পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] শালতার অভাব আছে পরিবর্তনশীল জগতে সে জাতির স্থান নাই। “যখন যেমন তখন তেমন" ইহা একটি পুরাতন প্রবচন এবং যাহার তাহার মুখে শুনা যায় । কিন্তু রাষ্ট্রনীতির ইহাই NF NG are “Survivąl of the fittest” ( যোগ্যতমের জয় ) নীতির, সহিত ইহার কায্যকারণ সম্বন্ধ । প্রথমটি footn (Cause ) দ্বিতীয় *ifosis ( Effect ) বা সিদ্ধি । . অবস্থার অনুযায়ী জীবনগঠনে সিদ্ধহস্ত জাপান সম্বন্ধে প্রথম প্রশ্নের উত্তর এই যে --নিধন সহায়হীন, অশিক্ষিত, গবাদিপশুবিহীন করভারাক্রান্ত (rackrented) বন্দোবস্তবিহান (unorganised , জাপকৃষকগণ যে ঠিক নিয়মিত এবং প্রচুর সাময়িক ফসল উৎপাদন করিয়াও মৃত্তিকার উৎপাদিকা শক্তির বুদ্ধি করিতে সমর্থ হইয়াছে এবং এ পর্য্যন্ত দেশশুদ্ধ প্রজার অন্ন যোগাইয়া আসিয়াছে তাঙ্গার গৃঢ় কারণ (secret) তাহণদের ক্ষেত্রকর্ষণ করিবার ও ক্ষেত্রে সার দিবার প্রণালীতেষ্ট নিহিত আছে । জাপান প্রতি বর্গফুট জমি কাজে আনিতে জানে এবং সেইটুকুষ্ট অতি সাবধানের সহিত অতি যত্নসহকারে এবং সম্পূর্ণরূপে কর্ষণ কুরে । যতটুকু জমি পাওয়া যাইতে পাবে ততটুকুই উৎকৃষ্টরূপে এবং দেহ মনের সকল শক্তি নিয়োগ করিয়া চাষ করে । অনুচ্চ পাহাড়গুলির গায়ে গায়ে সপাকারের চারিদিকের মাটি কাটিয়া সমতল করিয়া তাহার চূড়া পৰ্য্যন্ত এমন কি যথায় আরোহণ করা অসম্ভব বলিয়া মনে হয় সে সকল স্থানও আবাদ করে । গৃহস্থ স্বীয় ভদ্রাসনের আশে পাশে এমন কি গৃহদ্বার পর্য্যন্ত যতটুকু জমি আদায় করিতে পারে তাহাতেই বীজ বুনিয়া থাকে, গাছপালা রোপণ করে। ফল কথা একটু কোণ পৰ্য্যস্ত বাতিল যায় না। পাছে বেড়া দিলে অল্প অল্প করিয়া ক্ষেত্রের কিয়দংশ ভূমি বৃথা আটক পড়ে সে জন্ত বেড়ার পরিবর্তে তাহারা ক্ষেত্রের ধারে ধারে বিশেষ বিশেষ ফসল উৎপন্ন করে। গবাদি পশু বা শস্ত্যধ্বংশকারী পক্ষীর অভাবে বেড়া না দিলেও ক্ষতি হয় না। চাষ করিলে চাষ হইতে পারে এরূপ জমি এবং পতিত জমি থাকিতে পারে ইহা জাপানে অজ্ঞাত। জমির সদ্ব্যবহার জাপানি স্কৃষির অন্ততম বিশেষত্ব। দ্বিতীয় বিশেষত্ব এই যে জাপানে কৃষি ।

  • VNలన

তাহাদের চাষে অপরিচ্ছন্নতা বা ‘ অসাবধানত ঘটিবার যো নাই। প্রত্যেক ফুট অতি সুন্দররাপে আবাদ করিয়া সমগ্র ক্ষেত্র যখন একটা সুপ্রশস্ত সুসজ্জিত উদ্যানের মত দেখাইবে একটা তিল পরিমাণ ভূমি বার্থ যাইবে না, প্রত্যেক বীজট একটা ফলবান বৃক্ষে বিকশিত হইয়া উঠিবে তবে জাপানী কৃষক নিরস্ত এবং সস্তুষ্ট হইবে। তাহাদের মতে সুন্দব ও সম্পূর্ণভাবে কৰ্ষিত একমুঠ জমিও ভাল তথাপি ধেমন-তেমন চষা ময়দানও ভাল নয়। তাই জাপানের মাটি নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করা, কোন ঋতুতেই ফসলের ভিতর একটাও আগাছা দেখা যায় না। এই জন্ত উক্ত হইয়াছে জাপানের কৃষি বলিতেই উদ্যানকুযি বুঝায়। বৈজ্ঞানিক কলের অভাবে জাপানে সামান্ত কতিপয় হাতের যন্ত্র লইয়া চাষ করা হয় । সাধারণতঃ জাপানের মাটি কৃষ্ণবর্ণ পাক ও বালি মিশ্রিত। প্রথমে শাবল বা কোদাল• দিয়া মাটি খোড়া হয় । হাতে করিয়া খোড়া হয় বলিয়া অনেক ভিতর পর্য্যন্ত মাটি আলগা হয় । চাষী তখন সেন্স মাটি উণ্টাইয়া পাণ্টাষ্টয়া স্বযু গুড়া করিয়া ফেলে এবং মাটি পরে পরে আলি ও সীতাকাটা করিয়া একলাইন উচ্চ মাটি মধ্যে সীতাকাটা, তাহার দুই এক হাত অন্তর পুনরায় আল তুলিয়া দেয়। এবং ফসল এমন ভাবে বুন হয় যে আলির উপরকার ফসল (শাতের গম, যব ইত্যাদি ) যখন কাটিবার সময় আসে তখন সীতাকাটার মধ্যস্থ ফসল গজাইতে থাকে সুতরাং সমগ্র ক্ষেত্র এককালে থালি পড়ে না । এবং একবার যাহা খালি থাকে ফসল কাটা হইবার পর চাষয় তাহা সীতা কাটায় পরিণত করা হয় এবং গতিপূৰ্ব্বে যাহা সীতাকাটা ছিল তাহা আলিতে পরিণত হয়। এইরূপ পুনঃ পুনঃ হঠতে থাকে। জাপানী পাঞ্জে ভূমি (dry upland সম্বন্ধে এই নিয়ম বিশেষভাবে রক্ষিত হয়। কোদাল দিয়া ভিতরকার মাটি উপরে তুলিয়া এবং ক্রমাগত উন্টাইয়া জমির ভিতর বায়ু ও সুর্য্যালোক প্রবেশ করিতে দেওয়ায় গাছগুলি সুপুষ্ট, ফলবান হয় ও শীঘ্ৰ বৃদ্ধি পায়। ফসলের সময়েই বেশ করিয়া জমি চষা হয় মধ্যে মধ্যে গাছের গোড়া খুড়িয়া মাটি পিমু করিয়া দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক গাছটির উপর দৃষ্টি রাখা হয়, এবং অল্প অল্প ববিয়া তরল