আজীবন তাহার জন্য প্রতীক্ষা করার মধ্যে কোনো যুক্তি নাই। প্রোষিতের প্রতীক্ষাকাল হারীত নির্দেশ করিয়াছেন।[১]
ধর্মহেতু প্রোষিত হইলে আটবৎসর প্রতীক্ষা করা উচিত। বিদ্যা বা যশোলাভের জন্য গিয়া থাকিলে ছয় বৎসর, এবং কামার্থ হইলে তিন বৎসর—
প্রোষিতো ধর্মহেতোস্তু প্রতীক্ষ্যেঽষ্টৌ নরঃ সমাঃ।
বিদ্যার্থং ষড়্যশোহর্থং বা কামার্থংস্ত্রীংস্তু বৎসরান্॥ পৃ ৩৯৪
কাত্যায়ন বলেন, স্বামী প্রোষিত হইলে পিতা ছয় বৎসর পত্যন্তরের সহিত যুক্ত করিবেন না।
পিত্রা ভর্তা ন যোজ্যাস্ত্রী ষড়্বর্ষং প্রোষিতে প্রভৌ। ঐ
গৌতমও বলেন, স্বামী নিরুদ্দেশ হইলে ছয়বৎসর প্রতীক্ষা, খবর পাওয়া গেলে সেখানে যাওয়া, প্রব্রজিত হইলে প্রসঙ্গবশেই নিবৃত্তি অর্থাৎ পূর্ব বিবাহ নিবৃত্ত হইবে। ব্রাহ্মণ বিদ্যা-হেতু বিদেশে গেলে দ্বাদশ বৎসর পর্যন্ত প্রতীক্ষা করিবে—
নষ্টে ভর্তরি ষড়্বার্ষিকং ক্ষপণম্। শ্রূয়মাণে অভিগমনম্। প্রব্রজিতে তু নিবৃত্তিঃ প্রসঙ্গাৎ। দ্বাদশবর্ষাণি ব্রাহ্মণ্য বিদ্যাসম্বন্ধে। পৃ ৩৯৪
যমস্মৃতি বলেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে লইয়া ঘর না করে তবে ব্রাহ্মণ-স্ত্রী দশ বারো বা আটবৎসর প্রতীক্ষা করিবে, ইহাই মনুর মত। ক্ষত্রিয়া আট বৎসর, বৈশ্য ছয় বৎসর প্রতীক্ষা করিবে। শূদ্রের পক্ষে কোনো কাল-বাধা নাই। প্রতীক্ষা না করিলে তাহাদের ধর্মব্যতিক্রিয়া হয় না—
ন শূদ্রায়াঃ স্মৃতঃ কালো ন চ ধর্মব্যতিক্রিয়া। পৃ ৩৯৫
নারদ বলেন, বিশেষষতঃ অপ্রসূতার পক্ষে সংবৎসরপরা স্থিতি অর্থাৎ এক বৎসরই প্রতীক্ষা কাল।
বিশেষতোঽপ্রসূতায়াং সংবৎসরপরা স্থিতিঃ। পৃ ৩৯৫
স্বামীও কোনো কোনো স্থলে ভার্যা পরিত্যাগ করিতে পারেন তাহার ব্যবস্থা ইহার পরে বরদরাজ দিয়াছেন।
নানাভাবে সংগ্রহ করিয়া নারীদের নষ্ট করা যে কত বড় অপরাধ তাহা দেখাইবার জন্য ব্যবহারনির্ণয় ‘স্ত্রীসংগ্রহ’ নামে একটি আগাগোড়া প্রকরণ
- ↑ প্রোষিতস্য উক্তঃ প্রতীক্ষণকালঃ, পৃ. ৩৯৪