পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] (পুরী হত্যাকাণ্ড যাহারা ঘটাইয়াছিলেন, মণিপুরীদের দিয়া তাহারা ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে তৃপ্ত করিয়াছেন এবং আজ লাদেশে যে বিচিত্র রকমের উৎপাত বাধিয়া উঠিয়াছে জন্ত বাঙালীকেই বন্ধনপীড়ন সহ্য করিতে হইতেছে কে কার্জন ও মর্লির জয়ধ্বনির বিরাম নাই। বস্তুত যারুদকে ও দেশলাইকে যাহারা সত্য বলিয়া ন ও স্বীকার করে তাঁহার এই দুটাের সংস্রবকে কাইবার জন্য সৰ্ব্বপ্রকার উপায় উদ্ভাবন করিয়া থাকে। ষ যাতারই হৌক বা রাগ যাহার পরেই থাকু সে কথা য়া গরম না হইয়া হাতেম কাজটা Pরিলে সিদ্ধ এই ব্যবস্থা করিবার জন্তুষ্ট তাহাব তৎপঞ্জি । এবারকার কন্‌গ্রেসের র্যাহার, অধ্যক্ষ ছিলেন তাহারা প্রয় বা বিরুদ্ধ সত্যকে স্বীকার করিবেন না বলিয়া ঘর তে পণ করিয়া আসিয়াছিলেন। স্বীকার করিলেই :ছ তাহাকে থাতির করা হয় এই তাহদের আশঙ্কা । চরমপন্থী বলিয়া একটা দল যে কারণেই হৌক দেশে গিয়া উঠিয়াছে এ কথা লইয়া আক্ষেপ করিতে পার স্তু ইহাকে অস্বীকার করিতে পার না। এই দলের ন কতটা তাহা বুঝিয়া তোমাকে চলিতেই হইবে। স্তু যুথন স্বয়ং সভাপতি মহাশয়ের মন্তব্যেও এই দলের ত কটাক্ষপাত করা হইয়াছিল তখন স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে ন নিজের বিরক্তি প্রকাশকেই কর্তব্যসিদ্ধি বলিয়া মনে iয়াছেন—অবস্থা বিচার করিয়া মার বঁাচাইয়া কনগ্রেসের গজকে কুলে পৌছাইয় দেওয়া সম্বন্ধে তাহার চিন্তা না । ইহা যে ওকালতি নহে, বিরুদ্ধ পক্ষকে বক্ততার ঘাতে পাড়িয়া ফেলাই যে এই বৃহৎ কাজের পরিণাম }, দেশের সকল মতের লোককে একত্রে টানিয়া সকলেরই ক্রকে দেশের মঙ্গলসাধনে নিয়োগ করিতে উৎসাহিত ই যে ইহার সকলের চেয়ে বড় উদ্দেশ্য তাহ সাময়িক ওজনায় তিনি মনে রাখেন নাই। তিনি এমন ভাবে গ্রেসের হালের কাছে দাড়াইয়াছিলেন যেন ঐ চরমর দলটা জলের একটা ঢেউ মাত্র, উহ! পাহাড় নহে, কেবল প্রবল বাক্যবায়ুতে পাল উড়ান্টয়াই উহাকে }াইয়া যাওয়া চলিবে । আবার চরমপন্থীরাও এমন ভাবে কোমর বাধিয়া যজ্ঞ ভঙ্গ । 3 Rసి কনগ্রেসের রণক্ষেত্রের মধ্যে প্রবেশ করিলেন যেন, যে মধ্যমপন্থীরা এতদিন ধরিয়া কনগ্রেসকে চালনা করিয়া আসিয়াছেন, তাঙ্গরা এমন একটা বাধা যাহাকে ঠেলিয়া অভিভূত করিয়া চলিয়া যাইবেন, ইহাতে যাহা হয় তা হোকৃ। এবং এটা এখনি করিতে হইবে-এইবারেই জয়ধ্বজা উড়াইয়া না গেলেই নয়। দেশের মধ্যে এবং কনগ্রেসের সভায় মধ্যমপন্থীর স্থানটা যে কি তাহা সম্পূর্ণভাবে এবং ধীরতার সহিত স্বীকার না করিবার জন্ত মনের মধ্যে যেন প্রচণ্ড আগ্রহ । এই যে লুব্ধতা এই যে অন্ধ নিৰ্ব্বন্ধ ইহা যদি দলবর্তী সাধারণ লোকের মধ্যেই বদ্ধ থাকে তাহ হইলে সেটাকে মার্জনীয় বলিয়া গণা করা যায়—কিন্তু র্যাহারা দলের কর্তৃপদে আছেন তাহারাও যদি না বুঝেন কোনখানে রাশ টানিলে অগ্রসর হওয়া সহজ হয় এবং, কোনখানে হার মানিলে তবেই যথার্থ জিতের সম্ভাবনা ঘটে, তবে ইহাই বলিতে হইবে সংসারে র্যাহারা বড় জিনিষকে গড়িয়া তুলিতে পারেন র্যাহারা কাৰ্য্য সিদ্ধির লক্ষ্যকে কোনো মতেই ভুলিতে, পারেন না ইহার সে দলের লোক নহেন । ইহার কবির লড়াইয়ের দলের মত উপস্থিত বাহবা ও দুয়োকে অত্যন্ত বড় করিয়া দেখেন--দায়িত্বদৃষ্টিকে অবিচলিত স্থৈৰ্য্যের সহিত সুদূরে প্রসারিত করেন না । বিরুদ্ধ পক্ষের সত্তাকে যথেষ্ট সত্য বলিয়া স্বীকার না করিবার চেষ্টাতেই এবার কনগ্রেস ভাঙিয়াছে। এক গাড়ির এঞ্জিন যদি সামনের গাড়ির এঞ্জিনকে একেবারে নাই বলিতে চায়, এমন কি, ঠেকাঠেকি হইলেও তখনো পরস্পরকে অস্বীকার করিয়া যদি ষ্টীম চড়াইয়া দেওয়াকেই নিজের পথ খোলসার উপায় বলিয়া মনে করে তবে একটা চুরমার ব্যাপার না বাধিয়া থাকিতে পারে না। এ অবস্থায় যাহারা চালক র্তাহাদিগকে প্রশংসাপত্র দেওয়া চলে না । মধ্যমপন্থী ও চরমপন্থী এই উভয় দলই কনগ্রেস অধিকার করাকেই যদি দেশেব কাজ করা বলিয়া একান্তভাবে না মনে করিতেন,যদি দেশের সত্যকার কৰ্ম্মক্ষেত্রে ইহারা প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে থাকিতেন—দেশের শিক্ষা স্বাস্থ্য অল্লের অভাব মোচন করিবার জন্য যদি ষ্টতারা নিজের শক্তিকে নানা পথে অহরহ একাগ্রমনে নিয়োজিত করিয়া রাখিতেন, দেশহিতের সত্যকার সাধনা ও সত্যকার সিদ্ধি কাহাকে বলে তাহার স্বাদ যদি