প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ත ථෙ বিখ্যাত সাধু হইয় পড়েন । ‘তজক-ই-জাহাঙ্গীরী’ নামক ফারসী পুস্তকে লিখিত আছে—যমুনা তীরে বহু হিন্দুকে ‘হর হর’ শব্দ উচ্চারণ করিতে শুনিয়া ইনি বলিয়াছিলেন—“হব কমরস্ত রাঙ্গে, দীনী ওকিলি গাহে ।”— অর্থাৎ “প্রত্যেক ধৰ্ম্মাবলম্বীরই স্বীয় স্বীয় পন্থ তাঙ্গদের মুক্তির উপায় ।” কথিত আছে মোহাম্মদ তোলকের অত্যাচারে ক্রুদ্ধ হইয় নিজাম শাপ দিয়াছিলেন তাঙ্গতে তোগলকাবাদ’ মরুভূমিতে পরিণত হইয়াছিল ; + কথিত আছে—নিজাম আউলিয়া ডাকাতি করিয়া ৯৯টি লোক হত্যার পরে একটি পাপিষ্ঠ, দুষ্ট চরিত্র লোককে হত্যা করিয়াছিলেন এবং তাঙ্গতেই তিনি সাধু হ০য়াছিলেন । এই অদ্ভূত-কৰ্ম্ম। ডাকাতের চরিত্র-পরিবর্তনেব ইতিহাস অতি কৌতুহলোদ্দীপক ভাষায় বাঙ্গল গাথাটিতে বর্ণিত হইয়াছে । ৬ । এই গাপাগুলি ছাড়া ‘দেওয়ান ঈশা খা’, ‘দেওয়ান ফিরোজ শাহ দেওয়ান ভাবনা’, ‘আধুয়া সুন্দৰী, মুরুংজামাল’ ও ‘দেওয়ান মনন্তর গ” প্রভৃতি ইতিহাস-মলক পল্লীগীতিক। ২। ৩ শত বৎসর পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল । মুসলমানেরাই ইহার রচক ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলমান শ্রোতার পল্লীর আসরে শতাব্দীর পরে শতাব্দী ইচ। শুনিয়া আসিয়াছেন । ইতিষ্ঠাসমূলক বলিয়া পাঠক ইহাদিগকে ঠিক ইতিহাস বলিয়। ভুল করিবেন ন । ঐতিহাসিক চরিত্রগুলি নানারূপ গ্রাম্য-সংস্কার ও উপকথার দ্বারা অনেকট রূপান্তরিত হইয়াছে। ‘দেওয়ান মন্ছর'-এর পালাটি এখনও আমর। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে প্রকাশ করিতে পারি নাই। ইহার একটা হস্ত-লিখিত নকল আমার কাছে আছে । ইহাতে শুজা বাদশাহ সম্বন্ধে অনেক কথা আছে । তাহার আরাকান-যাত্রা ও তথাকার রাজার দ্বারা উৎপীড়িত হইয়। সমুদ্র-গর্ভে রাজ্ঞী পরীবানুসহ মৃত্যু এবং বঙ্গদেশে
- ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, ১৩৩১ বাং ১৫ই ফাঙ্কন, সার যদুনাথ সরকারের প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য।