পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
প্রাকৃতিকী

ইঁহাদের চেষ্টা সার্থক হইয়াছে। বায়ুর নাইট্রোজেনে বিদ্যুৎ পরিচালন করিয়া ইংরাজ বৈজ্ঞানিক হান্‌পসন্ (Dr. William Hanpson) নাইট্রিক এসিড্‌ প্রস্তুতের এক উপায় আবিষ্কার করিয়াছেন। ইতিমধ্যেই নরওয়ের এক বৃহৎ জলপ্রপাতের নিকট এই উপায়ে এসিড্ প্রস্তুতের জন্য এক কারখানার প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। জলপ্রপাতের শক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হইতেছে এবং তাহারই সাহায্যে নাইট্রিক্ এসিড্ প্রস্তুতের কার্য্য চলিতেছে।

 সোরা (Salt petre) জিনিষটা আমাদের কম প্রয়োজনে লাগে না। জমির উর্ব্বরতা বৃদ্ধির জন্য ইহা একটি উৎকৃষ্ট সার। তা ছাড়া বারুদ প্রভৃতি প্রস্তুতে ইহার যথেষ্ট ব্যবহার আছে। স্বভাবতঃ নানা স্থলে যে সোরা উৎপন্ন হয়, এ পর্য্যন্ত তাহাই সংগ্রহ করিয়া লোকে কাজ চালাইত। কিন্তু নাইট্রোজেন্‌কেই ইহার প্রধান উপাদান দেখিয়া, বায়ুর নাইট্রোজেন্ লইয়া কোন প্রকারে জিনিষটাকে প্রস্তুত করিবার জন্য খুব চেষ্টা চলিতেছিল। বায়ুর ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ পরিচালন করিয়া বৈজ্ঞানিকগণ সম্প্রতি কৃত্রিম সোরা প্রস্তুতে কৃতকার্য্য হইয়াছেন।

 এমোনিয়া জিনিষটাও নাইটোজেন্‌-প্রধান, এবং কারখানায় ইহার ব্যবহারও যথেষ্ট। বায়ুর নাইট্রোজেন্ হইতে ইহারও এক প্রস্তুত-উপায় অল্প দিন হইল আবিষ্কৃত হইয়াছে। অধ্যাপক হাবের (Haber) নামক জনৈক জর্ম্মান ইহার উদ্ভাবক। এমোনিয়া প্রস্তুতের নূতন কারখানা প্রতিষ্ঠার আয়োজন চলিতেছে। অনেকে আশা করিতেছেন, হয়ত অল্প দিনের মধ্যে জিনিষটা খুব সুলভ হইয়া দাড়াইবে।

 ভূ-গর্ভ হইতে তাম্র লৌহ স্বর্ণ রৌপ্য প্রভৃতি ধাতুগুলিকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তাহারা বিশুদ্ধ অবস্থায় থাকে না। নানা বিজাতীয় বস্তুর সহিত মিশ্রিত হইয়া সেগুলি আকারে প্রকারে এমন