পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
প্রাকৃতিকী

বৈজ্ঞানিকগণ সেই নিস্তাপ ও নিঃস্পন্দ অবস্থার খুব কাছাকাছি আসিয়া দাঁড়াইয়াছেন। আর কোন প্রকারে উষ্ণতাকে কুড়ি ডিগ্রি নীচে নামাইতে পারিলেই জড়ের সেই স্তব্ধ প্রকৃতির সহিত প্রত্যক্ষ পরিচয় হইবে। প্রায় বারো বৎসর পূর্ব্বে ইংলণ্ডের রয়াল্ ইনষ্টিটিউসনের অধ্যাপক ডিওয়ার (Dewar) তরল হাইড্রোজেন্ প্রস্তুতের উপায় আবিষ্কার করিয়াছিলেন; এখনো সেই উপায়েই হাইড্রোজেনকে তরল করা হইতেছে।

 বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারই এক বারের চেষ্টায় এক দিনে সুসাধিত হয় নাই। কোন বিশেষ উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য করিয়া দীর্ঘকাল গবেষণা করিলে তবে অভীষ্টের সন্ধান পাওয়া যায়। ইহাতে যে অর্থ ব্যয় হয় তাহার পরিমাণ বড় অল্প নয়। যে তরল-বায়ু ও তরল হাইড্রোজেন আজকাল নানা পরীক্ষার প্রধান সহায় হইয়া দাড়াইয়াছে, তাহার প্রস্তুত উপায়ের আবিষ্কারেও বহু ব্যয় হইয়া গিয়াছে। ডাক্তার মণ্ড (Dr. Mond) নামক জনৈক জর্ম্মান্ ধনী ইহার সমগ্র ব্যয় বহন করিয়াছিলেন। যাহা সত্য, তাহাকে কোন ক্রমেই ব্যক্তি বা জাতিবিশেষের সম্পত্তি করিয়া রাখা যায় না। ইহা জানিয়াও আধুনিক নানা আবিষ্কারের কর্ত্তৃত্ব লইয়া নানা দেশের বৈজ্ঞানিকগণ বৃথা বাগ্‌বিতণ্ডার প্রশ্রয় দিয়া থাকেন। ইংরাজ বৈজ্ঞানিক ডিওয়ার সাহেবের গবেষণার আনুকুল্যে জর্ম্মানের দান সত্যই আধুনিক যুগের একটা নূতন কথা।

 ত্রিশ বৎসর পূর্ব্বেও জৈব রসায়ন শাস্ত্রের (Organic Chemistry) বিশেষ কোন উন্নতির লক্ষণ দেখা যাইত না। সেই পুরাতন কয়েকটি ব্যাপার লইয়া বৈজ্ঞানিকগণ তৃপ্ত থাকিতেন। অনেকের বিশ্বাস ছিল, জৈব বস্তুকে আমরা বিশ্লেষ করিতে পারি, কিন্তু উপাদানগুলিকে একত্র করিয়া তাহাকে গঠন করিতে পারি না। এখনো যে, সে বিশ্বাস