পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অমৃত ও গরল

কলিযুগে অমৃত কোথায় আছে জানি না, কিন্তু গরলের সন্ধান করিবার জন্য একটুও কষ্টস্বীকার করিতে হয় না। সাপের মুখে গরল, কুকুরের দাঁতে গরল, ডাক্তারের শিশিতে গরল, কবিরাজের পুঁটুলিতে গরল, দোকানের খাদ্য পানীয় ত একবারে গরলেই ভরা। ‘অমৃতং বাল ভাষিতম্’ এই বাক্যটির যদি কিছু সার্থকতা থাকে, তবে বুঝিতে হয় এক ছোট ছেলেমেয়ের ফাঁকা কথাতেই এখন অমৃত আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছে,—কিন্তু জিনিষটা একবারেই ফাঁকা; ধরিয়া ছুঁইয়া পাইবার উপায় নাই। কাজেই ইহাকে লইয়া আর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা চলে না। তার পর যদি গৃহের অপর প্রান্ত হইতে কোন ক্ষীণতর কণ্ঠের গরলময় শব্দস্রোত আসিয়া উপস্থিত হয়, তবে এই গরল-প্লাবনে “বালভাষিতম্” নিঃশেষে neutralised হইয়া যায়,—সুতরাং “বালভাষিতের” অমৃত লইয়া পরীক্ষাই বা চলে কি প্রকারে?

 সত্যযুগের মানুষ কি খাইয়া প্রাণ ধারণ করিত, পাঁজিতে তাহার সন্ধান পাইলাম না,—হয় ত অমৃতই তাহাদের আহার্য্য ছিল। কিন্তু পাঁজিতে দেখিতেছি “কলৌ অন্নগতাঃ প্রাণাঃ”, কাজেই কলিতে অন্নাদি খাদ্যই অমৃতের স্থলাভিষিক্ত হইয়াছে বলিলে বোধ হয় ভুল হয় না। তা ছাড়া,

“দুগ্ধং শর্করাচৈব ঘৃতং দধি তথা মধু।
পঞ্চামৃতমিদং প্রোক্তং বিধেয়সর্ব্বকর্ম্মসু”॥

এই বচনও ত আজকাল মানিয়া চলিতে হইতেছে। কাজেই পঞ্চামৃতের