পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বৈজ্ঞানিকের স্বপ্ন

নিঃসংশয়ে স্থির হয় নাই। কেহ সেগুলিকে বিদ্যুৎপূর্ণ জড়কণা বলিয়া প্রচার করিতেছেন, কেহ ইহাদিগকে খাটি বিদ্যুৎ বা মুর্ত্তিমান শক্তি বলিতে চাহিতেছেন। কিন্তু জিনিষটা যে সৃষ্টির মূল উপাদান সে বিষয়ে প্রায় সকলেই নিঃসন্দেহ হইয়া আসিয়াছেন।

 সংগঠনতত্ত্ব জানা না থাকিলেও, ইলেক্ট্রনের আকার প্রকার সম্বন্ধে অনেক নূতন তথ্য সংগৃহীত হইয়াছে। এগুলি আয়তনে এত ক্ষুদ্র যে, হাজারটি মিলিয়া জোট না বাঁধিলে, তাহাদের সমবেত আয়তন বা গুরুত্ব হাইড্রোজেনের পরমাণুর সমান হয় না এবং যখন ছুটিয়া চলে তখন উহাদের বেগের পরিমাণ আলোকের বেগের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ হইয়া দাঁড়ায়।

 রসায়নবিদ্‌গণ যখন এই অদ্ভুত জিনিষের সন্ধান পাইয়া তাহার রহস্য আবিষ্কারের জন্য অন্ধকারে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিলেন, তখন রেডিয়ম্ নামক এক অদ্ভূত ধাতুর আবিষ্কার গবেষণার এক নূতন পথ উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছিল। নূতন ধাতুর আণবিক গুরুত্ব স্থির হইয়া গেল, বর্ণচ্ছত্রে (Spectrum) উহা কোন্ কোন্ বর্ণরেখার পাত করে তাহা দেখা গেল, এবং কোন্ কোন্ পদার্থের মিলনে তাহা কতগুলি যৌগিক উৎপন্ন করে তাহাও নির্দ্দিষ্ট হইল, কিন্তু রতিপ্রমাণ রেডিয়ম্ হইতে অবিরাম যে তাপরশ্মি ও ইলেকট্রন নির্গত হয় তাহার ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। মূল পদার্থের পরিবর্ত্তন নাই ও বিয়োগও নাই বলিয়া যে বিশ্বাসকে বৈজ্ঞানিকগণ শত বৎসর ধরিয়া পোষণ করিয়া আসিতেছিলেন, তাহা একটা প্রকাণ্ড ধাক্কা পাইয়া গেল। তা’ ছাড়া আলোক ও বিদ্যুতের উৎপত্তি প্রসঙ্গে যে সিদ্ধান্ত প্রচলিত আছে, তাহারো ভিত্তি যেন একটু চঞ্চল হইয়া পড়িল।

 পূর্ব্বোক্ত ঘটনার পর সেই বিদ্যুন্ময় ইলেক্ট্রন-প্রবাহ ও রেডিয়ম্ লইয়া এ পর্যন্ত নানা দেশে নানা গবেষণা হইয়া গিয়াছে। ইহার ফলে