পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ধাতুর কয়েকটি গুণ

যেখানে সীমারেখা টানা যায়, সেখানেই যত সন্দেহ, যত বিরোধ একে একে দেখা দিতে থাকে। সীমা-সরহদ্দ লইয়া যে, কেবল রাজায় রাজায় লড়াই বাধে তাহা নহে, বৈজ্ঞানিকগণ যেখানে সীমা-রেখা টানিয়া প্রাণি-জগৎকে উদ্ভিদ্ হইতে পৃথক্ করেন বা চেতন পদার্থকে অচেতন হইতে বিচ্ছিন্ন রাখিতে চেষ্টা করেন, সেখানেও বিরোধ ও সন্দেহ দেখা দেয়। এই বিরোধে গোলাগুলি বর্ষণ বা রক্তপাত হয় না সত্য, কিন্তু তর্ককোলাহলের আর অন্ত থাকে না। নির্জীব জড়জগৎকে ধাতু ও অধাতু, এই দুইটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করিবার রীতি আছে; খুব মোটামুটি কতকগুলি লক্ষণ মিলাইয়া এই শ্রেণীবিভাগ করা হয়; কিন্তু যখনই বৈজ্ঞানিকগণ সুস্পষ্ট রেখা টানিয়া ধাতুকে অধাতু হইতে পৃথক্ করিতে গিয়াছেন, তখনই ঘোর দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হইয়াছে। যেগুলিকে একদল বৈজ্ঞানিক ধাতুর কোটায় ফেলিতে চাহিয়াছেন, অপর একদল বৈজ্ঞানিক সেগুলিকেই অধাতু বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন। কাজেই কতকগুলি পদার্থ চূড়ান্ত বিচারের অভাবে কোন বিশেষ শ্রেণীতে স্থান পায় নাই। সেলেনিয়ম্, টেলুরিয়ম্, আর্সেনিক্ এণ্টিমণি প্রভৃতি পদার্থ এই প্রকারে সমাজচ্যুত হইয়া রহিয়াছে। ধাতু ও অধাতুর সীমান্ত রেখায় ইহাদের বসতি।

 সার্ হেন্‌রি রস্কো আধুনিক যুগের একজন খ্যাতনামা রসায়নবিৎ। ধাতুর লক্ষণ জানিবার জন্য তাঁহার গ্রন্থাদির অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়, এক পারদ ব্যতীত সকল ধাতুই সাধারণতঃ কঠিনাবস্থায় থাকে,