পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

০ম সংখ্যা । ] ۰,۰۰۰-۱۰۰۰۰,۰۰۰۰۰ مه - ماهه- همه তমাত্র অসন্তুষ্ট হইয়া, শাহ জালাল দিল্লী পরিত্যাগ করিয়া ভূয়ায় উপনীত হইয়াছিলেন। এখানে অল্পদিনের মধ্যেই হার প্রতিপত্তি এতদূর প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল যে, তিনি iাইশ হাজারী” নামক ভূসম্পত্তির অধিকারী হইয়াছিলেন। পাহি বক্স, লিখিয়া গিয়াছেন,—বঙ্গদেশের “দেওমহল” মক বনদরে শাহ জালালের সমাধি বর্তমান আছে । হেবের ইহাতে আস্থা স্থাপন না করিয়া, মালদ্বীপ নামক পপুঞ্জে শাহ জালালের দেহান্তর সংঘটিত হইবার কথা ক্ত করিয়া থাকেন। তাতার বলেন, পৌণ্ডবৰ্দ্ধনের “বড় ব্লগার” অভ্যন্তরে শাহ জালালের যে সমাধিমন্দির বর্তমান ছে, তাঙ্গ জাল সমাধিস্তান,- প্রকৃত সমাধিস্থান ভারতগর বেষ্টিত মালদ্বীপে । ইহার প্রেধান প্রমাণ—মালদ্বীপের সশ্রতি। সে দেশের লোকে তারিজ নিবাসী কোনও ধুপুরুষ কর্তৃক মুসলমান ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হয়। র্ত্যতার স্বাধিস্থান অদ্যপি পীরস্থানরূপে পূজিত হইয়া থাকে। ই প্রমাণ নিঃসংশয়ে গ্রহণ করা কঠিন। শ্রীহটেও শাহ লাল নামক এক মুসলমান সাধুপুরুষের সমাধিস্থান খিতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত মুসলমান পর্যটক ইবন তাত তাহার আশ্রমে আতিথ্য লাভ করিয়াছিলেন। হট্রের শাহ জালাল ভিন্ন ব্যক্তি। সেইরূপ মালদ্বীপের বৃরিজিও ভিন্ন ব্যক্তি হওয়া বিচিত্র নতে। কেবল এরূপ মসাদৃষ্ঠের উপর নির্ভর করিয়াই, ইলাহিবক্সের উক্তিকে পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করিতে সাহস হয় না। তাহার কথা ত্য হইলে, এদেশের চিতাভস্মাচ্ছন্ন পুরাতন ইতিহাস কিয়ৎ রিমাণে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিতে পারে। যেখানে শাহজালাল সিস্থান গ্রহণ করিয়া দেহত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহার ম—দেবমহল । তথায় গোলাম হোসেনের সময়েও রাতন ধ্বংসাবশেষ বর্তমান ছিল। এখনও “লক্ষ্মণসেনী লান” জীর্ণসংস্কার প্রভাবে আত্মরক্ষা করিতেছে । দরগার ব্যজাতের মধ্যে একখানি পুরাতন জরাজীর্ণ সংস্কৃত স্তকও বর্তমান আছে। এই সকল বিষয়ের একত্র বিচার রিতে বসিলে, শাহ জালালের সমাধিস্থানকে একটি পুরাতন }বস্থান বলিয়াই স্বীকার করিতে হয়। এক সময়ে শাহtলালের স্মৃতিসমাদর রক্ষার্থ নবাব সিরাজদ্দৌলা “বড় ব্লগার” সাধনস্থান রৌপ্যনিৰ্ম্মিত “রেলিং” দিয়া ঘিরিয়া হজরত পাণ্ডুয়া ।

  • - -

(૧૧ দিয়াছিলেন। তাহ কে অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে ; কেবল তাহার কথা এখনও সিরাজদ্দৌলার সাধুভক্তির পরিচয় প্রদান করিতেছে। এই হতভাগ্য তরুণযুবক যে সকল অলীক কলঙ্কে কলঙ্কিত, সাধুপুরুষের অবমাননাও তাহার মধ্যে একটি। প্রকৃত পক্ষে সিরাজদ্দৌলা ষে সাধুভক্ত ছিলেন, পাণ্ডুয়ার “বড় দরগায়” সে কথা এখনও উল্লিখিত হইয়া থাকে। ছোট দরগা । “ছোট দরগায়” যে সকল অট্টালিক বর্তমান আছে, তাঙ্গ “বড় দরগার” অটালিকা অপেক্ষ অধিক সুদৃত। “ছোট দরগা” মুর কুতব আলম নামক সন্ত্রান্ত সাধুপুরুষের সমাধিস্থান। আটালিকাগুলি অপেক্ষাকৃত আধুনিক, তাহাতে অনেক পুরাতন বিলুপ্ত অটালিকার ফলকলিপি সংযুক্ত আছে । “মিঠ। তালাও” নামক একটি ক্ষুদ্র সরোবর “ছোট দরগার" দৃশুশোভা উদ্ভাসিত করিয়া রাখিয়াছে। মীরকাসিম এই দরগায় তাম্রনিৰ্ম্মিত জয়ডঙ্কা উপঢৌকন প্রদান করিয়াছিলেন। তাহা আর এখন ব্যবহৃত হয় না। মুর কুতব সন্ত্রান্তবংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণাবতীর ধ্বংসাবশেষের মধ্যে সাহারদীঘির অনতিদূরে মকৃঢ়ম আখি সিরাজউদ্দীন নামক যে সাধুপুরুষের সমাধিমন্দির দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাঁর জনৈক প্রিয় শিষ্যের নাম—সেখ আলা-উল-হক। তিনি লাহোর নিবাসী ধনাঢ্য মুসলমানের পুত্র, পিতার সহিত এ দেশে আগমন করিয়াছিলেন । পিতা গৌড়ীয় বাদশাহের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন, পুত্ৰ সাধুপুরুষের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া “ফকির” হইয়াছিলেন। তিনি অকাতরে অর্থব্যয় করিয়া অতিথিসেবা করিতেন। ইহাতে বাদশাহের সন্দেহ হয়—হয় ত কোষাধ্যক্ষ পুত্রকে রাজকোষ হইতে অর্থদান করিয়া থাকেন। সন্দেহে পড়িয়া সাধু আলা-উল-হক সুবর্ণগ্রামে নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছিলেন। কিন্তু সেখানেও তাহার অর্থব্যয়ের অবধি ছিল না। কিছু দিন পরে বাদশাহ তাহার ভ্রম বুঝিতে পারিয়া ফকিরকে মার্জন করিলে আলা-উল-হক পুনরায় পাণ্ডুয়ায় আসিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। ১৩৮৪ খৃষ্টাব্দে পাণ্ডুয়া মগরেই তাহার দেহান্তর সংঘটিত হয়। তথায় তাহার