পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ>8 . . অনেক সাধনা আছে, তারপর সিদ্ধির কামনা অস্তরে স্থান দিওঁ ; অনেক দিন এখনো বাকি আছে তারপর এ ঘন. ঘোরা অমানিশাস্তে আনন্দ-তপন সমুদিত তইলে । কিন্তু . এখনি কেন ? g তবে কি এখন তোমাদের কোন কর্তব্য নাই ?-- আছে । গৃহে গৃহে দুর্ভিক্ষ আছে, ব্যাপি আছে, শোক আছে, দুঃখ আছে ; – সহানুভূতির শাস্তি-বারি-সিঞ্চনে সে সব জালা জুড়াইয়া দাও! গ্ৰাম' আছে, ক্ষেত্র আছে, বুদ্ধি আছে, অর্থ আছে ;-অধ্যবসায়ের অদম্য প্রভাবে সুপেয়, মু-অন্ন, স্ন বস্ত্র, স্বাচ্ছন্দ্য দেশ ভরিয়া ঢালিয়া দাও!--দেশে স্বাস্থ্য ফিরিয়া আসুক, মনে আনন্দ ও বলের সঞ্চার চৌক, শরীরে শক্তি ও স্মৃষ্টির সংস্থান হৌক ; তখনি এক হইতে পরিবে, তখনি স্বার্থকে দেশের পায়ে বলিদান দিতে ব্যাকুলতা জন্মিবে, এবং তখনি জানিবে . 翰 “ভাই ভাই -- এক ঠাই ! ভেদ নাই, -ভেদ নাই” ! নতুবা এ বঙ্গ-ভঙ্গের বিপদ্ধে আন্দোলন করিয়াও তেমন কোন ফল নাই ; আর প্রেত-দৌরাত্ম্যের অমুকরণে ৫ লয়সাধনে নিযুক্ত হইয়াও কোন লাভ নাই । সমাজ রহিল অন্ধকূপে পরিণত হইয়া --তাঙ্গকে বিশ্বসমাজ পারাবারের সহিত সম্মিলিত কর, তাহার উপরে মুক্ত বায়ুর ও বিশ্ব-চক্ষু জগজ্জ্যোতির আলোক ও ঔজ্জ্বল্যের অবাধ অধিকার প্রদান কর । নতুবা, এ পঙ্কিল আবর্তের বারিপানে তোমরাই যে সুনিশ্চিত মৃত্যুমুখে নিপতিত হইবে! সমাজ সংস্কার কর, মুসলমানকে আপনার কব, ভায়ের দুঃখ দুর্দশ বিমোচিত কর ; সুস্থ হও, এক হও, সমাহিত হও –তোমাদের মধ্যে সঙ্গতি ও সৌন্দর্য্য নিত্যবিরাজিত হৌকৃ! একি বিতণ্ডা বা বিরোধের সময় ? এক হও, এক হও, এক হও ! নিজেদের অন্তরে কল্পনা ও লক্ষ্যের যদি সত্য সত্যই কোন পার্থক্য থাকে, থাকুক্‌ তাহ । মিলের প্রতিই দৃষ্টি রাখিয়া, আগে একতাবদ্ধ হও, গুণবান হও, সমর্থ হও। মায়ের প্রতি একবার চাহিয়া দেখো দেখি ? কি দেখিতেছ?-মুমূর্ষ। মুমূর্য জননীর শয্যাপার্থে দাড়াইয়া, কোন স্বসন্তান কলহ করে--চাঞ্চল্য প্রকাশ করে—শক্তি প্রবাসী । ৭ম ভাগ । ও সৌজন্তের অপচয় করে ? স্থির হও, দৃঢ় হও, এক হও।” যিনি ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থে যুগে যুগে সম্ভব হ’ন, সেই বিপদভঞ্জন দীনবন্ধুই তোমাদের সহায়, সেই অনাথ শরণ বিশ্বেশ্বরই তোমাদের আশ্রয়, সেই শ্ৰীভগবানই তোমাদের বল বিধাতা! 強 তোমাদের কিসের ভাবন ? একবার—একবার অকপটে নিজেদের ক্ষুদ্র, গণ্ডীবদ্ধ স্বার্থ বিস্মৃত হইয়া, সেই মহান অনন্ত দেবাধিদেবে আপনাদের সকল কৰ্ম্মফল সমর্পণ করিয়া, · তাহারি প্রতি অসীম নির্ভর স্থাপন পুৰ্ব্বক, অকুতোভয়ে দেখো দেখি–মায়ের দুরবস্থা ; ভাবে দেথি-দেশের কল্যাণ ; কর দেখি --প্রকৃত কৰ্ম্ম।—লান্তি কুম্ভক জাল অপসারিত হইয়া যাইবে ; দেশে আবার শান্তি ও সকল সৌন্দর্য সমজ্জ,সিত হইবে ; লক্ষ্য লাভের সকল পন্থা অনায়াস-মুক্ত হইবে ; সত্যযুগ পুনরাগত ভাবিয়া, নিখিলভূলোক রোমাঞ্চিত-তনু হইয়া, সাগ্রহে, শ্রদ্ধা-বিস্ময়পূর্ণ, অনিমেষনেত্রে তোমাদেরি প্রতি চাহিয়া দেখিবে ; আর, তথন এখানে—এই বঙ্গেরই গুহাঙ্গণে তোমাদের অগণ্য কর-প্রকোষ্ঠে রার্থী র্সাধিয়া দিয়া, তোমাদের ভগিনীগণ তাহাদের কল্যাণ-করস্থিত, অযুত শুভশঙ্খ মহম্মুহঃ ঝঙ্কত করিয়া তুলিবেন ; এবং তোমরা ভক্তি-পরিপ্লত অস্তলে,— মা’কে হৃদয়-শতদল-সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত রাখিয়া,-- আনন্দোদ্বেলিত সমস্বরে, সুললিত কণ্ঠে, নাচিয়া নাচিয়া গাহিয়া উঠিলে— বন্দে মাতরম্ ! শ্ৰীদেবকুমার রায় চৌধুরী। লর্ড কেলভিন। মানুষ কখনই চিরজীবী হয় না। স্বতরাং অশীতিপর বৃদ্ধ লর্ড কেলভিন তাহার সুদীর্ঘ জীবন ও অপরিমেয় শক্তিকে । বিজ্ঞানের উন্নতিকল্পে নিঃশেষে ব্যয় করিয়া জীবনের সন্ধ্যায় যখন বিশ্রামের আয়োজন করিতেছিলেন, তখন কাল যদি র্তাহাকে তাহার শাস্তিময় উদারক্রোড়ে টানিয়া লইয়া থাকে, তবে তাহাতে বিস্ময় বা ক্ষোভের কারণ নাই। দুঃখের বিষয় এই যে, ডারুইন, ম্যাক্সওয়েল, হক্সলি ও টিনডাল প্রভৃতির মৃত্যুর পরও অতীত ও বর্তমানের চিন্তা ও ভাবের