পাতা:প্রাচীন বাংলার গৌরব.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 প্ৰাচীন বাংলার গৌরব নাগবৃক্ষ, লিকুচি, বকুল আর বটগাছে এই পোকা জন্মিত। নাগবৃক্ষের পোকা হইতে হলদে রঙের রেশম হইত, লিকুচের পোকা হইতে যে রেশম বাহির হইত। তাহার রঙ গমের মত, বকুলের রেশমের রঙ সাদা, বট ও আর আর গাছের রেশমের রঙ ননীর মত। এই সকলের মধ্যে। সুবর্ণকুড্যের ‘পত্ৰোৰ্ণ”। সকলের চেয়ে ভাল। ইহা হইতেই কোষেয় বস্তু ও চীনভূমিজাত চীনের পট্টবন্থেরও ব্যাখ্যা হইল। " উপরে যেটুকু লেখা হইল, তাহা প্রায়ই অর্থশাস্ত্রের তর্জম। অর্থশাস্ত্রের যে অধ্যায়ে কোন কোন ভাল জিনিস রাজকোষে রাখিয়া দিতে হইবে তাহার তালিকা আছে, সেই অধ্যায়ের শেষ অংশে ঐ সকল কথা আছে। অধ্যায়ের নাম ‘কোষপ্ৰবেশ্যরত্নপরীক্ষা” । এখানে রত্ন শব্দের অর্থ কেবল হীরা জহরত নয়, যে পদার্থের যাহা উৎকৃষ্ট সেইটির নাম রত্ন । এই রত্বের মধ্যে অগুরু আছে, চন্দন আছে, চমা আছে, পাটের কাপড় আছে, রেশমের কাপড় আছে ও তুলার কাপড় আছে। যে অংশ তর্জমা । হইল, তাহাতে মগধ ও পৌণ্ড দেশের নাম আছে, এই দুইটি দেশ সকলেই জানেন। মগধ- দক্ষিণ-বেহার। আর পৌণ্ড- বারেন্দ্রভূমি। সুবর্ণকুড়া কোথায়? প্রাচীন টীকাকার বলেন, সুবর্ণকুড্য কামরূপের নিকট। কিন্তু কামরূপের নিকট যে রেশম এখন F**, . " " ' ". . . . ". . . . " ' . . . . : . . . . . . . . ' . . r ' *: , , . . . . . . . . . . . . ' ', খুব জন্মায়। নাগবৃক্ষ শব্দের অর্থনাগুকেশরের গাছ। নাগকেশর বাংলার আর কোনখানে বড় দেখা যায় না, কিন্তু এখানে অনেক দেখা যায়। লিকুচ মাদারগাছ। মাদারগাছেও রেশমের পোকা বসিতে পারে। বকুল ও