পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

মনুষ্যসৃষ্টি

মানুষ যে হঠাৎ একদিন তাহার হস্তপদ ও জ্ঞানবুদ্ধি লইয়া পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে নাই তাহার প্রচুর প্রমাণ আছে। যে দিন বিধাতার অনন্ত শক্তির এক ক্ষুদ্র কণা জড়ে প্রবিষ্ট হইয়। নির্জীবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিয়াছিল, সেই দিন হইতেই মনুষ্যসৃষ্টির আরম্ভ। কত বৎসর পূর্ব্বে এই প্রকারে জীবের অঙ্কুর উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহা স্থির করা কঠিন বটে, কিন্তু পৃথিবীর শৈশব জীবনেরই কোন এক শুভ মুহূর্তে প্রাথমিক জীবের স্বেচ্ছা সঞ্চলনে যে, ধরাবক্ষ ক্ষুব্ধ হইয়াছিল তাহা সুনিশ্চিত। আধুনিক জীবতত্ত্ববিদগণ এই প্রাথমিক জীবকেই মনুষ্যের অতি প্রাচীন পূর্ব্বপুরুষ বলিয়া স্থির করিয়াছেন, এবং সেই জড়বৎ জীব কোন ধারায় ক্রমবিকাশ লাভ করিয়া বৃক্ষলতা পশুপক্ষী এবং নরবানর ইত্যাদিতে পরিণত হইয়াছে, তাহাও নির্দ্দেশ করিয়াছেন। সুতরাং প্রাথমিক জীবের সৃষ্টিকে মনুষ্যসৃষ্টির প্রারম্ভ বলা অসঙ্গত নয়।

 জীবের লক্ষণ নির্দ্দেশ করিতে গেলে বৈজ্ঞানিকগণ বলিয়া থাকেন, বাহিরের নানা প্রাকৃতিক শক্তির সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া নিজেকে ঠিক রাখাই জীবের প্রধান ধর্ম্ম। তাপ, আলোক, বায়ুর চাপ, ভূমধ্যাকর্ষণ প্রভৃতি নানা প্রবল প্রাকৃতিক শক্তি পদার্থের উপর যে প্রভাব বিস্তার করিতেছে, তাহা উপেক্ষার বিষয় নয়। গোড়ার খবর লইলে বলিতে হয়, ইহারাই নানা আকারে কাজ করিয়া পৃথিবীকে গড়িয়া তুলিয়াছে। সদ্যসৃষ্ট জীবটির উপর যখন এই সকল প্রাকৃতিক শক্তি প্রবলভাবে কাজ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, তখন টিকিয়া