পাতা:প্রাকৃতিকী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বর্ণচ্ছত্র

শুভ্রালোকবিশ্লেষণজাত বর্ণবৈচিত্র্য আমরা জগতে সর্ব্বদাই দেখিতে পাই। রামধনুর অপূর্ব্ব বর্ণবিন্যাসে ও পত্রপ্রান্তসংলগ্ন শিশির বিন্দুতে বালসৌরকিরণের অদ্ভুত বর্ণচ্ছটা সকলই ইহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই ত গেল স্বভাবের কথা,—কৃত্রিম উপায়েও আমরা সহজে আলোক-বিশ্লেষণ দেখিতে পারি। ত্রিকোণ কাচফলকের মধ্য দিয়া, সাধারণ শুভ্রালোক আসিতে দিলে, ইহা মৌলিক বর্ণে বিশ্লিষ্ট হইয়া উজ্জ্বল লোহিত পীতাদি বর্ণযুক্ত একটি অপূর্ব দৃশ্য রচনা করে,—বৈজ্ঞানিকেরা ইহাকেই Spectrum, বর্ণচ্ছত্র বলিয়া থাকেন। ঝাড় দেওয়ালগিরি-লম্বিত বহুকোণযুক্ত কাচফলকগুলি দ্বারা কোন পদার্থ দেখিলে, এই জন্যই ইহা নানা বিচিত্র বর্ণে রঞ্জিত দেখা যায়। ত্রিকোণ কাচফলকের এই বর্ণবিশ্লেষণী শক্তির কথা বালকবৃদ্ধ সকলেই অবগত আছেন। বাল্যকালে উৎসবের সময় দেয়ালগিরিচ্যুত দুই একখানি কাচ সংগ্রহ ইচ্ছায়, তৈলগন্ধামোদিত ক্ষুদ্র ফরাস-গৃহে ভৃত্যগণের সহিত কিছু অধিক বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টায় নানা মিষ্টান্ন ঘুষ দিয়া পরে একখানি ভগ্ন কাচ লাভের কথা আজও স্মরণ আছে। এই কাচ দ্বারা অপূর্ব্ব বর্ণময় একটা নূতন সংসার দেখিয়া, বোধ হয় তখনকার জন্য অকৃতজ্ঞ ভৃত্যের উৎকোচলিপ্সা ও উৎসবের সকল আমোদের কথা একবারে ভুলিয়াছিলাম। প্রবীণ বৈজ্ঞানিকদের নিকটেও এই ক্ষুদ্র কাচখণ্ডের কম আদর নয়। বালক ইহা দ্বারা পার্থিক পদার্থের বিবিধ উজ্জ্বল বর্ণের সমাবেশ দেখিয়া আহ্লাদিত হয়,—বৈজ্ঞানিক কোটি যোজনস্থিত