পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२२. না করিয়া পড়াইয়া গেল-সে দিন পড়া সুবিধামত হইলই

  • ाँ !

হরলাল প্রতিদিন রাত্ৰি থাকিতে উঠিয়া তাহার ঘরে বসিয়া পড়া করিত। বেণু সকালে উঠিয়াই মুখ ধুইয়া তাহার কাছে ছুটিয়া যাইত। বাগানে বাধানে চৌবাচ্চীয় মাছ ছিল তাহাদিগকে মুড়ি খাওয়ানো ইহাদের এক কাজ ছিল । বাগানের এক কোণে কতকগুলা পাথর সাজাইয়া, ছোট ছোট রাস্ত ও ছোট গেট ও বেড়া তৈরি করিয়া বেণু বালখিল্য ঋষির আশ্রমের উপযুক্ত একটি অতি ছোট বাগান বসাইয়াছিল। সে বাগানে মালীর কোনো অধিকার ছিল না । সকালে এই বাগানের চর্চা করা তাহদের দ্বিতীয় কাজ। তাহার পরে রৌদ্র বেশি হইলে বাড়ি ফিরিয়া বেণু হরলালের কাছে পড়িতে বসিত । কাল সায়াহ্নে যে গল্পের ংশ শোনা হয় নাই সেইটে শুনিবার জন্য আজ বেণু যথাসাধ্য ভোরে উঠিয়া বাহিরে চুটিয়া আসিয়াছিল। সে মনে করিয়াছিল সকালে ওঠায় সে আজ মাষ্টীর মশায়কে বুঝি জিতিয়াছে। ঘরে আসিয়া দেখিল মাষ্টীর মশায় নাই। দরোয়ানকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল মাষ্টার মশায় বাহির হইয়া গিয়াছেন। সেদিন ও সকালে পড়ার সময় বেণু ক্ষুদ্র হৃদয়টুকুর বেদনা লইয়া মুখ গম্ভীর করিয়া রহিল । সকাল বেলায় হরলাল কেন যে বাহির হইয়া গিয়াছিল তাহ জিজ্ঞাসা ও করিল না । হরলাল বেণুর মুখের দিকে না চাহিয়া বইয়ের পাতার উপর চোখ রাখিয়া পড়াইয়ু গেল। বেণু বাড়ির ভিতরে তাহার মীর কাছে যখন থাইতে বসিল, তখন তাহার মা জিজ্ঞাসা করিলেন-কাল বিকাল হইতে তোর কি হইয়াছে বল দেখি ! মুখ হাড়ি করিয়া আছিস কেন—ভাল করিয়৷ থাইতেছিস্ না—ব্যাপার থানা কি ! বেণু কোনো উত্তর করিল না । আহারের পর মা তাহাকে কাছে টানিয়া আনিয়া তাছার গায়ে হাত বুলাইয়া অনেক আদর করিয়া যখন তাহাকে বরাবর প্রশ্ন করিতে লাগিলেন তখন সে আর থাকিতে পারিল না—ফু পাইয়া কাদিয়া উঠিল । বলিল—মাষ্টার মশায়— মা কহিলেন—মাষ্টার মশায় কি ? বেণু বলিতে পারিল না মাষ্টার মশায় কি করিয়াছেন। TS SS SSTTiAAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSi S প্রবাসী। [ ৭ম ভাগ । ননীবালা কহিলেন—মাষ্টীর মশায় বুঝি তোর মার নামে তোর কাছে লাগাইয়াছেন ! & সে কথার কোনো অর্থ বুঝিতে না পারিয়া বেণু উত্তর না করিয়া চলিয়া গেল । § 建 ইতিমধ্যে বাড়িতে অধরবাবুর কতকগুলা কাপড় চোপড় চুরি হইয়া গেল। পুলিসকে খবর দেওয়া হইল। পুলিস থানাতল্লাসীতে হরলালেরও বাক্স সন্ধান করিতে ছাড়িল না । রতিকান্ত নিতান্তই নিরীহভাবে বলিল, যে লোক লইয়াছে সে কি আর মাল বাক্সর মধ্যে রাখিয়াছে ? মালের কোনো কিনারা হইল না । এরূপ লোকসান অধরলালের পক্ষে অসহ । তিনি পৃথিবীমৃদ্ধ লোকের উপর চটিয়া উঠিলেন । রতিকাস্ত কহিল, বাড়িতে অনেক লোক রহিয়াছে, কাহাকেই বা দোষ দিবেন, কাহাকেই বা সন্দেহ করিবেন ? যাহার যখন খুসি আসিতেছে যাইতেছে। অধরলাল মাষ্টারকে ডাকাইয়া বলিলেন, দেখ হরলাল, তোমাদের কাহাকেও বাড়িতে রাখা আমার পক্ষে সুবিধা হইবে না । এখন হইতে তুমি আলাদা বাসায় থাকিয়া বেণুকে ঠিক गमईमठ भड़ाडेक वाहेब यहे श्रेनहे डाग হয়—না হয় আমি তোমার দুইটাক মাইনে বৃদ্ধি করিয়া দিতে রাজি আছি । রতিকান্ত তামাক টানিতে টানিতে বলিল—এত অতি ভাল কথা—উভয়পক্ষেই ভাল । * হরলাল মুখ নীচু করিয়া শুনিল। তখন কিছু বলিতে পারিল না। ঘরে আসিয়া অধরবাবুকে চিঠি লিখিয়া পাঠাইল, নানা কারণে বেণুকে পড়ানে তাহার পক্ষে সুবিধা হইবে না—অতএব আজই সে বিদায় গ্রহণ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছে। সে দিন বেণু ইস্কুল হইতে ফিরিয়া ঠাঁসিয়া দেখিল মাষ্টার মশায়ের ঘর শূন্য। তাহার সেই ভগ্নপ্রায় টিনের প্যাট্রাটিও নাই। দড়ির উপর তাহার চাদর ও গামছা বুলিত সে দড়িটা আছে কিন্তু চাদর ও গামছা নাই। টেবিলের উপর খাতাপত্র ও বই এলোমেলো ছড়ানো থাকিত তাহার বদলে সেখানে একটা বড় বোতলের মধ্যে সোনালী মাছ ঝকঝঙ্ক i S eiS AAAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS