পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা । প্রস্তর প্রভৃতি নিজীব পদার্থের দ্যায় অচেতনও নয়। যেন চেতন ও অচেতন রাজ্যের সন্ধিস্থলে দাড়াইয়া আছে। অচেতন জড়ে চেতনধৰ্ম্ম যেন ইহাদের ভিতর দিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে। নিজীব ও প্রাণীর সাড়ার একতা দেখিয়া আচার্য বস্তু মহাশয় উদ্ভিদ লইয়া পরীক্ষা আরম্ভ করিয়াছিলেন। পরীক্ষায় অত্যাশ্চর্যা ফল পাওয়া গিয়াছিল। গাছের পাতা ডাল মূল কাণ্ডাদিতে আঘাত দেওয়ায় তাহারা প্রাণীরই মত সাড়া দিয়াছিল। লজ্জাবতী প্রভৃতি উদ্ভিদ বাহিরের আঘাতে সাড়া দেয়। আঘাত দিয়া বস্থ মহাশয় উদ্ভিদ মাত্রেই লজ্জাবতীর মত সাড়া দেখিয়াছিলেন। উত্তেজক পদার্থ ও বিষাদি প্রয়োগে প্রাণীর অবস্থা যে প্রকারে পরিবর্তিত হয়, উদ্ভিদকেও অবিকল সেই প্রকারে পরিবর্তিত হইতে দেখা গিয়াছিল। ১৯০১ সালের জুন মাসে ইংলণ্ডের রয়াল সোসাইটির কোন অধিবেশনে আচার্য্য বস্ত মহাশয় অজৈবপদার্থ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাড়ার পূৰ্ব্বোক্ত একতার কথা প্রকাশ করিয়াছিলেন । সভাস্থ বড় বড় বৈজ্ঞানিকগণ র্তাহার কথাটা সত্য বলিয়া স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত হৃষ্টয়াছিলেন। সুপ্রসিদ্ধ giãoofs of staña (Sir I. B. Sanderson) সাহেব স্পষ্ট বলিয়াছিলেন, আঘাত উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া কেবল লজ্জাবতী প্রভূতি কতকগুলি উদ্ভিদেষ্ট দেখা যায় অপর বৃক্ষাদির সাড়া দেওয়া অসম্ভব ; আচার্য্য বসু মহাশয় ইহার পর শত শত পরীক্ষায় উদ্ভিদ মাত্রেরই সাড়ার অস্তিত্ব যখন প্রত্যক্ষ দেখাষ্টতে আবন্ত করিয়াছিলেন, তখন উক্ত দাস্তিক পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মুথে এ সম্বন্ধে আর কোন কথাই শুনা যায় নাই । উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাড়ার একতা বৈদ্যুতিক প্রথায় প্রতিপন্ন করিয়াই বসু মহাশয় ক্ষান্ত হন নাই । বাহিরের আঘাতে ইহার শরীরের আকুঞ্চন প্রসারণাদি দ্বারা যে প্রত্যক্ষ সাড় দেয়, তাহার মধ্যেও একতা দেখাইবার জন্য তিনি গবেষণা আরম্ভ করিয়াছিলেন । আজ দেড় বৎসর হইল এই গবেষণার ফল র্তাহার “উদ্ভিদের সাড়া” * নামক

  • Plant. Response as a means of Physiological Investigations, 1906. Published by Messrs. Longman, Green & Co., London.

అలీరి p A SASAASAASAASAASSAAAAAAS AAASASASS o গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে। উদ্ভিদ মাত্রেই যে লজ্জাবতী লতার দ্যায় সাড়া দেয়, এ গ্রন্থে তাহার শত শত প্রমাণ পাওয়া যায় । উদ্ভিদ সম্বন্ধীয় অনেক স্থল স্থল ব্যাপারের কারণ এপর্য্যস্ত অনির্ণীত অবস্থায় পড়িয়াছিল। আধুনিক উদ্ভিদবিদগণ এ সম্বন্ধে যে সকল ব্যাখ্যান দিতেন, তাহাতে কেহই প্রাণ খুলিয়া বিশ্বাস স্থাপন করিতে পারিতেন না। এমন কি উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও রসশোষণ এবং লতার সঞ্চলন প্রভৃতি মোট মোট ব্যাপারের কারণ জিজ্ঞাস্থ হইয়া পণ্ডিতদিগের শরণাপন্ন হইলে, যে সকল ব্যাখ্যান পাওয়া যাইত তাহাতেও সন্তোষলাভ করা যাইত না । আচাৰ্য্য বসু মহাশয়ের গবেষণায় সেই সকল অজ্ঞাত তথ্য আবিষ্কৃত হইয়া পড়িয়াছে। 爱 তাপ আলোক প্রভৃতি উত্তেজনা উদ্ভিদের উপর কি প্রকার কার্য্য করে, তাহার একটা স্পষ্ট ধারণা এ পৰ্যন্ত । কোন বৈজ্ঞানিকেরই মনে ছিল না। কয়েকটি অমূলক বিশ্বাসের উপর দাড়াইয়া, এবং নানাপ্রকার বিসম্বাদী যুক্তি তর্ক উত্থাপন করিয়া, ইহঁারা উদ্ভিদতত্ত্বকে কোনক্রমে খাড়া রাখিয়াছিলেন মাত্র । গোড়ার খবর জানিতে চাহিলে ইহঁরা বলিতেন, কামানের ভিতরকার গুলি বারুদ যেমন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের স্পর্শে পুড়িয়া বৃহৎ শক্তির প্রকাশ করে, বাহিরের উত্তেজনাও ঠিক সেই প্রকারে উদ্ভিদেরই অন্তর্নিহিত শক্তির খেলা দেখায়। কিন্তু এই অস্তর্নিহিত শক্তির পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে উদ্ভিদবিদৃগণকে নিরুত্তর থাকিতে দেখা যাইত। আচাৰ্য্য বস্ব মহাশয় আধুনিক জীবতত্ত্ববিদগণের এই গোড়ার গলদ ধরিয়া, বাহিরের উত্তেজনাকেষ্ট সকল কাৰ্য্যের মূল বলিয়া প্রতিপন্ন করিয়াছেন। বস্তু মহাশয়ের “উদ্ভিদের সাড়া” নামক গ্ৰন্থখানি সত্যই উদ্ভিদূতত্বের এক নূতন অধ্যায় খুলিয়া দিয়াছে। zzi & RFff-R5 3 gaffatzf (Comparative Electro-Physiology) পুৰ্ব্ব প্রকাশিত “উদ্ভিদের সাড়া” নামক, পুস্তকখানির অনুবৃত্তি বলা যাইতে পারে। প্রত্যক্ষ সাড় (Mechanical response) *fðrl sfxzi গ্রন্থকার পূৰ্ব্বে উদ্ভিদের যে সকল তথ্য আবিষ্কার করিয়াছিলেন, বৈদ্যুতিক সাড়া দ্বারা তাহারি অনেক ছোট বড় ব্যাপার আবিষ্করা