পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ধাতুর কয়েকটি গুণ
৩৫

 দুইটি পৃথক্ ধাতুকে পূর্ব্বোক্ত প্রকারে জুড়িয়া তাহাদের সন্ধিস্থলের ভিতর বিদ্যুৎ প্রবাহ চালাইতে থাকিলে কখনও সন্ধিস্থল গরম এবং কখনও শীতল হইয়া পড়ে। মনে করা যাউক, পূর্ব্বোক্ত উদাহরণে বিস্‌মথ হইতে সীসার দিকে যেন প্রবাহ চালানো যাইতেছে। পরীক্ষা করিয়া দেখিলে স্পষ্টই বুঝা যাইবে, সন্ধিস্থল গৱম হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু প্রবাহটিকে বিস্‌মথ্ হইতে সীসকের দিকে না চালাইয়া, যদি তাহাকে গুরুভারবিশিষ্ট সীসক হইতে বিস্‌মথের দিকে চালানো যায়, তবে উহারই ঠিক্ বিপরীত ফল দেখা যাইবে;—এই অবস্থায় সন্ধিস্থল অপর অংশের তুলনায় স্পষ্ট শীতল হইয়া পড়িবে। বিদ্যুৎপ্রবাহে যুগ্ম ধাতুর এই প্রকার কার্য্যের কথা বহু দিন হইতে আমাদের জানা আছে; বৈজ্ঞানিকগণ ইহাকে Pelfier Effer1 নাম দিয়াই এ পর্য্যন্ত তৃপ্ত ছিলেন। ব্যাপারটির কারণ নির্দ্দেশ করিবার জন্য চেষ্টার ত্রুটি হয় নাই, কিন্তু এ পর্য্যন্ত এ সম্বন্ধে যে-সকল ব্যাখ্যান প্রদত্ত হইয়াছে, তাহাদের কোনটিকেই সন্তোষজনক বলিয়া মনে হয় নাই। যাহা হউক, ইলেক্ট্রনের সাহায্যে ধাতুপদার্থের এই বিশেষত্বটিরও এক ব্যাখ্যান পাওয়া যাইতেছে। বৈজ্ঞানিকগণ বলিতেছেন, আমরা যখন সীসক এবং বিস্‌মথের ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করি, তখন প্রকৃত প্রস্তাবে বিস্‌মথের ইলেক্ট্রনগুলিকে জোর করিয়া যেন সীসকের ইলেক্ট্রনের সহিত মিশাইতে থাকি। কাজেই ফুটবলের থলির ভিতরে জোরে বাতাস পম্প্ করিলে যেমন বল্ গরম হইয়া উঠে, এখানেও জোরে বিস্‌মথের ইলেক্ট্রন সীসাতে প্রবেশ করায় সন্ধিস্থল গরম হইয়া উঠে। এখন মনে করা যাউক যেন প্রবাহটিকে সীসক হইতে বিস্‌মথের দিকে চালানো যাইতেছে। আমরা পূর্ব্বেই বলিয়াছি, সীসক জিনিষটা বিস্‌মথ্ অপেক্ষা গুরু, কাজেই ইহাতে ইলেক্ট্রনের সংখ্যা বিস্‌মথের তুলনায় অনেক অধিক থাকে। সুতরাং সীসক হইতে