পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লর্ড কেল্‌ভিন্

মানুষ কখনই চিরজীবী হয় না। সুতরাং অশীতিপর বৃদ্ধ লর্ড কেল্‌ভিন্ তাঁহার সুদীর্ঘ জীবন ও অপরিমেয় শক্তিকে বিজ্ঞানের উন্নতিকল্পে নিঃশেষে ব্যয় করিয়া জীবনের সন্ধ্যায় যখন বিশ্রামের আয়োজন করিতেছিলেন, তখন মৃত্যু যদি তাঁহাকে তাহার শান্তিময় উদার ক্রোড়ে টানিয়া লইয়া থাকে, তবে তাহাতে বিস্ময় বা ক্ষোভের কারণ নাই। দুঃখের বিষয় এই যে, ডারুইন, ম্যাক্সওয়েল, হক্সলি ও টিন্‌ডাল্’ প্রভৃতির মৃত্যুর পরও অতীত ও বর্ত্তমানের চিন্তা ও ভাবের মধ্যে যে নিগূঢ় বন্ধন রক্ষা হইয়া আসিতেছিল, লর্ড কেল্‌ভিনের মৃত্যুতে বুঝি বা তাহা ছিন্ন হইয়া যায়। নানা শাখাপ্রশাখাবিশিষ্ট বিজ্ঞানকে সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখা যেমন এক মহাদোষ, বাহিরের নানা অবান্তর ব্যাপার ও আবর্জ্জনাকে তাহার ভিতরে স্থান দেওয়াও ততোধিক মহাদোষ। লর্ড কেল্‌ভিনের নেতৃত্বে ইংলণ্ডে বিজ্ঞান এপর্য্যন্ত নিষ্কলুষ ছিল। এই মহারথীর অভাবে সার্ অলিভার লজ্ প্রমুখ নব্য নেতাদিগের দ্বারা ইংলণ্ডের পরীক্ষাগারে মার্কিনভূতের আবির্ভাব অসম্ভব হইবে না। এই ভৌতিক নৃত্যে নিউটন্ হার্সেলের কর্ম্মক্ষেত্র ইংলণ্ডের পূর্ব্ব পবিত্রতা ও মহিমা কতদুর অক্ষুণ্ণ থাকিবে, তাহা এখন নিশ্চয়ই চিত্তার বিষয় হইয়া দাঁড়াইবে।

 রাজার মৃত্যুতে রাজসিংহাসন শূন্য থাকে না, এবং ব্যূহবদ্ধ সমাজে অধিনায়কের অভাব হইলে, অধিনায়ক আপনা হইতে আসিয়া শূন্যস্থান অধিকার করে। কিন্তু লর্ড কেল্‌ভিনের মত রাজা ও অধিনায়ক