পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
একটি নূতন আবিষ্কার
১৮৩

চলিয়াছে, তাহা আলোচনা করিলে এক অণুবীক্ষণ যন্ত্রকেই উন্নতির প্রধান সহায় বলিয়া মনে হয়। প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রধান গঠনোপাদান, জীবসামগ্রীর (Protoplasm) অত্যাশ্চর্য্য কার্য্য এবং জীবদেহের কোষগুলির জন্মমৃত্যুর রহস্য এক অণুবীক্ষণ যন্ত্রই চক্ষুতে দিব্য দৃষ্টি যোজনা করিয়া আমাদিগকে দেখাইতেছে। জীবতত্ত্বের গবেষণায় আজকাল যে-সকল অণুবীক্ষণযন্ত্রের ব্যবহার হয়, সেগুলিকে নানা প্রকারে সুব্যবস্থিত করা সত্ত্বেও সর্ব্বাঙ্গসুন্দর করা যায় নাই। জীবাণু (Bacteria) প্রভৃতি অতিক্ষুদ্র বস্তু অণুবীক্ষণ দ্বারা দেখিতে গেলে, নানাপ্রকার রঙ্ দিয়া সেগুলিকে আজও রঞ্জিত করিতে হয়, নচেৎ পরীক্ষাকালে তাহারা মোটেই আমাদের চোখে পড়ে না। তা’ছাড়া জীবাণুগুলি যাহাতে নড়িয়া চড়িয়া যন্ত্রের দৃষ্টিক্ষেত্র হইতে বহির্গত হইয়া না পড়ে, তজ্জন্য সময়ে সময়ে বলপ্রয়োগ করিয়া তাহাদিগকে দৃষ্টিক্ষেত্রে আবদ্ধ রাখা হয়। প্রচলিত অণুবীক্ষণযন্ত্রকে সংস্কৃত করিয়া নূতন প্রথায় একটি উন্নত যন্ত্র নির্মাণ করিবার জন্য ডুবার‍্ন্ সাহেব অনেকদিন অবধি চেষ্টা করিয়াছিলেন। জীবাণুর ন্যায় অতি সুক্ষ্ম জীবগণের স্বচ্ছন্দবিহার বন্ধ করিয়া এবং তাহাদের দেহাভ্যন্তরে রঙ্ প্রবেশ করাইয়া পর্য্যবেক্ষণ করিলে যে, তাহাদের জীবনের স্বাভাবিক কার্য্য প্রত্যক্ষ করা কঠিন হইয়া পড়ে, তাহা বুঝিয়াই তিনি নূতন যন্ত্র নির্ম্মাণের চেষ্টা আরম্ভ করিয়াছিলেন। সম্প্রতি ইহার চেষ্টা সফল হইয়াছে। সূর্য্যালোককে বা বিদ্যুদালোককে আবশ্যক মত প্রথর করিয়া যন্ত্রে ফেলিবারও একটি সুন্দর কৌশল সঙ্গে সঙ্গে আবিষ্কৃত হইয়া পড়িয়াছে। তা-ছাড়া ইনি অণুবীক্ষণের শক্তিকে বৃদ্ধি করিবারও একটি সুন্দর উপায় উদ্ভাবন করিয়াছন। ইহার স্বহস্তনির্ম্মিত যন্ত্রটির শক্তি এত অধিক হইয়াছে যে, ইহা দ্বারা কোন ক্ষুদ্র জিনিষ পরীক্ষা করিলে যন্ত্রে তাহার আকার ছয় লক্ষ চল্লিশ হাজার গুণ দীর্ঘপ্রস্থে বড় দেখায়। অণুবীক্ষণযন্ত্র এপর্য্যন্ত কেবল নামেই