পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراسراہ র্তাছার মুখমণ্ডল অতি লাবণ্যময়, চক্ষু দুটি চীনাকৃতির, বৃদ্ধ সম্রাঞ্জীর মত নহে। মুখখানি অপেক্ষাকৃত বড়, তাহার মেজাজ ও চাল চলন অতি মনোরম । তাহার চক্ষের ভাবে দয়া প্রকাশের চিহ্ন পাওয়া যায়। তবে বৃদ্ধ সম্রাজ্ঞীর মত তিনি মুচতুর ও দক্ষ সম্রাজ্ঞী হইবেন কি না তাহ বলা কঠিন। তবে এইরূপ শুনা যায় যে বৃদ্ধ মহারাণী যখন সম্রাট কোয়াংগুর হস্তে রাজ্যভার দিয়া অবকাশ গ্রহণ করেন, সেই কালে এই নবীনা মহারাণী রাজপুরীর অন্দর মহলের সমস্ত কাৰ্য অতি দক্ষতার সহিত সম্পন্ন করিয়াছিলেন। এই নবীন রাণীই সম্রাটের পাটরাণী, তাহার নিম্নেই দ্বিতীয় মহিষীর স্থান । এই দ্বিতীয় মহিষী একজন গবর্ণর জেনেরালের কন্ঠ । এই দ্বিতীয়া মহিষীকে যখন সম্রাটের পত্নীরূপে নিৰ্ব্বাচন করা হয়, তখন ইনি নাকি অতি সুন্দরী ছিলেন, এবং এখন অত্যন্ত মোটা হইয় পড়ায় সেই প্রথম কালীন সৌন্দর্য্যের অনেকটা লাঘব হইয়াছে। তাহার চক্ষু দুইটী খুব বড়, এবং পাটল বর্ণ, শরীরের বর্ণ শ্বেত, নাসিকাট কিঞ্চিৎ চাপা, মুখগনি বড় কিন্তু দুৰ্ব্বলতার পরিচায়ক। তাহার মুখের ভাব দেখিয়া বড় বুদ্ধিমতী বলিয়া বোধ হয় না। তাহার স্বভাব নাকি অতি উৎকৃষ্ট। তিনি বিশেষ চতুর বা কৌশলী নহেন। রাজপুরীর অপর মহিলাগণের সঙ্গে তাহার নাকি বিশেষ বাধ্যবাধকতা নাই। এই সকল সত্ত্বেও পাটরাণী, দ্বিতীয় মহারাণীকে নাকি অত্যন্ত ভালবাসিয়া থাকেন। রাজবাটীর মধ্যে অপর রাজকুমারী বা মহিলাগণ অপেক্ষ এই দ্বিতীয়া মহিষীকে, পাটরাণী অধিকতর সন্মান ও যত্ন করিয়া থাকেন। সম্মানে রাজপুরীতে দ্বিতীয় মহিষী তৃতীয়স্থানীয়া । পাটরাণী যেখানেই যাইবেন তাহার সঙ্গে তিনিও গমন করিয়া থাকেন । সপত্নীবিদ্বেষ ভারতবর্ষে যেমন বিখ্যাত, চীনদেশে তাহার বিপরীত। চীনদেশে কোন ব্যক্তির চারি পাচ পত্নী থাকিলেও তাছাদের সমাজের ও শিক্ষার এমনই গুণ, ষে তাছাদের পরম্পরের अखङ: वांश्किडां८व ८कॉन दियाम बिजन्नांम व कशरु नाहे । আমাদিগের দেশে যেমন বিমাতা সপত্নী পুত্রকে হিংসা ও বিদ্বেষের চক্ষে দেখিয়া থাকে, এ দেশে সে ভাবও লক্ষিত হয় না। প্রথম পত্নী অপর অপর সতীনের পুত্র কল্পদিগকে আপন পুত্র কন্যার মত ভালবাসিয়া থাকে। বাহিরে প্রবাসী । नीं । [१में छांश । রাষ্ট্র যে সম্রাটের না কি বহু পত্নী ও উপপত্নী আছে, কিন্তু মিস কার্ল বলেন সে কথা সত্য নহে। সম্রাটের মাত্র দুইটা মহিষী । সম্রাটের পাটরাণীর সর্থীগণের মধ্যে প্রায় সকলেই রাজবংশসস্তৃতা কুমারী এৰং রাজকুমারগণের বিধবা পত্নী। তাহার সর্বপ্রথম সখী বা সহচরী "সি-গার্গা" (Fourth Princess) of *ěnta rota Rio for চিংএর কন্যা। এই মহিলা এইক্ষণ বিধবা । ইহঁার বয়স এখন প্রায় ২৪ বৎসর। টিনসিনের (Tintsin ) মাঞ্চু গবর্ণর জেনেরালের পুত্র ইহঁাকে বিবাহ করিয়াছিলেন।/ ইনি এত সুন্দরী যে পৃথিবীর যে কোন সুন্দরী রমণীর সঙ্গে ইহার তুলনা করা যাইতে পারে। সম্রাস্ত সন্তানহীন বিধবা মহিলাগণের স্তায় ইনি এক দত্তক পুত্র গ্রহণ করিয়াছেন। এই স্থলে চীনদেশী বিধবাগণ সম্বন্ধে কুমারী কাল লিথিয়াছেন যে “চীনদেশী বিধবাগণ কখনও বিবাহ করে না । এরূপ করিলে তাহদের জাতি যায় এবং খ্যাতি নষ্ট হয় । ভারতবর্ষীয় বিধবাগণকে যেমন তাহাদের স্বামীর চিতার উপর বলিদান করা হইয়া থাকে অর্থাৎ পোড়াইয়া মারা হইয়া থাকে, চীনদেশে তাদৃশ নহে। তবে চীনদেশে বিধবাগণ ইচ্ছাপূৰ্ব্বক আত্মহত্যা করিলে, তাহাদের এই কাৰ্য্যকে চীনদেশে এখনও গৌরবের কার্য বলিয়া গণ্য করা হইয় থাকে ৷” এস্থলে মিশ, কালের ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যে জ্ঞানের পরিচয় পাইলাম, তাহাতে র্তাহার চীনদেশ সম্বন্ধে অভিজ্ঞতায় যে নানা ভ্রম প্রমাদ থাকিবে তাহাতে বিচিত্র কি ? তিনি লিখিয়া- . ছেন যে চীনদেশী স্ত্রীলোকগণ বিধবা হইলে পুনরায় বিবাহ করে এ কথা সত্য নহে। আমার নিজের অভিজ্ঞতাতেই এই স্থানের অনেক বিধবার বিবাহের সংবাদ জানিয়াছি; ৷ এবং খাস পেকিননিবাসী একটী চীনা কেরাণী এখানে কাষ্টম আফিসে কাৰ্য্য করেন, তাহার নিকট জিজ্ঞাস করায় তিনিও বলিলেন শত শত বিধবা পুনরায় বিবাহ করিয়া থাকে । কিন্তু কথা এই যে চীনদেশে, বিধবা ৰিবাহের বিধি আছে বটে, তৰে যে সকল স্ত্রীলোকের অবস্থা ভাল এবং झे ७कन्नै शूब श्रांप्इ ठांशंद्र यांग्रहे विवांश् क्रब्र मां ।