পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ঘ্রাণতত্ত্ব

ঘ্রাণেন্দ্রিয় দ্বারা আমরা কি প্রকারে গন্ধ অনুভব করি, তাহা বর্ত্তমান প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় নয়। গন্ধপ্রদ পদার্থ কি প্রকার অবস্থায় নাসিকায় পৌঁছিলে গন্ধ উৎপন্ন হয়, তাহাই আমরা আলোচনা করিব।

 অভিধানকারকে ঘ্রাণের সংজ্ঞা জিজ্ঞাসা কর, তিনি বলিবেন,— কোন বস্তু হইতে নির্গত হইয়া যাহা আমাদের ঘ্রাণোত্তেজক স্নায়ুকে (Olfactory Nervo) আঘাত দেয়, তাহাই ঘ্রাণ। বলা বাহুল্য, এটা ঘ্রাণের নির্দ্দোষ সংজ্ঞা হইল না। গন্ধপ্রদ পদার্থ হইতে যে-সকল অংশ নির্গত হইয়া নাসা-বিবরে প্রবেশ করে, তাহার অবস্থাটা যে কি, সংজ্ঞা হইতে তাহা জানা যায় না। নাকের নিকট চন্দন রাখ, তাহার মৃদু গন্ধ অনুভব করিতে থাকিবে। এখানে চন্দন বায়বীয় বা তরল অবস্থায় নাসিকায় প্রবেশ করে, কি কঠিনাবস্থায় থাকিয়াই ধূলিকণার ন্যায় নাসারন্ধ্রে আসিয়া উপস্থিত হয়, অভিধানে তাহার সন্ধান পাওয়া যায় না।

 পদার্থের নানা অবস্থার নানা গুণের আলোচনা করা জড়বিজ্ঞানের কার্য্য। এই জন্য ঘ্রাণতত্ত্বের আলোচনা কালে, ঘ্রাণ জিনিষটাকে বৈজ্ঞানিকেরা পূর্বোক্ত প্রকারে চাপা দিয়া রাখিতে পারেন নাই। এ সম্বন্ধে ইহাদিগকে একটা স্পষ্টাপষ্টি জবাব দিতে হইয়াছে। বৈজ্ঞানিকগণ বলেন, গন্ধোৎপাদক পদার্থের অতি ক্ষুদ্র কণা কঠিনাকারে থাকিয়া আমাদের নাসিকায় প্রবেশ করে, এবং নাসিকাস্থ ইন্দ্রিয়বিশেষ তাহাদেরই সংস্পর্শে আসিয়া গন্ধজ্ঞান উৎপন্ন করে। উদাহরণ স্বরূপ ইঁহারা বলিয়া থাকেন,—বৃহৎ ঘরের কোন স্থানে রতিপ্রমাণ মৃগনাভি লুক্কায়িত রাখ,