প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান প্রথম পরিচ্ছেদ অবতরণিক আশা করি, আপনার আমার বক্তৃতাগুলি কতকটা ক্ষমা-সহকারে শেষ পর্য্যন্ত ধৈৰ্য্য রাখিয়া শুনিবেন । আমার বিশ্বাস, আমি আপনাদিগকে কতকগুলি নূতন তথ্যের সন্ধান দিতে পারিব, তাহা জানিলে আপনার প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যের অনুরাগী হইবেন । কিন্তু আমার ক্ষুদ্র ভাণ্ডার-গৃহে যাইতে হইলে কতকট সিড়ি ভাঙ্গিতে হইবে ; এই নিবন্ধের প্রথম দিকটায় সেই সিড়ি ভাঙ্গার কষ্ট আপনাদিগকে সহ করিতে হইবে। আমার একান্ত অনুরোধ, শেষ পর্য্যন্ত ন শুনিয়া আপনার আমার বিচার করিবেন নী। স্বচনায়ু একটা কড়া কথা দিয়া বক্তৃতার মুখ-বন্ধ করিব। এই কথাটার ভাবের সঙ্গে আমার মতের ঐক্য আছে। কিন্তু ভাষাট বড়ই তীব্র, আপনার আমাকে ক্ষমা করিবেন। কথাটা আমি লিখি নাই, একজন মুসলমান কবি লিখিয়াছেন। নোয়াখালী জেলার সন্দ্বীপ নামক স্থানের সুধারাম পল্লীনিবাসী আবদুল হাকিম নামক এক কবি সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে লিখিয়াছিলেন—
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১০
অবয়ব