পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিজ্ঞানে সূক্ষ্মগণনা
২৬৭

সংবাদও আমাদিগের নিকটে বহিয়া আনিতেছে। আমরা যে পৃথিবীখানির উপরে বাস করিতেছি, তাহার জন্মতত্ত্ব এবং শৈশবের ইতিহাস জানিবার ইচ্ছা কাহার না হয়? নিউটন্ সাহেবের সূক্ষ্ম গণনাই এখন আমাদের সেই সকল ইচ্ছারও পূরণ করিতেছে। নিউটনের হিসাবপত্র খুব সূক্ষ্ম হইলেও ইহা একেবারে অভ্রান্ত নয়। হয় ত বহু শতাব্দী ধরিয়া এই নিয়মে হিসাব করিলে আমরা ভুল পাইব কিন্তু অতিদূর ভবিষ্যতে ঠিক্ এই নিয়মে গ্রহনক্ষত্রেরা চলাফেরা করিবে কি না, তাহা কেহই বলিতে পারেন না। বরং এ প্রকার কতকগুলি লক্ষণ দেখা যাইতেছে, যাহাতে বহু যুগ পরে কেপ্‌লারের নিয়মের ন্যায় নিউটনের নিয়মেরও সংশোধন প্রয়োজন হইবে বলিয়া মনে হয়। দুই হাজার বৎসর পরে যে দিন নিউটনের নিয়ম না মানিয়া জ্যোতিষ্কদিগকে ভ্রমণ করিতে দেখা যাইবে, সেই দিনই কোন সূক্ষ্মতর গণনা-পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। সুতরাং এখন হইতেই যদি পণ্ডিতগণ জ্যোতিষ্কদের গতিবিধি লইয়া খুব সূক্ষ্মগণনায় কালক্ষেপ করেন, তবে তাহাকে সময়ের অপব্যবহার বলা যায় না।

 আমরা এ পর্য্যন্ত সৌরজগতের কথা লইয়াই আলোচনা করিলাম, যে অনন্ত নক্ষত্রলোক আমাদের চক্ষুর সম্মুখে প্রসারিত রহিয়াছে, এখন তাহার কথা স্মরণ করা যাউক। হার্সেল সাহেবের পর বহু জ্যোতিষী বহু অনিদ্র রজনী নক্ষত্র-পর্য্যবেক্ষণে কাটাইতেছেন; ইহাতে যে, কত সূক্ষ্ম হিসাবপত্র এবং তর্ক-কোলাহলের উৎপত্তি করিতেছে, আধুনিক জ্যোতিঃশাস্ত্রের যাঁঁহারা সংবাদ রাখেন, তাঁহাদের নিকটে তাহার পুনরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন। বলা বাহুল্য, এগুলিও নিষ্কর্ম্মার সময়ক্ষেপণের উপায় নয়। চন্দ্র-সূর্য্যের গ্রহণ, গ্রহগণের উদয়াস্ত এবং তাহাদের চলাফেরাসংক্রান্ত যে-সকল ভবিষ্যদ্বাণীর সার্থকতা দেখিয়া অবৈজ্ঞানিক জনসাধারণ অধাক্ হইয়া যান, তাহাদের মূলও উক্ত