বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান * S)) গৌরব ছিল। তাহার এই প্রেম-ভিখারীর বেশ দেগিলে পাঠক করুণার স্রোতে ভাসিয়! যাইবেন। কবির বিলক্ষণ রহস্ত শক্তি ছিল, একটি পংক্তির উল্লেখ করিব । ভেলুয়৷ পিতৃগৃহে তাহার আদরের হিরণ পাখীর মুমূযু অবস্ত দেখিয়া এক সখীকে বলিল—“যে দুষ্ট সাধু আমার হিরণীকে এইভাবে মারিয়াছে, তাঙ্গার পাঁচটি আঙ্গুল বন্দীশাল হইতে কাটিয়া আনিয়। আমার কাছে উপস্থিত কর ।” সখী যাইয়। শুনিল, ইতিমধ্যেই বন্দীশালা হইতে মুক্ত করিয়া ভেলুয়ার সহিত তাতার মত তরুণসবকের বিবাহ স্থির করিয়াছেন— “বাহিরে যাইয়া দাসী দেখে সদাগরে । সুরুজ যেন উঠিয়াছে আস মানের উপরে। অপরূপ সুন্দর সাধু, আচানক সাজ । মাথার উপরে আছেরে তার হাজার টাকার তাজ ৷ কাশ্মীরী শালের কুৰ্ত্ত, পিন্ধনে চিকণ ধুতি । পায়ের মাঝে দিয়া লাগাই ভাল চীন জুতি ॥” আমির সদাগরের সহিত বিবাহ ঠিক হইয়। গিয়াছে ভেলুয় তাহার বিন্দু বিসর্গও জানে না । সে তামিরের যে-চাত তাহার চিরণকে সন্ধান করিয়াছে. সেই হাতের পাচটি আঙ্গুল কাটিয়া আনিবার হুকুম দিয়া বসিয়! আছে ৷ ‘ দাসী ফিরিয়া আসিয়— “দাসী কহে শুন কন্যা, খোদাতালার ভুল। সদাগরের হাতের মাঝে নাইরে আঙ্গুল ॥” বিভলার প্রসঙ্গে কবি লিখিয়াছেন -- “আমির সাধুর বড় বৈল বিভল তার নাম। মাংস নাই অঙ্গে, অস্থি বেড়া চাম।