে এই দুই কারবার সম্পর্কে কোন অপরাধের কথা অবহু উল্লিখিত হয় নাই। কিন্তু তিনি যদি কারবারে মনোযোগী, সাবধান ও সুদক্ষ হইতেন, তাহ হইলে এগুলির এরূপ দুর্দশা হইত না । তিনি যে ঐ দুটির জল্প নিজে ৪৫ লক্ষ টাকা পৰ্য্যন্ত জামীন হইয়াছিলেন, ইহ। তাহার প্রশংসার কথা । دمہ ہ",x- یہ ممبرxمیrs ہے.. প্রাচ্যের বিরুদ্ধে নিন্দ-অভিযান হিন্দু জৈন ও বৌদ্ধ, পৃথিবীর এই তিনটি প্রধান ও . প্রাচীন ধৰ্ম্মের উৎপত্তি হয় ভারতবর্ষে । ইহুদী ও খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মের উৎপত্তি হয় এশিয়া-মাইনরে । মুসলমানদের ধৰ্ম্মের উৎপত্তি হয় আরবদেশে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম ছাড়া চীনের নিজের প্রধানতঃ নীতিমূলক ধৰ্ম্মের প্রবর্তক কংফুচ বুদ্ধের প্রায় সমসাময়িক । চীন, হিন্দু, ইহুদী ও আরব এই চার প্রাচীন সভ্য জাতি এখনও জীবিত আছে। চীনদের বিরুদ্ধে ত অস্ত্রশস্ত্রের যুদ্ধ এবং তদুপরি লেখনীর যুদ্ধ চলিতেছে। অষ্ঠের সকলে সৰ্ব্বত্র স্বাধীন না হইলেও নানাদিকে তাহাদের প্রভাব বিস্তৃত ও অনুভূত হইতেছে। এইজন্ত ঠিক একই সময়ে হিন্দু, মুসলমান ও ইহুদীদের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন দেশে মসীযুদ্ধের অবতারণা দেখিয়া এই যুগপৎ আক্রমণের কারণ, সম্বন্ধে কৌতুহল হয়। একই সময়ে সকলের প্রতি আক্রমণ কি সম্পূর্ণ আকস্মিক ? : হিন্দুকে আক্রমণ করিয়াছেন বর্ণার্ড শ, ক্যাথারিন মেয়ো, পিল্‌চার, প্রভৃতি। সম্প্রতি “থামিল্লা” (Thaniina