১ম সংখ্যা विथबा । কিন্তু সবগুলি আয়তনে সমান নহে। তিনটী বড় এবং দুইটা ছোট। তিনটা সৰ্ব্বসাধারণ পার্শিনরনারীর জন্ত একট আত্মহত্যাকারী কিম্বা যাহাঁদের অপঘাতমৃত্যু হয় তাহাঁদের জন্ত এবং অপরটা “মুদী” নামক পরিবারের জন্ত নির্দিষ্ট রহিয়াছে। মুদী পরিবার সৰ্ব্ব প্রথমে বম্বে আগমন করায় তাহার এই বিশেষ অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছেন । দর্শকগণ মঞ্চের অতি নিকটে যাইতে পারে না । অন্ততঃ ত্রিশগজ দূরে দাড়াইতে হয়। একজন পার্শি কৰ্ম্মচারী দর্শকদিগকে সব বিষয় বুঝাইয়া দেয় । উষ্ঠানে একটী মন্দির আছে তথায় পার্শিদের বম্বে আগমন ক্লাল হইতে অগ্নি রক্ষিত হইতেছে। ঐ অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত হইতে দেওয়া হয় না । সৰ্ব্বদা চন্দন কাষ্ঠ অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হয়। দূর হইতে বেশ সুগন্ধ পাওয়া যায়। উদ্ধানের ভিতর ও বাহিরে অসংখ্য তালগাছ আছে । তালগাছ ও মঞ্চের দেওয়ালে শকুনিগুলি শবের প্রতীক্ষায় বসিয়া থাকে। সমাধি-মঞ্চের উদ্যানটী অতি মনোরম এবং বিবিধ সুন্দর পত্রপুষ্পে সুসজ্জিত । দুইপাশ্বে সমুদ্র এবং নিম্নে পটের মত নগরের সৌধরাশি বিরাজিত । এই স্থান হইতে বম্বের সুন্দর শোভা উত্তমরূপে নয়নগোচর হয় ! সমাধি-মঞ্চ দর্শন করিতে হইলে পাশি পঞ্চায়তের তত্ত্বাবধায়কের নিকট দরখাস্ত করিতে হয় । তিনি ছাড়পত্র ( free pass ) প্রদান করেন । পাশ না থাকিলে পাশি ব্যতীত অন্ত কাহাকেও উদ্যানে প্রবেশ করিতে কিম্বী মঞ্চ দর্শন করিতে দেওয়া হয় না । বম্বে ও কলিকাতার যাদুঘরে পার্শি সমাধি-মঞ্চের এক একট প্রতিকৃতি ( Model),ও বিবরণ আছে। ঐ বিবরণ ও পার্শিদের প্রমুখাৎ যাহা, অবগত হইয়াছি তাহা হইতে এই প্রবন্ধের উপকরণ সংগৃহীত হইয়াছে। ঐবিলাসচন্দ্র দাস । মনের কথা । ( > ) মনের কথা বল্পে খুলে, লোকে বলবে পাগল! অমিই কোন করে রেয়াৎ, তবে কি না সামনে নেহাৎ যা তা কথা বলতে নাহি খোলে মুখের অগিল । 8○ ( २ ) যা হোকৃ, রাখি ঢাকা চাপ , দেখাইনে যে ভিতর ফঁাপা । কুমড়া বলি দিয়ে বলি দুর্গা থেলেন ছাগল । বলি পটোল, ভাজি ঝিঙ্গে ; বলি জাহাজ, চালাই ডিঙ্গে ; ঝোলাই লম্বা কেঁচা, তবে ছুচে করে যা গোল । ( ৩ ) “কাল কুঞ্জি” লাগায় বেটন্ দেহের মাংস করি মাটন্ ; ভ্যা ভ্যা চেপে হালুম্-ডাকে তবু ওঁছাই থাবোল। অগ্নি মোদের খ্যাতি রটে ; হোলেও গ্রাম্য, সিংহ বটে ! পীঠের দাগ ঢেকে পিটি আত্মঘশের মাদল । ( 8 ) পরের দড়ায় পাকে ভ্ৰমি লাটিমৃ সম “অটনমি” হচ্চে বটে ; কিন্তু ঘটে জাগছে শক্তি আসল । খুজি বটে গর্তে বাসা, আত্ম-প্লক্তি আছে থাসা । বিপত্তিতে মাচার তলে খোকার মায়ের আঁচল। ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার। বিধবা । সে কোথায় গেল চলি তোমায় কিছু না বলি" অজানিত দেশে । ক্ষণেক বিলাপ করি’, তার পরে শাস্ত ভাবে এলাইয়া কেশে, তা’র সনে উপহৃত তা”রি রত্ন-আভরণ, ত্যজি’ অযতনে, বারেক অনন্ত, নীল উদ্ধপানে আঁখি তুলি অতৃপ্ত নয়নে । কি যেন হেরিয়া, শেষে, ধীরপদে গৃহে এসে আত্ম-সম্বরিয়া,
পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪৮
অবয়ব