পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] , ङ्कित्वहे wot5. *fts ai”. (Waste nothing) âñfğı উজ্জল দৃষ্টান্ত। “সার” ব্যতীত যাহা কিছু লোকে ফেলিয়৷ দেয়,—সকল জীব জস্তুর মলমুত্র, আগাছা, পাতালত, খড়কুট, ব্যঞ্জনের খোসা,মাছের আইস বঁাট প্রভৃতি, শম্বকাদির খোলা, হাড়ের গুড়া, ছাই, পাক, সকল স্থানের আবর্জন একস্থানে একটা চলার নীচে রাণীরুত করা হয় এবং আস্তাবলের বা মনুষ্য মূত্রে ভিজাইয় রাখিলে কিছুদিন পরে যখন স্থঙ্কচুর্ণে পরিণত হয় তখন উৎকষ্ট সার প্রস্তুত হয়। জাপানে -আস্তাবলের সার, সামুদ্রিক গাছগাছড়ার সার, চাউলেব তুষ প্রভৃতির সার প্রস্তুত করণ প্রথাও প্রচলিত আছে। এই সকল উপায়ে এপর্য্যন্ত জাপান কোটা কোটা সন্তানের ক্ষুন্নিবৃত্তি করিয়া আসিয়াছে কিন্তু এই সনাতন প্রথা আর চলে না। নবীন যুগের নূতন আকাঙ্ক্ষা, প্রজ বৃদ্ধি, শিল্প বাণিজ্য ও রাষ্ট্রনীতিস্থত্রে বিদেশের সহিত আদান প্রদান সম্বন্ধ এবং প্রতিযোগিতার দিনে উন্নতিপথাপত্তা দেশের প্রয়োজন বুঝিয়া এবং ভবিষ্যতে কিরূপ দাড়াইবে তাহা আদশ রাজনৈতিকের অন্তদৃষ্টিকে ঈদয়ঙ্গম করিয়া এবং দেশের প্রকৃত অবস্থা ও সময়ের গতি লক্ষ্য করিয়া সূক্ষ্মদর্শী জাপান নুতন পথের অনুসরণ করিয়াছেন । যে কৃষি জাপানের প্রধান সম্বল তাহাব উন্নতির জন্ত জাপান সকল বৈধ উপায়ষ্ট অবলম্বন করিতেছেন। কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রার অধীনে গলমেন্টের কৃধিবিভাগ স্থাপিত হুইয়াছে ; ইহার অধীনে অসংখ্য পরীক্ষাখানা (lExperiine , tal Stations 3. বিদ্যালয়, কুষিসভা সমিতি, লমণকারী উপদেষ্ট ও শিক্ষক, কৈন্দ্রিক পরীক্ষালয়, জেলা ও পল্লীপরীক্ষাগার, কৃষিপুস্তকাগার, রুষি কলেজ, প্রভৃতি আছে । এই সকলের প্রতি সরকারী বার্ষিক গরচ ৮০ লক্ষ টাকা । ইহা থাস কৃষির জন্য, বনবিভাগের খরচ ইহাতে ধরা হয় নাই । বনরক্ষণ-বিদ্যা বিশেষভাবে শিক্ষণ দেওয়া হইতেছে এবং কৃষিকার্যোব একটা প্রধান সহায় বনজঙ্গলগুলি রক্ষা ও তাহার শ্রীবৃদ্ধি করিতে বনবিভাগ বা বেসরকারী মালিকগণকে আইন দ্বারা বাধা করা হইয়াছে। গবাদি পশুপাল বৃদ্ধির এবং মৎস্তধৃতকরণ ও তাঙ্গর ব্যবসায়ের বিস্তৃত আয়োজন হষ্টতেছে। ফলতঃ বাহা যাহা প্রয়োজন তাহার জন্য সকল সুবন্দোবস্ত হইতেছে। আধুনিক শিক্ষাপ্রণালী জাপানে কৃষি । ৬৭৩ ১৮৬৭ অন্ধ হইতে অবলম্বিত হইয়াছিল এবং তাঁহার দুই বৎসর পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। তাহার তই বৎসর পরে অর্থাৎ ১৮৭১ অব্দে রীতিমত শিক্ষাবিভাগের । সষ্টি হয় এবং পর বৎসর হইতে নিয়মিত শিক্ষাপদ্ধতি অমুস্তত হয় যাহা এক্ষণে উন্নততম দেশসমূহের পদ্ধতি হইতে অভিন্ন । od জাপানের প্রজা শিক্ষাগ্রহণে আইনবলে বাধা হইবার পর হইতে বিস্ময়কর দ্রুতগতিতে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে । এগানে ১৮৭২ অব্দে প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তন হয়, পরবৎসর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতকরা ২৮ জন ছাত্র হয় । দশ বৎসরে (১৮৮৩) ৫১ জন, পরবর্তী দশ বৎসরে (১৮৯৩) ৫৯ জন এবং ১৯০৪ অব্দে অর্থাৎ আর দশ বৎসরে ছাত্র সংখ্যা ৯৩'২৭ জনে পরিণত হয়। লোকসংখ্যার অন্তপাতে বালকের সংখ্যা শতকরা ৯৬৫৭ এবং বালিকার সংখ্যা ৮৯°৫৪ । জাপানে ৬১ট নর্মাল স্কুল আছে তথায় ১০৬৯ জন শিক্ষক, ১৯৪৬৬ জন শিক্ষক-ছাত্র ছিলেন । তন্মধ্যে ৪,০৪১ জন ছাত্রা ছিলেন। এখানে পুরুষদিগকে ৪ বৎসর ও স্ত্রীদিগকে ৩ বৎসর শিক্ষাগ্ৰহণ করিতে হয় । উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে দশ বৎসরের অধিক বয়স্ক ছাত্রদিগকে নিয়মিত সরলবিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়। তাহারা এই সময় হইতে গাছপালা, জীবজন্তু, খনিজ দ্ৰবা, কৃষি, জলজদবা, স্থানীয় শিল্প, দেশের মাটি, সার, জলসেচন, বপন ও রোপণ বিষয়ে শিক্ষা পায়, এখানে অনূ্যন ১৫৩৩টী বিদ্যালয়ে কৰি নিয়মিত পাঠ্যের অন্তভূক্ত এবং ২৮টি বিদ্যালয়ে অতিরিক্তরূপে অধীত হয় । এতদ্ব্যতীত ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর কৃষি-স্কুল ও কৃষি-কলেজ যথা Supplementary Schools, Regular Agricultural Schools, Col lege of Agriculture, Farm Schools, Private Agricultural প্রভৃতিতে দেশ ছাইয়া ফেলিয়াছে । অধিকাংশ স্কুলে ক্লষকপরিবারের সন্তানগণ শিক্ষাদান ও শিক্ষালাভ করিয়া থাকে। গ্রাম্য স্কুলগুলিতে প্রত্যেক তিনটি ছাত্রের মধ্যে দুইটী অথবা তিনটিই কৃষকসন্তান। এ সকল বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ পাঠ সমাপ্ত করিয়া পুনরায় কৃষিকার্যা করিতে যায় এবং এই জন্ত বিদ্যালয়ের সচিত স্থানীয় রুষিসম্প্রদায়ের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা থাকে। Schools,