প্রাচীন বাঙ্গল সাহিত্যে মুসলমানের অবদান ) 19న কাদিয় দরিয়া বলিল— “ছুট)৷ আইল রণের ঘোড়া লৌয়ের নিশান লইয়। কি কর সখিনা বিবি, পালঙ্কে বসিয় ॥ শিরের সিন্দুর বিবি, কাণের সোনাদান। পালঙ্ক ছাড়িয়া কর জমিলে বিছান । পিন্ধনের শাড়ী খুল্য। ফেল, কাটা ফেল কেশ । আজ হৈতে হবে তোমার দিগম্বরীর বেশ । বাছ হৈতে খোল কন্য, বাজুবন্ধ তার। গলা হৈতে খোল কন্য। হীরামণের হার ॥ পাও হৈতে খোল কন্যা নূপুর, পাজুনী। কোমর হৈতে খুল্য। ফ্যাল মুন্সর ঝুনঝুনি । গৈরব ন৷ সাজে কন্যা, সোনার ঠোঁটে হাসি । ছুরৎ, যৈবল তোমার হয়ে গেছে বাসি ৷ বিহানে ফুটিয়া ফুল সন্ধ্য। কালে ঝরে। অীর নাহি সাজে কন্য। পালঙ্ক উপরে ॥ শোন শোন বিবি, আজ কহি যে তোমারে । তোমার স্বামী হৈল বন্দী কেল্লা ভাজপুরে।” নিকটবর্তী গৃহ হইতে সখিনার শাশুড়ীর আত্ত-বিলাপ শোনা যাইতেছিল— অপরাপর পরিজনের। হাহাকার করিয়৷ কাদিতেছিল। কিন্তু সখিনার চক্ষে এক ফেঁাট অঞ নাই, তাহার মুখে একটা বিলাপের কথা শোন। গেল না। তিনি উঠিয়া পুরুষের বেশ পরিলেন এবং স্বামীর আস্তাবল হইতে দুলাল’ নামক বৃহৎ ঘোটক আনয়ন করিলেন । দেওয়ান বাড়ী হইতে ফৌজদারের নিকট সংবাদ আসিল, ফিরোজ খাঁর এক ভ্রাত আসিয়াছেন, তিনিই সেনাপতি লইয়া কেল্লাতাজপুরের মাঠে যুদ্ধ করিতে যাইবেন।
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/১৪৮
অবয়ব